হিন্দুধর্ম মতে- সৃষ্টিকর্তা বা ঈশ্বর কে ?
( Necessary post for – Pankaj Kumer Sarkar # শ্রীকৃষ্ণই যে ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা, এই পোস্টে পাবেন তার তাত্ত্বিক প্রমান।)
বহু দেব-দেবী এবং বহু ভগবানের চাপে পড়ে প্রায় সব হিন্দুই এই অস্পষ্টতায় ভুগে যে, আসলে তাদের সৃষ্টিকর্তা কে ? এই অস্পষ্টতা থেকে অনেক হিন্দুর মনে হীনম্মন্যতারও সৃষ্টি হয়, তাদের মনে হতে থাকে হিন্দু ধর্ম ভূয়া এবং এক পর্যায়ে লাভ জিহাদের ফাঁদে পড়ে বা যাকাতের টাকার লোভে পড়ে বা খ্রিষ্টান মিশনারীদের হাতে পড়ে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করাও তাদের পক্ষে অসম্ভব কিছু নয়। এজন্য, এই ধর্মান্তরের চক্র থেকে বাঁচতে, প্রতিটি হিন্দুর, হিন্দুধর্ম সম্পর্কে আপ টু বটম একটা স্বচ্ছ ধারণা থাকা দরকার, আসলে তার ধর্ম কী ও কেনো ? ধর্ম সম্পর্কে এই স্বচ্ছ ধারণা থাকলেই, হিন্দুরা তাদের ধর্ম নিয়ে গর্ববোধ করবে, হীনম্মন্যতায় না ভুগে বরং আত্মসন্তুষ্টিতে ভুগবে এবং কখনো কোনো পরিস্থিতিতেই ধর্ম ত্যাগ করবে না, উল্টো, অন্যদেরকেই হিন্দু বানানোর চেষ্টা করবে।
আপাদমস্তক ইসলাম একটি মিথ্যা ও বোগাস ধর্ম হওয়া সত্ত্বেও, সিনিয়র ধান্ধাবাজ মুসলমানরা, ইসলাম সম্পর্কে মুসলমানদের আত্মতৃপ্তিকে ধরে রাখার জন্য বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করে এবং মাঝে মাঝেই কিছু মিথ্যা গল্প ও থিয়োরি বাজারে ছাড়ে। যেমন- “কোরান রিসার্চ করেই বিজ্ঞানীরা সব আবিষ্কার করে”, আর এটা শুনে মুসলমানরা এই আত্মতৃপ্তিতে ভুগে যে, আমরা মুসলমানরা কোনো কিছু আবিষ্কার করতে না পারলেও আমাদের কোরান রিসার্চ করেই তো বিজ্ঞানীরা সব আবিষ্কার করে, সুতরাং আমাদের ধর্মই গ্রেট! তারপর, চাঁদে গিয়ে নীল আর্মস্ট্রং আযান শুনতে পেয়েছে এবং নবী যে আঙ্গুলের ইশারায় চাঁদকে দ্বিখণ্ডিত করেছিলো, তারপর জোড়া লাগিয়েছিলো, জোড়ার সেই দাগ দেখতে পেয়ে ইসলামকে সত্য ধর্ম মনে করে পৃথিবীতে এসে ইসলাম গ্রহন করেছে। একই ভাবে সুনীতা উইলিয়ামস মহাকাশে গিয়ে পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে দেখে শুধুমাত্র দু্টি জায়গা মহাকাশ থেকে দেখা যাচ্ছে এবং সেই দুটি জায়গা হলো মক্কা ও মদীনা, এরপর সে পৃথিবীতে এসে ইসলাম গ্রহন করেছে। এরকম মিথ্যা গল্পের শেষ নেই, এসব ই মূর্খ মুসলমানদেরকে ইসলামের প্রতি সন্তুষ্ট রাখার অপকৌশল মাত্র।
কিন্তু হিন্দুধর্ম বিষয়ে কোনো হিন্দুকে সন্তুষ্ট রাখার জন্য কোনো মিথ্যাচারের প্রয়োজন নেই, হিন্দুধর্মের প্রকৃত বিষয়গুলো প্রকৃতভাবে জানলে বা জানালেই যে কোনো হিন্দু আত্মতৃপ্তিতে ভুগতে বাধ্য, যে চেষ্টাটা আমি করে যাচ্ছি। মনে রাখবেন, যখন কোনো মুসলমান প্রকৃত ইসলামকে জানবে, তখন হয় সে ইসলাম ত্যাগ করে মানুষ হবে, না হয় জঙ্গী হয়ে আত্মঘাতি বোমা ফাটিয়ে মরবে; কিন্তু যখন কোনো হিন্দু, হিন্দুধর্মের প্রকৃত সত্য বা তত্ত্বকে জানবে, তখন সে নাস্তিকতা বা অন্যধর্মে কনভার্ট হওয়ার চিন্তা ছেড়ে আরও শক্তভাবে হিন্দুত্বকে আঁকড়ে ধরবে, যার প্রমান আমি নিজে; তার কারণ, হিন্দু ধর্ম নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে আমি আজ পর্যন্ত এমন একটা বিষয় পাই নি, যেটা নিয়ে কারো কাছে লজ্জা পেতে হবে বা তার কোনো কিছু অমানবিক এবং বিশ্বসভ্যতা ও মানুষের জন্য হুমকি স্বরূপ, তাহলে হিন্দু ধর্ম নিয়ে আমাকে হীনম্মন্যতায় ভুগতে হবে কেনো ? বরং হিন্দু হিসেবে যে আমার জন্ম হয়েছে, এটা নিয়ে এখন আমি প্রাউড ফিল করি এবং গত কয়েক বছরে অন্তত কয়েক লক্ষ হিন্দুর মধ্যে আমি এই গর্ববোধকে সঞ্চার করতে পেরেছি।
যা হোক, ফিরে যাই আজকের আলোচনায়- হিন্দুধর্ম মতে সৃষ্টিকর্তা বা ঈশ্বর কে ?
হিন্দু শাস্ত্রের প্রধান দুটি শব্দ হলো- ঈশ্বর এবং ভগবান। আমরা প্রায় কোনো হিন্দু, ঈশ্বর এবং ভগবানের মধ্যে পার্থক্য জানতাম না বা এখনও জানি না বলে সৃষ্টিকর্তা কে, এই প্রশ্নের উত্তরে অস্পষ্টতায় ভুগতাম বা এখনও ভুগি। কারণ, হিন্দু শাস্ত্র মতে ভগবান অনেক বা বহু, কিন্তু বহু ভগবান তো আর সৃষ্টিকর্তা হতে পারে না, সৃষ্টিকর্তা মাত্র একজন। আবার, ঈশ্বর ও ভগবান, এই দুটো শব্দের পার্থক্য অনেক হিন্দুই জানে না বলে বা দুটো শব্দের অর্থ একই মনে করেও অনেকে ঝামেলার মধ্যে পড়ে; কারণ, ভগবান যেহেতু বহু, সেহেতু তখন ঈশ্বরও বহু হয়ে যায়, কিন্তু ঈশ্বর তো আর বহু নয়, ঈশ্বর একজন বা এক।
তাহলে ঈশ্বর এবং ভগবানের মধ্যে পার্থক্যটা আসলে কী ?
যার রূপ থাকে, তাকে যেমন বলে রূপবান; তেমনি- যশ, বীর্য, ঐশ্বর্য, শ্রী, জ্ঞান, বৈরাগ্য- এই ছয়টি গুনকে বলে ‘ভগ’ আর এগুলো যার মধ্যে থাকে, তাকে বলে ভগবান; আর সকল গুন যার মধ্যে থাকে তাকে বলে ঈশ্বর। কিন্তু সাধারণ মানুষ হিসেবে জন্ম নেওয়া কারো পক্ষে এই ছয়টি গুন অর্জন করা সম্ভব নয়, শুধু অবতার রূপে জন্ম নেওয়া কারো পক্ষেই কেবল এই ছয়টি গুন অর্জন করা সম্ভব; এছাড়াও প্রায় সব দেবতা এই ছয়টি গুনের অধিকারী, এই জন্যই বলা হয়- ভগবান রামচন্দ্র, ভগবান পরশুরাম, ভগবান ইন্দ্র, ভগবান বিষ্ণু, ভগবান শিব, ভগবান ব্রহ্মা, ভগবান্ শ্রীকৃষ্ণ এবং আরো অনেককে। কিন্তু পরমেশ্বর বা ঈশ্বর বলা হয় শুধু মানবরূপে জন্মগ্রহনকারী শ্রীকৃষ্ণ এবং পরমব্রহ্ম বা ব্রহ্মকে। তাহলে এখানে দেখা যাচ্ছে যে, ভগবান উপাধির অধিকারী শুধু অবতারগন এবং দেবতারা; তাহলে শ্রীকৃষ্ণকে একই সাথে ভগবান এবং ঈশ্বর বলা হচ্ছে কেনো ? হিসাবটা খুব সহজ, অন্যান্য সব অবতার ছিলো বিষ্ণুর আংশিক অবতার, কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ ছিলো পূর্ণ অবতার। তাই কৃষ্ণের মধ্যে সকল গুন ছিলো বলেই সে ঈশ্বর এবং যার মধ্যে সকল গুন থাকে, তার মধ্যে তো ছয়টি গুন থাকবেই, তাই সে একই সাথে ভগবান এবং ঈশ্বর। ব্যাপারটি এমন- সকল ক্ষমতার যিনি অধিকারী, তিনি প্রধানমন্ত্রী, কিন্তু যারা আংশিক ক্ষমতার অধিকারী তারা মন্ত্রী। তাহলে বিষয়টি দাঁড়ালো- সকল মন্ত্রীই প্রধানমন্ত্রী নয়, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মাত্রই যেকোনো মন্ত্রী। ঠিক তেমন, সকল ভগবান ঈশ্বর নয়, কিন্তু ঈশ্বর মাত্রই ভগবান।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বিষ্ণুর পূর্ণ অবতার হলেও শ্রীকৃষ্ণ কিভাবে পূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী ঈশ্বর হয়, বিষ্ণু তো পরমব্রহ্ম বা ব্রহ্মের তিনটি রূপ- ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর- এর একটি রূপ মাত্র ?
এই ধারণা ই হিন্দুধর্মের সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কিত ধারণার সকল জটিলতার মূল। আমরা ব্রহ্ম বা ঈশ্বরকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করে একেকটি ভাগে এক তৃতীয়াংশ ক্ষমতাকে বন্টন করে দিয়েছি এবং নানা আজগুবি গল্পের পুরাণ কাহিনী লিখে, সেই তিনজনের মধ্যে নানা ঝগড়া বিবাদও লাগিয়ে দিয়েছি, ফলে তারা তিনজন সম্পূর্ণভাবে আলাদা তিনটি সত্ত্বাতে পরিণত হয়েছে, কিন্তু ব্যাপারটা আসলে সেরকম নয়।
ব্রহ্ম বা ঈশ্বর যখন সৃষ্টি করেন, তখন তারই নাম ব্রহ্মা, যখন পালন করেন, তখন তারই নাম বিষ্ণু এবং যখন ধ্বংস করেন, তখনই তার নাম শিব বা মহেশ্বর। এই তিনটি নাম, তিনটি আলাদা আলাদা সত্ত্বা নয়, একই ঈশ্বরের আলাদা তিনটি নাম মাত্র। এর প্রমান আছে গীতার অনেক শ্লোকে, যেগুলো আপনারা কিছু পরেই জানতে পারবেন; তার আগে দেখাই- অনেকের ধারণা মতে, ব্রহ্মের তিন ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ এক তৃতীয়াংশ ক্ষমতার অধিকারী বিষ্ণুর অবতার হলেও- শ্রীকৃষ্ণ কিভাবে পূর্ণ ব্রহ্ম বা পরমেশ্বর ?
একটু আগেই বলেছি, ব্রহ্মকে যদি আমরা ‘ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর’ এই তিনভাগে ভাগ করি, তাহলেই আমরা ঝামেলায় পড়বো এবং এই অংক কোনোদিনই মেলাতে পারবো না। আবার এটাও বলেছি, ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর, আলাদা আলাদা কোনো সত্ত্বা নয়, তারা এই ব্রহ্মের তিনটি আলাদা নাম মাত্র। এখন আমি যে সূত্রের কথা বলছি, সেই সূত্র দ্বারা অংকটাকে সমাধান করার চেষ্টা করুন, দেখুন অংকটা মিলে কি না ?
ব্রহ্মের শক্তি ১০০%, ব্রহ্ম যখন সৃষ্টিকর্তা হিসেবে কাজ করেন, তখন তার নাম হয় ব্রহ্মা; আমি যেহেতু বলেছি- ব্রহ্মা, ব্রহ্মের তিন ভাগের এক ভাগ নয়, ব্রহ্মা, ব্রহ্মেরই অপর নাম; সেহেতু ব্রহ্মের ১০০% শক্তি চলে এলো ব্রহ্মার কাছে। একইভাবে ১০০% শক্তি যাবে ব্রহ্মের পালনকারী রূপ বিষ্ণু এবং ধ্বংসকারী রূপ শিবের কাছে। তার মানে ব্রহ্মা, বিষ্ণু বা মহেশ্বর, যে নামই বলি না কেনো প্রত্যেকেই ব্রহ্ম এবং সবার শক্তি ১০০%, এই সূত্রে বিষ্ণুর শক্তিও ১০০%, যা পূর্ণ শক্তি। এখন এই বিষ্ণুর পূর্ণ অবতার হিসেবে কৃষ্ণের মধ্যেও থাকবে ১০০% শক্তি, এই সূত্রেই কৃষ্ণ, পূর্ণব্রহ্ম বা পরমেশ্বর।
অংকের মাধ্যমে উপরে যা বললাম, এখন দেখুন গীতার মধ্যে সেই কথাগুলোর সমর্থন আছে কি না ? খুব বেশি কিছু না বুঝলেও, শুধু যদি কৃষ্ণের বিশ্বরূপের থিয়োরিটা ভালো করে বোঝা যায়, তাহলেই কিন্তু পরিষ্কার হয়ে যাবে যে, কৃষ্ণই সবকিছু এবং সবকিছুর আশ্রয় কৃষ্ণের মধ্যেই; কৃষ্ণের বিশ্বরূপের মধ্যে যা কিছু নাই, তার পূজা প্রার্থনা ও আরাধনা করার কোনো প্রয়োজন নেই।
কিন্তু আমরা এই মূল থিয়োরি না বুঝে, শুধু বহু দেবতার ই নয়, নির্বোধের মতো- যারা অবতার নয়, অবতার বলে শাস্ত্রে যাদের স্বীকৃতিও নেই, সেইরকম- বহু ব্যক্তিরও পূজা করে চলেছি । একটা কথা মনে রাখবেন, শাস্ত্রের অবতারিক স্বীকৃতির বাইরে সাধারণ মানুষ হিসেবে জন্ম নিয়ে অসাধারণ হয়ে উঠা ব্যক্তিগন আপনার গুরু হতে পারে, আপনাকে মুক্তির পথ দেখাতে পারে, আপনার শ্রদ্বার পাত্র হতে পারে, সম্মানের পাত্র হতে পারে, কিন্তু দেবতার স্থানে বসিয়ে সে পূজার যোগ্য নয়। যে সব ব্যক্তি দেবতার মতো বসে পূজা নেন এবং যারা তার পূজা করেন, তারা উভয়েই চরম অপরাধ করে চলেছে এবং তারা উভয়েই পাপী।
চৈতন্যদেব, লোকনাথ, রামকৃষ্ণ, প্রণবানন্দ, অনুকূল চন্দ্র, হরিচাঁদ, প্রভুপাদ এবং আরও যারা ছোট খা্টো নাম না জানা আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতাগন- সবাই এই থিয়োরির অন্তর্ভূক্ত; এরা সবাই মানুষকে ধোকা দিয়ে, বিভ্রান্ত করে, পৃথিবীতে নিজেদের অমর হওয়ার পথ তৈরি করেছে মাত্র। পূজা পাওয়ার যোগ্য শুধু মাত্র অবতার এবং দেবতাগন; কারণ, এরা আপনাকে মুক্তি দিতে পারে বা মোক্ষ লাভ করাতে পারে। যে মানুষ নিজেই মুক্তিপ্রার্থী, যার নিজের মুক্তিলাভ ই নিশ্চিত নয়, সে কিভাবে আপনাকে মুক্তি দেবে ? কোনো উকিল, ব্যারিস্টার, জজ কি আইনের বাইরে গিয়ে আপনার ফাঁসির দণ্ড থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারে ? তারা তো শুধু আপনাকে মুক্তির পথ দেখাতে পারে; আপনাকে মুক্তি দিতে পারে একমাত্র রাষ্ট্রপতি, যিনি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। সেই রাষ্ট্রপতির ই আধ্যাত্মিক রূপ হলো ঈশ্বররূপ শ্রীকৃষ্ণ, আপনি তার পূজা করেন, তার আদর্শকে ধারণ করেন, আপনি অন্য কারো পূজা করতে যাবেন কেনো ? আর তাদের পূজা করলে কি আপনি মুক্তি পাবেন ? থিয়োরি এবং বাস্তবতা কি তাই বলে ?
উপরের আলোচনায়, প্রধানমন্ত্রীকে একবার সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী, পরে আবার রাষ্ট্রপতিকে সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী বললাম। আসলে বাংলাদেশ-ভারতের ভেজাল গনতন্ত্রের কারণে উদাহরণের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে এরকম বলতে হলো। আমেরিকান গনতন্ত্র হলে শুলু রাষ্ট্রপতি বললেই হতো। বাংলাদেশ ভারতের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী প্রধানমন্ত্রী, কিন্তু কিছু কিছু কাজ আবার প্রধানমন্ত্রী করতে পারেন না, করেন রাষ্ট্রপতি, সেটাও আবার প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে, মারার জন্য হাতে তরোয়াল তুলে দিয়ে বলেছে, আমি অর্ডার না দিলে মারবি না, বোঝেন অবস্থা ! তুই যদি নিজের হাতেই মারবি, তাহলে তরোয়ালটাও নিজের হাতে রাখ না! এজন্যই বললাম ভেজাল গনতন্ত্র।
যা হোক, ঈশ্বর হিসেবে কৃষ্ণই যে সব কিছু, এবার সেই প্রমানগুলো তুলে ধরছি গীতার আলোকে-
গীতার ১০/৬ নং শ্লোকে বলা হয়েছে,
“মহর্ষয়ঃ সপ্ত পূর্বে চত্বারো মনবস্তথা।
মদভাবা মানসা জাতা যেষাং লোক ইমাঃ প্রজাঃ।।”
এর অর্থ – সপ্ত মহর্ষি, তাদের পূর্বজাত সনকাদি চার কুমার ও চতুর্দশ মনু, সকলেই আমার মন থেকে উৎপন্ন হয়ে আমা হতে জন্মগ্রহণ করেছে এবং এই জগতের স্থাবর জঙ্গম আদি সমস্ত প্রজা তাঁরাই সৃষ্টি করেছেন।
আমরা জানি যে, ব্রহ্মার মন থেকে উৎপন্নদের মনু বলা হয়, কিন্তু এখানে শ্রীকৃষ্ণ বললেন, চতুর্দশ মনু তার মন থেকেই উৎপন্ন, তার মানে ব্রহ্মাই শ্রীকৃষ্ণ।
আবার দেখুন, অর্জুনকে বিশ্বরূপ দেখাতে গিয়ে শ্রীকৃষ্ণ তার দেহে কাকে ধারণ করেছিলেন-
গীতার ১১/১৫ নং শ্লোকের মধ্যে বলা আছে,
“ব্রহ্মাণমীশং কমলাসনস্থনম”
অর্থাৎ, অর্জুন, শ্রীকৃষ্ণের দেহে কমলাসনে স্থিত ব্রহ্মাকে দেখতে পাচ্ছেন।
আবার, ১০/২৩ এর প্রথম শ্লোকে বলা আছে,
“রুদ্রানাং শঙ্করশ্চাস্মি”
এর মান হলো- রূদ্রদের মধ্যে আমি শিব।
অর্থাৎ, শ্রীকৃষ্ণই যে শিব এখানে তা প্রমানিত।
এছাড়াও দেখুন, শ্রীকৃষ্ণই যে- ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর তার প্রমান,
গীতার ১৩/১৭ নং শ্লোকে বলা আছে,
“অবিভক্তং চ ভূতেষু বিভক্তমিব চ স্থিতম।
ভূতভর্তৃ চ তজজ্ঞেয়ং গ্রসিষ্ণু প্রভবিষ্ণু চ।।”
এর অর্থ- পরমাত্মাকে যদিও সমস্ত ভূতে বিভক্তরূপে বোধ হয়, কিন্তু তিনি অবিভক্ত। যদিও তিনি সর্বভূতের পালক (বিষ্ণু), তবু তাকে সংহার কর্তা ( শিব) ও সৃষ্টিকর্তা (ব্রহ্মা) বলে জানবে।
শুধু তাই নয়, শ্রীকৃষ্ণই যে ব্রহ্ম, সেই কথা বলা আছে গীতার ১৪/২৭ নং শ্লোকে,
“ব্রহ্মণো হি প্রতিষ্ঠাহমমৃতস্যাব্যয়স্য চ।
শাশ্বতস্য চ ধর্মস্য সুখস্যৈকান্তিকস্য চ।।”
এর অর্থ- আমিই নির্বিশেষ ব্রহ্মের প্রতিষ্ঠা বা আশ্রয়। অব্যয় অমৃতের, শাশ্বত ধর্মের এবং ঐকান্তিক সুখের আমিই আশ্রয়।
এছাড়াও গীতার ১০/৩১ নং শ্লোকে বলা আছে,
“রামঃ শস্ত্রভৃতামহম্”
এর অর্থ- আমিই রাম।
এবং গীতার ১০/২৪ নং শ্লোকে বলা আছে
“সেনানীনামহং স্কন্দঃ”
এর অর্থ- সেনাপতিদের মধ্যে আমি কার্তিক।
এসব ছাড়াও সকল দেবতার পূজার স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য তিনি গীতার ৯/২৩ নং শ্লোকে বলেছেন,
“যেহপ্যন্যদেবতাভক্তা যজন্তে শ্রদ্ধয়ান্বিতাঃ।
তেহপি মামেব কৌন্তেয় যজন্ত্যবিধিপূর্বকম।।”
এর অর্থ- হে কৌন্তেয়, যারা অন্য দেবতাদের ভক্ত এবং শ্রদ্ধা সহকারে তাদের পূজা করে, প্রকৃতপক্ষে তারা অবিধিপূর্বক আমারই পূজা করে।
উপরের এই আলোচনা থেকে পাঠক বন্ধুদেরকে নিশ্চয় এটা বোঝাতে সক্ষম হয়েছি যে, বহু দেবতার পূজা করলেও, আমরা আসলে এক ঈশ্বররেই পূজা করি, সেই ঈশ্বর হলেন মানবরূপে জন্মগ্রহনকারী শ্রীকৃষ্ণ, আধ্যাত্মিকভাবে যিনিই পরমব্রহ্ম বা ব্রহ্ম। সুতরাং হিন্দু শাস্ত্র মতে, এই বিশ্বজগতের সকল কিছুর স্রষ্টা পরম ব্রহ্ম বা পরমেশ্বর, মানবরূপে যিনি শ্রীকৃষ্ণ।
জয় হিন্দ।
জয় শ্রীকৃষ্ণ।
( Necessary post for – Pankaj Kumer Sarkar # শ্রীকৃষ্ণই যে ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা, এই পোস্টে পাবেন তার তাত্ত্বিক প্রমান।)
বহু দেব-দেবী এবং বহু ভগবানের চাপে পড়ে প্রায় সব হিন্দুই এই অস্পষ্টতায় ভুগে যে, আসলে তাদের সৃষ্টিকর্তা কে ? এই অস্পষ্টতা থেকে অনেক হিন্দুর মনে হীনম্মন্যতারও সৃষ্টি হয়, তাদের মনে হতে থাকে হিন্দু ধর্ম ভূয়া এবং এক পর্যায়ে লাভ জিহাদের ফাঁদে পড়ে বা যাকাতের টাকার লোভে পড়ে বা খ্রিষ্টান মিশনারীদের হাতে পড়ে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করাও তাদের পক্ষে অসম্ভব কিছু নয়। এজন্য, এই ধর্মান্তরের চক্র থেকে বাঁচতে, প্রতিটি হিন্দুর, হিন্দুধর্ম সম্পর্কে আপ টু বটম একটা স্বচ্ছ ধারণা থাকা দরকার, আসলে তার ধর্ম কী ও কেনো ? ধর্ম সম্পর্কে এই স্বচ্ছ ধারণা থাকলেই, হিন্দুরা তাদের ধর্ম নিয়ে গর্ববোধ করবে, হীনম্মন্যতায় না ভুগে বরং আত্মসন্তুষ্টিতে ভুগবে এবং কখনো কোনো পরিস্থিতিতেই ধর্ম ত্যাগ করবে না, উল্টো, অন্যদেরকেই হিন্দু বানানোর চেষ্টা করবে।
আপাদমস্তক ইসলাম একটি মিথ্যা ও বোগাস ধর্ম হওয়া সত্ত্বেও, সিনিয়র ধান্ধাবাজ মুসলমানরা, ইসলাম সম্পর্কে মুসলমানদের আত্মতৃপ্তিকে ধরে রাখার জন্য বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করে এবং মাঝে মাঝেই কিছু মিথ্যা গল্প ও থিয়োরি বাজারে ছাড়ে। যেমন- “কোরান রিসার্চ করেই বিজ্ঞানীরা সব আবিষ্কার করে”, আর এটা শুনে মুসলমানরা এই আত্মতৃপ্তিতে ভুগে যে, আমরা মুসলমানরা কোনো কিছু আবিষ্কার করতে না পারলেও আমাদের কোরান রিসার্চ করেই তো বিজ্ঞানীরা সব আবিষ্কার করে, সুতরাং আমাদের ধর্মই গ্রেট! তারপর, চাঁদে গিয়ে নীল আর্মস্ট্রং আযান শুনতে পেয়েছে এবং নবী যে আঙ্গুলের ইশারায় চাঁদকে দ্বিখণ্ডিত করেছিলো, তারপর জোড়া লাগিয়েছিলো, জোড়ার সেই দাগ দেখতে পেয়ে ইসলামকে সত্য ধর্ম মনে করে পৃথিবীতে এসে ইসলাম গ্রহন করেছে। একই ভাবে সুনীতা উইলিয়ামস মহাকাশে গিয়ে পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে দেখে শুধুমাত্র দু্টি জায়গা মহাকাশ থেকে দেখা যাচ্ছে এবং সেই দুটি জায়গা হলো মক্কা ও মদীনা, এরপর সে পৃথিবীতে এসে ইসলাম গ্রহন করেছে। এরকম মিথ্যা গল্পের শেষ নেই, এসব ই মূর্খ মুসলমানদেরকে ইসলামের প্রতি সন্তুষ্ট রাখার অপকৌশল মাত্র।
কিন্তু হিন্দুধর্ম বিষয়ে কোনো হিন্দুকে সন্তুষ্ট রাখার জন্য কোনো মিথ্যাচারের প্রয়োজন নেই, হিন্দুধর্মের প্রকৃত বিষয়গুলো প্রকৃতভাবে জানলে বা জানালেই যে কোনো হিন্দু আত্মতৃপ্তিতে ভুগতে বাধ্য, যে চেষ্টাটা আমি করে যাচ্ছি। মনে রাখবেন, যখন কোনো মুসলমান প্রকৃত ইসলামকে জানবে, তখন হয় সে ইসলাম ত্যাগ করে মানুষ হবে, না হয় জঙ্গী হয়ে আত্মঘাতি বোমা ফাটিয়ে মরবে; কিন্তু যখন কোনো হিন্দু, হিন্দুধর্মের প্রকৃত সত্য বা তত্ত্বকে জানবে, তখন সে নাস্তিকতা বা অন্যধর্মে কনভার্ট হওয়ার চিন্তা ছেড়ে আরও শক্তভাবে হিন্দুত্বকে আঁকড়ে ধরবে, যার প্রমান আমি নিজে; তার কারণ, হিন্দু ধর্ম নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে আমি আজ পর্যন্ত এমন একটা বিষয় পাই নি, যেটা নিয়ে কারো কাছে লজ্জা পেতে হবে বা তার কোনো কিছু অমানবিক এবং বিশ্বসভ্যতা ও মানুষের জন্য হুমকি স্বরূপ, তাহলে হিন্দু ধর্ম নিয়ে আমাকে হীনম্মন্যতায় ভুগতে হবে কেনো ? বরং হিন্দু হিসেবে যে আমার জন্ম হয়েছে, এটা নিয়ে এখন আমি প্রাউড ফিল করি এবং গত কয়েক বছরে অন্তত কয়েক লক্ষ হিন্দুর মধ্যে আমি এই গর্ববোধকে সঞ্চার করতে পেরেছি।
যা হোক, ফিরে যাই আজকের আলোচনায়- হিন্দুধর্ম মতে সৃষ্টিকর্তা বা ঈশ্বর কে ?
হিন্দু শাস্ত্রের প্রধান দুটি শব্দ হলো- ঈশ্বর এবং ভগবান। আমরা প্রায় কোনো হিন্দু, ঈশ্বর এবং ভগবানের মধ্যে পার্থক্য জানতাম না বা এখনও জানি না বলে সৃষ্টিকর্তা কে, এই প্রশ্নের উত্তরে অস্পষ্টতায় ভুগতাম বা এখনও ভুগি। কারণ, হিন্দু শাস্ত্র মতে ভগবান অনেক বা বহু, কিন্তু বহু ভগবান তো আর সৃষ্টিকর্তা হতে পারে না, সৃষ্টিকর্তা মাত্র একজন। আবার, ঈশ্বর ও ভগবান, এই দুটো শব্দের পার্থক্য অনেক হিন্দুই জানে না বলে বা দুটো শব্দের অর্থ একই মনে করেও অনেকে ঝামেলার মধ্যে পড়ে; কারণ, ভগবান যেহেতু বহু, সেহেতু তখন ঈশ্বরও বহু হয়ে যায়, কিন্তু ঈশ্বর তো আর বহু নয়, ঈশ্বর একজন বা এক।
তাহলে ঈশ্বর এবং ভগবানের মধ্যে পার্থক্যটা আসলে কী ?
যার রূপ থাকে, তাকে যেমন বলে রূপবান; তেমনি- যশ, বীর্য, ঐশ্বর্য, শ্রী, জ্ঞান, বৈরাগ্য- এই ছয়টি গুনকে বলে ‘ভগ’ আর এগুলো যার মধ্যে থাকে, তাকে বলে ভগবান; আর সকল গুন যার মধ্যে থাকে তাকে বলে ঈশ্বর। কিন্তু সাধারণ মানুষ হিসেবে জন্ম নেওয়া কারো পক্ষে এই ছয়টি গুন অর্জন করা সম্ভব নয়, শুধু অবতার রূপে জন্ম নেওয়া কারো পক্ষেই কেবল এই ছয়টি গুন অর্জন করা সম্ভব; এছাড়াও প্রায় সব দেবতা এই ছয়টি গুনের অধিকারী, এই জন্যই বলা হয়- ভগবান রামচন্দ্র, ভগবান পরশুরাম, ভগবান ইন্দ্র, ভগবান বিষ্ণু, ভগবান শিব, ভগবান ব্রহ্মা, ভগবান্ শ্রীকৃষ্ণ এবং আরো অনেককে। কিন্তু পরমেশ্বর বা ঈশ্বর বলা হয় শুধু মানবরূপে জন্মগ্রহনকারী শ্রীকৃষ্ণ এবং পরমব্রহ্ম বা ব্রহ্মকে। তাহলে এখানে দেখা যাচ্ছে যে, ভগবান উপাধির অধিকারী শুধু অবতারগন এবং দেবতারা; তাহলে শ্রীকৃষ্ণকে একই সাথে ভগবান এবং ঈশ্বর বলা হচ্ছে কেনো ? হিসাবটা খুব সহজ, অন্যান্য সব অবতার ছিলো বিষ্ণুর আংশিক অবতার, কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ ছিলো পূর্ণ অবতার। তাই কৃষ্ণের মধ্যে সকল গুন ছিলো বলেই সে ঈশ্বর এবং যার মধ্যে সকল গুন থাকে, তার মধ্যে তো ছয়টি গুন থাকবেই, তাই সে একই সাথে ভগবান এবং ঈশ্বর। ব্যাপারটি এমন- সকল ক্ষমতার যিনি অধিকারী, তিনি প্রধানমন্ত্রী, কিন্তু যারা আংশিক ক্ষমতার অধিকারী তারা মন্ত্রী। তাহলে বিষয়টি দাঁড়ালো- সকল মন্ত্রীই প্রধানমন্ত্রী নয়, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মাত্রই যেকোনো মন্ত্রী। ঠিক তেমন, সকল ভগবান ঈশ্বর নয়, কিন্তু ঈশ্বর মাত্রই ভগবান।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বিষ্ণুর পূর্ণ অবতার হলেও শ্রীকৃষ্ণ কিভাবে পূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী ঈশ্বর হয়, বিষ্ণু তো পরমব্রহ্ম বা ব্রহ্মের তিনটি রূপ- ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর- এর একটি রূপ মাত্র ?
এই ধারণা ই হিন্দুধর্মের সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কিত ধারণার সকল জটিলতার মূল। আমরা ব্রহ্ম বা ঈশ্বরকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করে একেকটি ভাগে এক তৃতীয়াংশ ক্ষমতাকে বন্টন করে দিয়েছি এবং নানা আজগুবি গল্পের পুরাণ কাহিনী লিখে, সেই তিনজনের মধ্যে নানা ঝগড়া বিবাদও লাগিয়ে দিয়েছি, ফলে তারা তিনজন সম্পূর্ণভাবে আলাদা তিনটি সত্ত্বাতে পরিণত হয়েছে, কিন্তু ব্যাপারটা আসলে সেরকম নয়।
ব্রহ্ম বা ঈশ্বর যখন সৃষ্টি করেন, তখন তারই নাম ব্রহ্মা, যখন পালন করেন, তখন তারই নাম বিষ্ণু এবং যখন ধ্বংস করেন, তখনই তার নাম শিব বা মহেশ্বর। এই তিনটি নাম, তিনটি আলাদা আলাদা সত্ত্বা নয়, একই ঈশ্বরের আলাদা তিনটি নাম মাত্র। এর প্রমান আছে গীতার অনেক শ্লোকে, যেগুলো আপনারা কিছু পরেই জানতে পারবেন; তার আগে দেখাই- অনেকের ধারণা মতে, ব্রহ্মের তিন ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ এক তৃতীয়াংশ ক্ষমতার অধিকারী বিষ্ণুর অবতার হলেও- শ্রীকৃষ্ণ কিভাবে পূর্ণ ব্রহ্ম বা পরমেশ্বর ?
একটু আগেই বলেছি, ব্রহ্মকে যদি আমরা ‘ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর’ এই তিনভাগে ভাগ করি, তাহলেই আমরা ঝামেলায় পড়বো এবং এই অংক কোনোদিনই মেলাতে পারবো না। আবার এটাও বলেছি, ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর, আলাদা আলাদা কোনো সত্ত্বা নয়, তারা এই ব্রহ্মের তিনটি আলাদা নাম মাত্র। এখন আমি যে সূত্রের কথা বলছি, সেই সূত্র দ্বারা অংকটাকে সমাধান করার চেষ্টা করুন, দেখুন অংকটা মিলে কি না ?
ব্রহ্মের শক্তি ১০০%, ব্রহ্ম যখন সৃষ্টিকর্তা হিসেবে কাজ করেন, তখন তার নাম হয় ব্রহ্মা; আমি যেহেতু বলেছি- ব্রহ্মা, ব্রহ্মের তিন ভাগের এক ভাগ নয়, ব্রহ্মা, ব্রহ্মেরই অপর নাম; সেহেতু ব্রহ্মের ১০০% শক্তি চলে এলো ব্রহ্মার কাছে। একইভাবে ১০০% শক্তি যাবে ব্রহ্মের পালনকারী রূপ বিষ্ণু এবং ধ্বংসকারী রূপ শিবের কাছে। তার মানে ব্রহ্মা, বিষ্ণু বা মহেশ্বর, যে নামই বলি না কেনো প্রত্যেকেই ব্রহ্ম এবং সবার শক্তি ১০০%, এই সূত্রে বিষ্ণুর শক্তিও ১০০%, যা পূর্ণ শক্তি। এখন এই বিষ্ণুর পূর্ণ অবতার হিসেবে কৃষ্ণের মধ্যেও থাকবে ১০০% শক্তি, এই সূত্রেই কৃষ্ণ, পূর্ণব্রহ্ম বা পরমেশ্বর।
অংকের মাধ্যমে উপরে যা বললাম, এখন দেখুন গীতার মধ্যে সেই কথাগুলোর সমর্থন আছে কি না ? খুব বেশি কিছু না বুঝলেও, শুধু যদি কৃষ্ণের বিশ্বরূপের থিয়োরিটা ভালো করে বোঝা যায়, তাহলেই কিন্তু পরিষ্কার হয়ে যাবে যে, কৃষ্ণই সবকিছু এবং সবকিছুর আশ্রয় কৃষ্ণের মধ্যেই; কৃষ্ণের বিশ্বরূপের মধ্যে যা কিছু নাই, তার পূজা প্রার্থনা ও আরাধনা করার কোনো প্রয়োজন নেই।
কিন্তু আমরা এই মূল থিয়োরি না বুঝে, শুধু বহু দেবতার ই নয়, নির্বোধের মতো- যারা অবতার নয়, অবতার বলে শাস্ত্রে যাদের স্বীকৃতিও নেই, সেইরকম- বহু ব্যক্তিরও পূজা করে চলেছি । একটা কথা মনে রাখবেন, শাস্ত্রের অবতারিক স্বীকৃতির বাইরে সাধারণ মানুষ হিসেবে জন্ম নিয়ে অসাধারণ হয়ে উঠা ব্যক্তিগন আপনার গুরু হতে পারে, আপনাকে মুক্তির পথ দেখাতে পারে, আপনার শ্রদ্বার পাত্র হতে পারে, সম্মানের পাত্র হতে পারে, কিন্তু দেবতার স্থানে বসিয়ে সে পূজার যোগ্য নয়। যে সব ব্যক্তি দেবতার মতো বসে পূজা নেন এবং যারা তার পূজা করেন, তারা উভয়েই চরম অপরাধ করে চলেছে এবং তারা উভয়েই পাপী।
চৈতন্যদেব, লোকনাথ, রামকৃষ্ণ, প্রণবানন্দ, অনুকূল চন্দ্র, হরিচাঁদ, প্রভুপাদ এবং আরও যারা ছোট খা্টো নাম না জানা আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতাগন- সবাই এই থিয়োরির অন্তর্ভূক্ত; এরা সবাই মানুষকে ধোকা দিয়ে, বিভ্রান্ত করে, পৃথিবীতে নিজেদের অমর হওয়ার পথ তৈরি করেছে মাত্র। পূজা পাওয়ার যোগ্য শুধু মাত্র অবতার এবং দেবতাগন; কারণ, এরা আপনাকে মুক্তি দিতে পারে বা মোক্ষ লাভ করাতে পারে। যে মানুষ নিজেই মুক্তিপ্রার্থী, যার নিজের মুক্তিলাভ ই নিশ্চিত নয়, সে কিভাবে আপনাকে মুক্তি দেবে ? কোনো উকিল, ব্যারিস্টার, জজ কি আইনের বাইরে গিয়ে আপনার ফাঁসির দণ্ড থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারে ? তারা তো শুধু আপনাকে মুক্তির পথ দেখাতে পারে; আপনাকে মুক্তি দিতে পারে একমাত্র রাষ্ট্রপতি, যিনি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। সেই রাষ্ট্রপতির ই আধ্যাত্মিক রূপ হলো ঈশ্বররূপ শ্রীকৃষ্ণ, আপনি তার পূজা করেন, তার আদর্শকে ধারণ করেন, আপনি অন্য কারো পূজা করতে যাবেন কেনো ? আর তাদের পূজা করলে কি আপনি মুক্তি পাবেন ? থিয়োরি এবং বাস্তবতা কি তাই বলে ?
উপরের আলোচনায়, প্রধানমন্ত্রীকে একবার সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী, পরে আবার রাষ্ট্রপতিকে সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী বললাম। আসলে বাংলাদেশ-ভারতের ভেজাল গনতন্ত্রের কারণে উদাহরণের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে এরকম বলতে হলো। আমেরিকান গনতন্ত্র হলে শুলু রাষ্ট্রপতি বললেই হতো। বাংলাদেশ ভারতের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী প্রধানমন্ত্রী, কিন্তু কিছু কিছু কাজ আবার প্রধানমন্ত্রী করতে পারেন না, করেন রাষ্ট্রপতি, সেটাও আবার প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে, মারার জন্য হাতে তরোয়াল তুলে দিয়ে বলেছে, আমি অর্ডার না দিলে মারবি না, বোঝেন অবস্থা ! তুই যদি নিজের হাতেই মারবি, তাহলে তরোয়ালটাও নিজের হাতে রাখ না! এজন্যই বললাম ভেজাল গনতন্ত্র।
যা হোক, ঈশ্বর হিসেবে কৃষ্ণই যে সব কিছু, এবার সেই প্রমানগুলো তুলে ধরছি গীতার আলোকে-
গীতার ১০/৬ নং শ্লোকে বলা হয়েছে,
“মহর্ষয়ঃ সপ্ত পূর্বে চত্বারো মনবস্তথা।
মদভাবা মানসা জাতা যেষাং লোক ইমাঃ প্রজাঃ।।”
এর অর্থ – সপ্ত মহর্ষি, তাদের পূর্বজাত সনকাদি চার কুমার ও চতুর্দশ মনু, সকলেই আমার মন থেকে উৎপন্ন হয়ে আমা হতে জন্মগ্রহণ করেছে এবং এই জগতের স্থাবর জঙ্গম আদি সমস্ত প্রজা তাঁরাই সৃষ্টি করেছেন।
আমরা জানি যে, ব্রহ্মার মন থেকে উৎপন্নদের মনু বলা হয়, কিন্তু এখানে শ্রীকৃষ্ণ বললেন, চতুর্দশ মনু তার মন থেকেই উৎপন্ন, তার মানে ব্রহ্মাই শ্রীকৃষ্ণ।
আবার দেখুন, অর্জুনকে বিশ্বরূপ দেখাতে গিয়ে শ্রীকৃষ্ণ তার দেহে কাকে ধারণ করেছিলেন-
গীতার ১১/১৫ নং শ্লোকের মধ্যে বলা আছে,
“ব্রহ্মাণমীশং কমলাসনস্থনম”
অর্থাৎ, অর্জুন, শ্রীকৃষ্ণের দেহে কমলাসনে স্থিত ব্রহ্মাকে দেখতে পাচ্ছেন।
আবার, ১০/২৩ এর প্রথম শ্লোকে বলা আছে,
“রুদ্রানাং শঙ্করশ্চাস্মি”
এর মান হলো- রূদ্রদের মধ্যে আমি শিব।
অর্থাৎ, শ্রীকৃষ্ণই যে শিব এখানে তা প্রমানিত।
এছাড়াও দেখুন, শ্রীকৃষ্ণই যে- ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর তার প্রমান,
গীতার ১৩/১৭ নং শ্লোকে বলা আছে,
“অবিভক্তং চ ভূতেষু বিভক্তমিব চ স্থিতম।
ভূতভর্তৃ চ তজজ্ঞেয়ং গ্রসিষ্ণু প্রভবিষ্ণু চ।।”
এর অর্থ- পরমাত্মাকে যদিও সমস্ত ভূতে বিভক্তরূপে বোধ হয়, কিন্তু তিনি অবিভক্ত। যদিও তিনি সর্বভূতের পালক (বিষ্ণু), তবু তাকে সংহার কর্তা ( শিব) ও সৃষ্টিকর্তা (ব্রহ্মা) বলে জানবে।
শুধু তাই নয়, শ্রীকৃষ্ণই যে ব্রহ্ম, সেই কথা বলা আছে গীতার ১৪/২৭ নং শ্লোকে,
“ব্রহ্মণো হি প্রতিষ্ঠাহমমৃতস্যাব্যয়স্য চ।
শাশ্বতস্য চ ধর্মস্য সুখস্যৈকান্তিকস্য চ।।”
এর অর্থ- আমিই নির্বিশেষ ব্রহ্মের প্রতিষ্ঠা বা আশ্রয়। অব্যয় অমৃতের, শাশ্বত ধর্মের এবং ঐকান্তিক সুখের আমিই আশ্রয়।
এছাড়াও গীতার ১০/৩১ নং শ্লোকে বলা আছে,
“রামঃ শস্ত্রভৃতামহম্”
এর অর্থ- আমিই রাম।
এবং গীতার ১০/২৪ নং শ্লোকে বলা আছে
“সেনানীনামহং স্কন্দঃ”
এর অর্থ- সেনাপতিদের মধ্যে আমি কার্তিক।
এসব ছাড়াও সকল দেবতার পূজার স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য তিনি গীতার ৯/২৩ নং শ্লোকে বলেছেন,
“যেহপ্যন্যদেবতাভক্তা যজন্তে শ্রদ্ধয়ান্বিতাঃ।
তেহপি মামেব কৌন্তেয় যজন্ত্যবিধিপূর্বকম।।”
এর অর্থ- হে কৌন্তেয়, যারা অন্য দেবতাদের ভক্ত এবং শ্রদ্ধা সহকারে তাদের পূজা করে, প্রকৃতপক্ষে তারা অবিধিপূর্বক আমারই পূজা করে।
উপরের এই আলোচনা থেকে পাঠক বন্ধুদেরকে নিশ্চয় এটা বোঝাতে সক্ষম হয়েছি যে, বহু দেবতার পূজা করলেও, আমরা আসলে এক ঈশ্বররেই পূজা করি, সেই ঈশ্বর হলেন মানবরূপে জন্মগ্রহনকারী শ্রীকৃষ্ণ, আধ্যাত্মিকভাবে যিনিই পরমব্রহ্ম বা ব্রহ্ম। সুতরাং হিন্দু শাস্ত্র মতে, এই বিশ্বজগতের সকল কিছুর স্রষ্টা পরম ব্রহ্ম বা পরমেশ্বর, মানবরূপে যিনি শ্রীকৃষ্ণ।
জয় হিন্দ।
জয় শ্রীকৃষ্ণ।
তাহলে শ্রী কৃষ্ণ কেন তিনি ছাড়া অন্য কোনো পরমেশ্বরের ঈঙ্গিত দিয়েছেন গীতায়?
উত্তরমুছুনছান্দোগ্য উপনিষদে (৬/২) আছে — ” একমেবদ্বিতীয়ম্ ” তিনি এক, অদ্বৈত।
মুছুনশ্বেতাশ্বতর উপনিষদ (৬/৮) আছে– ” ন তস্য কারযং করণঞ্চ বিদ্যতে ন তৎসমশ্চাব্যধিকশ্চ দৃশ্যতে ।” সরলার্থ— পরমেশ্বরের শরীর নেই, ইন্দ্রিয়ও নেই,তাঁর সমান বা তাঁর থেকে শ্রেষ্ঠ কেউ নেই।
শ্বেতাশ্বতর উপনিষদের (৬/৯) শ্লোকে আছে– ” ন চাস্য কশ্চিৎ জনিতা ন চাধিপঃ।” সরলার্থ— তাঁর কোনও জনক বা অধিপতি নেই।
শ্বেতাশ্বতর উপনিষদের (৪/১৯) শ্লোকে আছে– ” ন তস্য প্রতিমা অস্থি।” সরলার্থ —– সেই পরমেশ্বর অখণ্ড এবং অদ্বিতীয়, এজন্য তাঁর প্রতিমা বা প্রতিকৃতি নেই।
শ্বেতাশ্বতর উপনিষদের (৪/২০) শ্লোকে আছে– ” ন সন্দৃশে তিষ্ঠতি রূপমস্য ন চক্ষুষা পশ্যতি কশ্চনৈনম্ ।” সরলার্থ— এই পরমেশ্বরের স্বরূপ ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য নয়, কেউই তাঁকে চক্ষু দ্বারা দর্শন করতে পারে না। ( এই সমস্ত শ্লোকের বাংলা উচ্চারণ ও সরলার্থ গ্রহণ করা হয়েছে অতুলচন্দ্র সেন অনূদিত “উপনিষদ” থেকে।
যজুর্বেদের ৩২ নং অধ্যায়ের ২ নং শ্লোকে আছে – ‘ন তস্য প্রতিমা অস্তি।’ অর্থাৎ… ‘স পরমেশ্বর অখণ্ড ও অদ্বিতীয়, এজন্য তাঁর প্রতিমা বা প্রতিকৃতি নেই।’
মুছুনযজুর্বেদের ৪০ নং অধ্যায়ের ৭ নং শ্লোকে আছে – ‘স পরযগাছ ক্রমকায়মব্রণ মস্রাবিরং ‘অর্থাৎ… ‘তিনি প্রাকৃত শরীররহিত, অক্ষত, স্নায়ুরহিত’
যজুর্বেদের ৪০ নং অধ্যায়ের ৮ নং শ্লোকে আছে – ‘অন্ধং তমঃ প্রবিণন্তি যে হ সংভূতিমপাসতে।’ অর্থাৎ… ‘যারা অবিদ্যা কাম্য কর্মের বীজস্বরূপ প্রকৃতির উপাসনা করে,তারা অন্ধকার সংসারে প্রবেশ করে।’ এর অর্থ— যারা জল, বায়ু, অগ্নি, চন্দ্র, সূর্য ইত্যাদি প্রাকৃতিক জিনিসের উপাসনা করে তারা অন্ধকারে পতিত হয়।
ঋগ্বেদের প্রথম মণ্ডল, ১৬৪ সূক্ত, ৪৬ নং শ্লোকে আছে– ‘একং সদ্ধিপ্রা বহুধা বদন্ত্যগ্নিং…’। সরলার্থ— ঋষিরা এক ঈশ্বরকে বহু নামে ডাকেন। সত্য হল এক। এক ঈশ্বর। ঋষিরা একে বহু নামে ডাকেন। ঋগ্বেদে সর্বশক্তিমান স্রষ্টার প্রায় তেত্রিশটি ভিন্ন ভিন্ন গুনের কথা প্রকাশিত হয়েছে।
ব্রহ্মা = স্রষ্টা : ঋগ্বেদ, দ্বিতীয় মণ্ডল, সূক্ত ১, শ্লোক ২— সর্বশক্তিমান স্রষ্টাকে ঋগ্বেদে কখনও কখনও ব্রহ্মা বলা হয়েছে। ব্রহ্মা’ শব্দটির অর্থ ‘স্রষ্টা। এর আরবি প্রতিশব্দ হল ‘খালিক’। ইসলামে সর্বশক্তিমান আল্লাহকে খালিক বলা হয়। বেদে বলা হয় ব্রহ্মা। কিন্তু প্রশ্ন হল, ব্রহ্মার চারটি মাথার কল্পনা কোথা থেকে এল?
যজুর্বেদের ৩২নং অধ্যায়ের ২নং শ্লোকে আছে– ‘ন তস্য প্রতিমা অস্তি।’ সরলার্থ—“অদ্বিতীয় পরমেশ্বরের কোনও প্রতিমা বা প্রতিকৃতি নেই।’ অর্থাৎ, পরমেশ্বরের চারটি মাথার কল্পনা এই শ্লোকের পরিপন্থী।
শ্বেতাশ্বতর উপনিষদের তৃতীয় অধ্যায়ের ১০নং শ্লোকে আছে— ‘তদরূপমনাময়’। সরলার্থ—“তিনি অরূপ (নিরাকার) ও অনাময় (নীরোগ)।’ ধর্মগ্রন্থে যাঁকে অরূপ বা নিরাকার বলা হল, পরবর্তীকালে তাকে চারটি মাথাযুক্ত শরীরী অবয়ব দান করা হল কোন উদ্দেশ্যে?
বিষ্ণু = রক্ষাকারী বা পালনকর্তা : ঋগ্বেদ, দ্বিতীয় মণ্ডল, সূক্ত ১, শ্লোক ৩… সর্বশক্তিমান স্রষ্টাকে ঋগ্বেদে কখনও কখনও বিষ্ণু বলা হয়েছে। ‘বিষ্ণু’ শব্দের অর্থ রক্ষাকারী বা পালনকর্তা। এর আরবি প্রতিশব্দ হল ‘রব’। বিষ্ণুকে যদি স্রষ্টা ভাবা হয় তাহলে তার চারটি বাহুর কল্পনা করা হল কেন? তার কোনও বাহুতে ‘চক্র’, আবার কোনও বাহুতে ‘শঙ্খ’ এল কোথা থেকে? যাঁর কোনও রূপ নেই, সেই সর্বশক্তিমান স্রষ্টাকে রূপের বাঁধনে বাঁধা, ইসলামে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। শুধু ইসলামে সেটা নিষিদ্ধ নয়, উপনিষদে সেটা নিষিদ্ধ, শ্রীমদ্ভাগবতেও সেটা নিষিদ্ধ।
লেখক দ্বিতীয় প্যরায় মুসলিমদের কিছু কৌশলের কথা বলেছেন। ঐগুলো কোন কৌশলই না, ঐসব কথায় আস্থা রেখে কেউ মুসলিম হয় না, একেবারে গণ্ডমূর্খ কয়েকজন ছাড়া। একজন স্বশিক্ষিত প্রকৃত মুসলিম শুধুমাত্র কোরআন ও হাদিসের বাক্যগুলর উপর আস্থা রেখে মুসলিম হয়।
উত্তরমুছুনঠিক
মুছুননিজেদের ধর্মগ্রন্থ পড়েন ভালো করে। অস্তিত্ব পাবেন স্রষ্টা এক ও অদ্বিতীয়। এবং মুহাম্মদ সা. সর্বশেষ ও চূড়ান্ত নবী বা অবতার। এই ছোট সত্যটুকু বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে আপনাদের। তাই মুসলিমদের কটাক্ষ করেছেন। লাভ নেই। ইসলাম সত্যি। আর প্রতিদিন শত শত মানুষ ইসলাম গ্রহণ করছে। কেন করছে জানেন? আপনাদের এইরকম বিভ্রান্তিমূলক লেখনী দেখে। মানুষ ইসলামে আসল শান্তি খুঁজে পায় বলেই ইসলাম গ্রহণ করছে।
উত্তরমুছুনএসব লেখা থেকে দূরে থাকুন। সত্যের বিরুদ্ধে যারা তারাই নির্বোধ ও মূর্খ।
আর যারা জেনে শুনে সত্যকে আড়াল করে তারা অপরাধী।
ইসলামের আতঙ্ক আর জেহাদ মানুষকে ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করছে। গজবা ই হিন্দ কি? বিশ্ব এর মানুষকে ভয় দেখিয়ে,সন্ত্রস সৃষ্টি করে ,লোভ দেখিয়ে ইসলামের অন্তর্ভুক্তির প্রমাণ ইতিহাস দিচ্ছে। অন্য ধর্মাবল্বীদের তো বটেই,ইসলাম ইসলামকেও মারছে।ইসলামের ধ্বংস অবাষ্যমভাবি।
মুছুননামহীন
মুছুননিজে কি জিহাদের সংগা জানেন ? আর হিন্দু সন্ত্রাস এবং ইহুদিরা যখন মুসলিমদের ওপর আক্রমণ চালায় তখন আপনি কোথায় থাকেন তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারেন না কেন . ওই একচোখাগুলো যখন আক্রমণ চালায় তারা তখন ভালো মানুষ মুসলিম যখন পাল্টা আক্রমণ চালায় তখন তারা জঙ্গি ?যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী ও ভাষাতাত্ত্বিক অধ্যাপক শেলডন পোলক বলেছেন, মুসলমান শাসকরা জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করালে বর্তমান ভারতে একজনও হিন্দু থাকত না। কারণ হিসেবে মুসলমান শাসকদের প্রায় ১২০০ বছর ভারত শাসন করার ইতিহাস তুলে ধরেছেন তিনি।
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ের অধ্যাপক শেলডন পোলক নিজেকে ‘ইহুদি ব্রাহ্মণ’ বলে পরিচয় দেন। সংস্কৃত পারদর্শী এই অধ্যাপক হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মূর্তি ক্লাসিকাল লাইব্রেরি ইন্ডিয়া প্রকল্পের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। সম্প্রতি রাজস্থানের জয়পুরের সাহিত্য উৎসবে এসেছিলেন তিনি।
পোলককে প্রশ্ন করা হয় যে ‘অনেকে বলেন, ইসলামি আক্রমণের পর সংস্কৃতের পতন হল, শাসকের দাপটে সবাই উর্দু, ফার্সি শিখতে ছুটলো।’ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাজে কথা। তোমাদের বাংলার নবদ্বীপ বা মিথিলা সংস্কৃত ন্যায়চর্চার কেন্দ্র হয়েছিল সুলতানি আমলে।’
তিনি বলেন, ‘দারাশিকো বেদান্ত পড়ছেন বারাণসীর পন্ডিতদের কাছে। মুসলমান শাসকরা এ দেশে প্রায় বারোশো বছর রাজত্ব করেছিলেন। তারা জোর করে ধর্মান্তরিত করালে এ দেশে (ভারতে) একজনও হিন্দু থাকত না। তাদের উৎসাহ না থাকলে সংস্কৃতও টিকে থাকত না। ধর্মের সঙ্গে ভাষার উত্থান-পতন গুলিয়ে তাই লাভ নেই।’
সংস্কৃত এবং ধ্রুপদী সাহিত্য চর্চায় ভারত কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে জানতে চাইলে সমসাময়িক বুদ্ধিবৃত্তিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি ভাষার এই পন্ডিত বলেন, ‘চাই মুক্ত, বহু মানুষের কণ্ঠস্বরকে সম্মান করার মতো পরিবেশ। সংস্কৃতকে কোনো নির্দিষ্ট বর্ণের মানুষ সংরক্ষণ করেনি, সমাজের সব অংশের তাতে ভূমিকা রয়েছে।’
পোলক বলেন, ‘কোনো ডিভাইসিভ, এক্সক্লুশনারি, মেজরিটারিয়ান রাজনীতি তাই সংস্কৃতের অন্তরায়। দরকার সবাইকে নিয়ে মুক্ত আনন্দের সৃষ্টিশীল পরিবেশ। পরাজিতের বিষণœতাবোধ থেকে সংস্কৃত পড়া যায় না, দরকার বহু স্বরের, বহু স্তরের আনন্দের উপলব্ধি।’
তিনি বলেন, ‘প্রথমে কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয় সংস্কৃত সংস্থানের খোলনলচে বদলাতে হবে। ব্রাহ্মণ, অব্রাহ্মণ, মুসলিম, দলিত সব মিলিয়ে ভারতে কতজন সংস্কৃত পড়ে? কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবু আমার ধারণা, সাড়ে সাত কোটি। সংখ্যাটা তিন কোটি হতে পারে, দশ কোটিও! এই সাড়ে সাত কোটি ছাত্র কী শেখে, কতটুকুই বা শেখে? কিচ্ছু না।’
অধ্যাপক পোলকের মতে, ‘তাদের দোষ নেই, শেখানোর মানুষ কোথায়? ফলে প্রথমেই দরকার আন্তর্জাতিক মানের একটি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ক্লাসিকাল স্টাডিজ। এদেশে এত আইআইটি, আইআইএম! সবাই ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং আর ম্যানেজমেন্ট পড়তে ছুটছে। কিন্তু ধ্রুপদী সাহিত্যচর্চার একটা কেন্দ্র নেই?’
তিনি এসবের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এসব থাকলে সেখানে মেধার চর্চা হবে, সর্বোচ্চ মেধাবীরা পড়াবেন ও গবেষণা করবেন। তখনই দ্বিতীয় প্রজন্মের বিশেষজ্ঞা ও জ্ঞানী তৈরি হবে। এটাই সবচেয়ে জরুরি।’
এক ঈশ্বরবাদের পবিত্রতা রক্ষা করা ঈশ্বর প্রেমিকদের পবিত্র দায়িত্ব। নিরাকার এক ঈশ্বরবাদই পরম শান্তি।
উত্তরমুছুনapnar issor ki etotai okkhom? J tar pobitrota apnar moto ekjon sadharon manus rokkha korte hobe?
মুছুনযার মধ্যে আল্লাহ বা ঈশ্বর বা ভগবান কে ভেঙ্গে ভেঙে বহু রুপে বিভক্ত করেছে, সেটাই অধর্ম; যা নরকের পথ। আর যার মধ্যে আল্লাহ বা ঈশ্বর বা ভগবানের এক ঈশ্বরবাদ সংরক্ষিত ও বিদ্যমান রয়েছে, সেটাই ধর্ম বা পবিত্র ধর্ম। আল্লাহ বা ঈশ্বর বা ভগবান এর এক ঈশ্বরবাদ রক্ষা করা সকলের জন্য পবিত্র দায়িত্ব; যা স্বর্গীয় পথ।
উত্তরমুছুনযিনি বা যারা নিজেকে বা কোন বস্তুকে বা কোন সৃষ্টিকে আল্লাহ বা ঈশ্বর বা ভগবান বলে প্রকাশ ও প্রচার করে; তিনি বা তারা এক ঈশ্বরবাদের বিশ্বাসের উপর মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন।
উত্তরমুছুনমহাবিশ্ব সাধক-ইমাম মোয়াজ্জেম হোসেন আল-বংগেস্তী হযরত জিবরাইল আ. এর মাধ্যমে স্বর্গে চলে যান, হযরত অর্জুন (আ.) এবং হযরত শ্রী কৃষ্ণ (আ.) এর সাথে স্বাক্ষাত করতে। হযরত অর্জুন (আ.) এবং হযরত শ্রী কৃষ্ণ (আ.) পরম দেবতাকে দেখতে পেয়ে মহা খুশি। তাদের মাঝে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। হযরত অর্জন (আ.) মহাবিশ্ব সাধক কে বলেন, খৃষ্টপূর্ব প্রায় পয়ত্রিশ শত বছর আগে ভারত বর্ষে মানবজাতির শান্তি ও কল্যাণের জন্য আমাকে (অর্জুন) আল্লাহপাক তার মনোনীত প্রতিনিধি নবী হিসাবে প্রেরণ করেন এবং ফেরেশতা হযরত শ্রী কৃষ্ণ (আ.) আল্লাহর পক্ষ থেকে বিভিন্ন আধ্যাত্বিক ওহি নিয়ে পৃথিবীতে আমার কাছে যেতেন। সেই বাণীগুলো গ্রন্থাকারে লিপিবদ্ধ করি। গ্রন্থের নামকরণ করা হয় গীতা। হযরত অর্জুন (আ.) বলেন, আমার পিতা পান্ডু ও মাতা কুন্তী। উপস্থিত সকলে বললেন আমিন।
উত্তরমুছুনহযরত শ্রী কৃষ্ণ (আ.)মহাবিশ্ব সাধক কে বলেন, আমি (শ্রী কৃষ্ণ) আল্লাহর ওহি বহনকারী একজন ফেরেশতা। হযরত শ্রী কৃষ্ণ (আ.) বলেন, হযরত অর্জুন (আ.) পৃথিবীতে থাকাকালীন সময়ে তার নিকট আধ্যাত্বিক ওহি আল্লাহর পক্ষ থেকে নিয়ে যেতাম। হযরত শ্রী কৃষ্ণ (আ.) বলেন, আমার কোন পিতা, মাতা নাই। আর ফেরেশতাদের কোন পিতা, মাতা থাকে না। আর সকল ফেরেশতা আল্লাহর সৃষ্টি ও তাঁর (আল্লাহর) হুকুমের গোলাম। উপস্থিত সকলেই বললেন আমিন।
হযরত শ্রী কৃষ্ণ (আ.)মহাবিশ্ব সাধক কে বলেন, হযরত অর্জুন (আ.) পৃথিবী থেকে চলে আসার প্রায় এক হাজার বছর পর ‘মহর্ষি ব্যাস’ নামক এক পন্ডিত গীতার মাঝে এক ইশ্বরবাদ বাণীগুলো মুছে, ভ্রান্ত ও কাল্পনিক করে বহু ঈশ্বরবাদ মতামত গীতার মাঝে আবদ্ধ করে; সেই গ্রন্থের নামকরণ করা হয় শ্রীমদ্ভগবদগীতা। সেই থেকে সনাতন ধর্মালম্বী অনেকের মাঝে বহু ঈশ্বরবাদ মতামত প্রসার পায়।
হযরত শ্রী কৃষ্ণ (আ.)মহাবিশ্ব সাধক কে বলেন, শুধু তাই নয়, ‘মহর্ষি ব্যাস’ পন্ডিত তার কল্পকাহিনীর মাধ্যমে আমার (শ্রী কৃষ্ণে) পিতা ও মাতা বানানো হয়েছে, তাদের নাম বসুদেব ও দেবকী। হযরত শ্রী কৃষ্ণ (আ.) বলেন, পৃথিবীতে হযরত অর্জুন (আ.) এর জীবদ্দশা পর্যন্ত একবারই ছিলাম এবং হযরত অর্জুন (আ.) পৃথিবী থেকে চলে আসার পর আল্লাহপাক আমাকে আর পৃথিবীতে পাঠান নাই। হযরত শ্রী কৃষ্ণ (আ.) বলেন, ‘মহর্ষি ব্যাস’ পন্ডিত এর কল্পকাহিনীর মাধ্যমে আমার (কৃষ্ণের) জন্মাষ্টমী তৈরী করা হয়, এটি সম্পূর্ণই কাল্পনিক। পন্ডিত ‘মহর্ষি ব্যাস’-এর বহু ঈশ্বরবাদের মতবাদ সনাতন ধম্বলম্বীদের মাঝে ঢুকে পরে এবং গীতা গ্রন্থের মধ্যে ৯০% ভ্রান্ত ও কাল্পনিক বহু ঈশ্বর সম্পর্কে মতবাদ, অর্জুন ও আমার (কৃষ্ণ) সম্পর্কে কিসছা কাহিনী ঢুকিয়ে শ্রীমদ্ভগবদগীতা নামকরণ করা হয়।
হযরত অর্জুন (আ.) এবং হযরত শ্রী কৃষ্ণ (আ.) মহাবিশ্ব সাধক কে বলেন, আল্লাহ বা ঈশ্বর বা ভগবান একক স্বত্বা। তার কোন শরীক নাই; তার কোন প্রতিমা বা প্রতিমূর্তি বা প্রতিচ্ছবি নাই; তিনি অদ্বিতীয় ও অবিনশ্বর স্বত্বা। হযরত অর্জুন (আ.) এবং হযরত শ্রী কৃষ্ণ (আ.) বলেন, আল্লাহর একাত্ববাদ ও নিরাকার ঈশ্বরবাদ পরম শান্তি। উপস্থিত সকলে বললেন আমিন। এছাড়া মহাবিশ্ব সাধক, হযরত অর্জুন (আ.) এবং হযরত শ্রী কৃষ্ণ (আ.) এর মাঝে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
অত:পর মহাবিশ্ব সাধক হযরত জিবরাঈল (আ.) এর মাধ্যমে পৃথিবীতে চলে আসেন। আমিন।
Amr atto hashi pacche😆😆..hazarat sree krishna😀😀😆😆..lol....Sree krishna dhormo prochar a ashachan😅😅😆😆...Oi shomoi shobsi hindu e chilo😁😁.....
মুছুন....muslim mane baiman ar dhanda baz,😠😠😠
give reference of your writing from quran and hadis
মুছুনআপনি হযরত ভাই, আপনি হযরত জল খেয়ে অসাধারণ হযতর পাগল হয়ে গেছেন। তাই হযতর ডাক্তারের কাছে গিয়ে হযরত চিকিৎসা করান তবেই হযরত মানুষ হতে পারবেন।
মুছুনএইসব ফালতু কথা বলে আপনি কী প্রমাণ করতে চাইছেন? হিন্দুদের যারা বাস্তবেই বুঝেছে তারা কেউ কাপ্লনিক, কেউ বাস্তববাদী এবং কেউ সত্য ইতিহাস জেনেছে।
আর আপনি হযরতমশাই কোরান আর গীতা ভুল পড়ে সম্পূর্ণ হযরত পাগল(সাঃ) হয়ে পড়েছেন। তাই যা পারছেন তাই বলছেন। তবে আশাকরি আপনি জীবনে খুব বড়ো এক হযরত মূর্খ হবেন যা হিন্দু ও ইসলাম ধর্ম বিরোধী হবে।
এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
উত্তরমুছুনযিনি বা যারা নিজেকে বা কোন বস্তুকে বা কোন সৃষ্টিকে আল্লাহ বা ঈশ্বর বা ভগবান বলে প্রকাশ ও প্রচার করে; তিনি বা তারা প্রতারক।
উত্তরমুছুনহিন্দু ধর্ম যতো পরি অভিভূত হই,,এরকম ভূলে ভরা ভোগাস ধর্ম নিয়ে তেনাপেচানো উত্তর পরে আরও হাসি পায়,,হিন্দুদের প্রধান কাজ ই হয়তো ইসলামকে হেয় করা,, প্রতিটা লেখনিতে ওদের ইসলামবিদ্বেষী কথা,,হিন্দু নাম কোথা থেকে এলো বলতে পারেন,,,সিন্ধু থেকে,,,যেটা সার্বজনীন ধর্ম তার নাম এলাকার নাম অনুযায়ী,এটা হাস্যকর,,, জোর করে যদি মুসলমান ধর্মান্তরিত করতো তাহলে ৩০০ বছর মুসলমান মোঘলরা ভারত শাসন করার পর সেখানে তো হিন্দু থাকার কথাই না,,,পরিশেষে পৃথিবীর চারদিকে চারটি খুটি গরুর উপর পৃথিবী এরকম কল্পকথা ধর্মের কথা হতে পারে না,গনেশ তার মা পার্ব, ব্রহ্মা তার মেয়ে স্বরশ্বতী,কৃষ্ণ তার মামী রাধার সাথে অবৈধ সম্পর্ক শুধুমাত্র হিন্দু ধর্মেই শিক্ষা দেয়।সচেতন মানুষ কখনো এটাকে ধর্ম মানতে পারে না,,,
উত্তরমুছুনসত্যি বিপদের সময় এরা এদের কোণ দেবতা কে ডাকবে কনফিউজ 😄😄😄😄 "এ কে ডাকলে, সে রেগে যাবে,তাকে ডাকলে ও রেগে যাবে😄😄😄😄😄😄 এ কি হচ্ছে ফাজলামি 'ভাই জগা খিচুড়ি বাদ দাও মানূষ কে বিহ্মান্ত করনা; ওকে" যে খানে যাকে দেখলো পূজা শুরু সে গাছ হোক বা পাথর কাকর সাপ ব্যাঙ ইদুর বিড়াল গরু বাছুর ছাগল হাতি বাঘ সি্ংহ শিয়াল আবার কি লিঙ্গ যোনি: ধেততেরি কোন ভিত আছে : 😋😋😋😋😋
উত্তরমুছুনduro vai aponi valo kore itihas poren ar gobeshona koren aey dormmer name chilo boidik dhormo ar ata chilo manusher mukhe mukhe ar er probokta chilo nho a dirgo din manush mukhe mukhe thakay manush tar sar mommo vule zay jar karone je jar motekore dhormo sajai
উত্তরমুছুনapni akta gadar porichoy dilen murkku manob
উত্তরমুছুনক্ষগ
উত্তরমুছুনআপনার ব্যাখ্যা দারা বোঝা যাচ্ছে, কৃষ্ণ যদি ইশ্বর হয়। তাহলে যিনি ইশ্বর তিনিই ব্রক্ষা, তিনিই শিব,তিনিই সর্বশ্রেষ্ট।
উত্তরমুছুনতাহলে হিন্দু ধর্মে বলা হচ্ছে যে,
যযুবেদ অধ্যায় ৪০ অনুঃ ০৮।
" ঈশ্বর বাদে আর কারো উপাসনা কর না; শুধুমাত্র তার উপসনা কর যিনি সুমহান ঈশ্বর। "
(তাহলে কেনো দুর্গা, লক্ষী, কালী সহ ১৩ এর অধিক পূজা করা হচ্ছে।)?
আবার ব্রহ্মআ যদি ইশ্বর হয় তাহলে তার স্ত্রী সরস্বতী কেনো?
প্রমাণ: ঋগবেদ- ৮, খন্ড-,মন্র- ১ এ বলা হচ্ছে,
ইশ্বর মাত্র একজনই। দ্বিতীয় কেউ নয়, কেউ নয়, কেউ নয় আর কেউ কখনো ছিলোও না।
অন্য জায়গায়, কৃষ্ঞ এর স্ত্রী রাধা। তাহলে তিনি কিভাবে ইশ্বর হয়।
তাহলে, বুঝা যাচ্ছে আপনি একজন উন্মাদ সেই সাথে হিন্দু ধর্মের নিজির্স কোনো যুক্তি নেই পুরাই ফোকাস। পুরাটা বানোয়াট। ফালতু।
লেখার শেষে জয় কৃশনো। ভারতে এখন রাম রাম চলতেছে। বাকিজনদের ও নাম নেওয়া দরকার মনে করি।
উত্তরমুছুন�� হিন্দু ধর্মে সৃষ্টিকর্তা এক❗❗❗
উত্তরমুছুন"হিন্দু ধর্মগ্রন্থে এক ঈশ্বর ???'' কথাটা শুনলে অনেক ভাই বোনদের (হোক মুসলিম কিংবা অমুসলিম) মনে এই প্রশ্নটা জাগবে । জানি, কথাটা সাধারণ হিন্দু ভাই বোনদের কে একটু দ্বিধায় ফেলতে পারে। কিন্তু , হিন্দু ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী ঈশ্বর মাত্র একজন। আগে সকল হিন্দু ভাই বোনদের কে বলছি, এই নোটটা আপনাদের বিশ্বাস কে খাটো করে দেখানোর জন্য না। এই নোটটা আমার কথা না। দেখুন আপনাদের ধর্মগ্রন্থ কি বলছে । এই নোটটা লিখা হয়েছে আপনাদের মুল ধর্মগ্রন্থের মুলবিশ্বাসের দিকে আহ্বান করার জন্য। তাই শুরু করছি আপনাদের পবিত্র গ্রন্থ ভগবদ গীতা দিয়ে।
⭕ ১. ভগবদ গীতায় ঈশ্বরের ধারণা :
''সেসব লোক যাদের বিচার বুদ্ধি কেড়ে নিয়েছে জাগতিক আকাঙ্খা, তারাই মূর্তি পূজা করে।'' (ভগবদ গীতা ৭:২০)
⭕ ২. উপনিষদে ঈশ্বরের ধারণা
আগে বলে নেই উপনিষদ কি ?? উপনিষদ হচ্ছে হিন্দু ভাই বোনদের কাছে বেদের পরে , সবচেয়ে পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ । সংস্কৃত ভাষায় , 'উপ' অর্থ 'কাছাকাছি', 'নি' অর্থ 'নিচে' এবং 'ষদ' অর্থ ছাত্র । এখন আসল কথায় আসি ,
ছান্দোগ্য উপানিষদ , প্রাপাথাকা - অধ্যায় ৬, শ্লোক ২, "এক্কাম এবাদিতিয়াম"অর্থাৎঃ ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয় ।
শ্বেতাশ্বত্র উপনিষদ অধ্যায় ৬ , শ্লোক ৯ "না চাস ইয়া কাসচিজ জানিতা না কাধিপাহ" অর্থাৎঃ" ঈশ্বরের কোন বাবা মা নেই, তার কোন প্রভু নেই"।
শ্বেতাশ্বত্র উপানিষদ, অধ্যায় ৪, শ্লোক ১৯ "na tasya pratima asti" (না তাস্যা প্রাতিমা আস্তি) অর্থাৎঃ" ঈশ্বরের কোন প্রতিমা নেই।"
⭕ ৩. বেদে ঈশ্বরের ধারণাঃ বেদ হল হিন্দু ধর্মে সবচেয়ে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। বেদ শব্দটি এসেছে "বিদ" থেকে যার অর্থ "জানা, পবিত্র জ্ঞান"। mainly প্রধানত চার ধরনের বেদ রয়েছে,
ক। রিগবেদ ।
খ। অথর্ব বেদ ।
গ। যজুর্বেদ ।
ঘ। সামবেদ ।
এখন আমরা দেখি বেদ অনুযায়ী ঈশ্বরের ধারণা ,
"ন তস্য প্রতিমা আস্তি" অর্থাৎ "তার কোন আকার নাই" [যজুর্বেদ,৩২:৩]
"তিনি উজ্জ্বলতায় সমাসীন । তিনি অমূর্ত নিরাকার, শরীর-বিহিন এক পবিত্র সত্তা, যাকে কোন অশুভ ভেদ করে নাই । তিনি সুদূরদর্শী, প্রজ্ঞাময়, সর্বব্যাপী সয়ম্ভু, যিনি যথার্থভাবে অনন্ত সময়ের জন্য লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট করেছেন ।" [যজুর্বেদ-৪০:৮]
ঋগবেদ গ্রন্থ ১, পরিচ্ছেদ ১৬৪, অনুচ্ছেদ ৪৬ "সত্য একটাই। ঈশ্বর একজনই। জ্ঞানীরা এক ঈশ্বরকে ডেকে থাকেন অনেক নামে।"
যজুর্বেদ অধ্যায় ৩২, শ্লোক ৩ "na tasya pratima asti"( না তাস্যা প্রাতিমা আস্তি) অর্থাৎঃ "ঈশ্বরের কোন প্রতিমা নেই, মূর্তি নেই, ছবি নেই।"
যজুর্বেদ অধ্যায় ৪০, শ্লোক ৯ “Andhatma pravishanti ye asambhuti mupaste” (আন্ধাস্মা প্রাভিসান্তি ইয়ে আসাম্ভুতি মুপাস্তে) আন্ধাস্মা মানে অন্ধকার, প্রাভিসান্তি মানে প্রবেশ করা, আসাম্ভুতি মানে প্রাকৃতিক বস্তু (পানি, আগুন, সাপ, মানুষ ইত্যাদি) মুপাস্তে মানে উপাসনা করা।
অর্থাৎঃ "তারা অন্ধকারে যাচ্ছে যারা আসাম্ভুতি মানে প্রাকৃতিক বস্তু (পানি, আগুন, সাপ, মানুষ ইত্যাদির) উপাসনা করে"
রিগবেদ গ্রন্থ ৮, পরিচ্ছেদ ১, শ্লোক ১ এ বলা হয়েছে ""Ma cid anyad vi sansata sakhayo ma rishanyata""অর্থাৎ "বন্ধুগণ, একমাত্র ঈশ্বরকে ছাড়া কার ও উপাসনা করো না, শুধুমাত্র উনার ই প্রশংসা করো ।"
"মা চিদান্যাদভি শাংসাতা " অর্থাৎ "হে বন্ধুগণ, সেই একমাত্র ঐশী সত্তা ছাড়া আর কারো উপাসনা করো না ।" [ঋগ বেদ সংহিতি, ভলিউম-১১, পৃষ্ঠা ১ ও ২ ।
হিন্দু বেদান্ত সুত্র এর ব্রক্ষা সুত্রাঃ "একাম ব্রহাম, দ্ভিতিয়া নাস্তে নেহ না নাসতে কিনচান " অর্থাৎ "ঈশ্বর, কেবলমাত্র একজন, দ্বিতীয় কেউ নেই; কেউ নেই, কেউ নেই, মোটেই কেউ নেই।"
এখন আমরা আশা করি বুঝতে পারলাম যে , হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ অনুযায়ী , ঈশ্বর মাত্র একজন। আমাদের শুধু তার ই উপাসনা করা উচিত।
▶️ এবার আসুন দেখি, কুরআনে আল্লাহ্ কি বলেছেন,
উত্তরমুছুন�� বলুন, তিনি আল্লাহ, এক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি এবং তার সমতুল্য কেউ নেই। [সূরা ইখলাস, ১১২:১-৪]
�� স্থির করো না আল্লাহর সাথে অন্য কোন উপাস্য। তাহলে তুমি নিন্দিত ও অসহায় হয়ে পড়বে। তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। [সূরা বনী ইসরাইল, ১৭:২২-২৩]
�� যে পবিত্রসত্তা তোমাদের জন্য ভূমিকে বিছানা এবং আকাশকে ছাদ স্বরূপ স্থাপন করে দিয়েছেন, আর আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে তোমাদের জন্য ফল-ফসল উৎপাদন করেছেন তোমাদের খাদ্য হিসাবে। অতএব, আল্লাহর সাথে তোমরা অন্য কাকেও সমকক্ষ করো না। বস্তুতঃ এসব তোমরা জান। [সূরা বাকারা, ২:২২]
�� আর তোমাদের উপাস্য একইমাত্র উপাস্য। তিনি ছাড়া মহা করুণাময় দয়ালু কেউ নেই। [সূরা বাকারা, ২:১৬৩]
�� হে মুমিনগণ, এই যে মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ তো নয়। অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে থাক-যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও। [আল মায়িদাহ, ৫:৯০]
�� নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে লোক তাঁর সাথে শরীক করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন। আর যে লোক অংশীদার সাব্যস্ত করল আল্লাহর সাথে, সে যেন অপবাদ আরোপ করল। [আন নিসা, ৪:৪৮]
�� আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের পতি প্রত্যাদেশ হয়েছে, যদি আল্লাহর শরীক স্থির করেন, তবে আপনার কর্ম নিষ্ফল হবে এবং আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের একজন হবেন। [আয্-যুমার, ৩৯:৬৫]
�� আর যখন তাদেরকে কেউ বলে যে, সে হুকুমেরই আনুগত্য কর যা আল্লাহ তাআলা নাযিল করেছেন, তখন তারা বলে কখনো না, আমরা তো সে বিষয়েরই অনুসরণ করব। যাতে আমরা আমাদের বাপ-দাদাদেরকে দেখেছি। যদি ও তাদের বাপ দাদারা কিছুই জানতো না, জানতো না সরল পথও। [সূরা বাকারা, ২:১৭০]
�� তারা আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্য ইলাহ গ্রহণ করেছে, যাতে তারা তাদের জন্যে সাহায্যকারী হয়। কখনই নয়, তারা তাদের এবাদত অস্বীকার করবে এবং তাদের বিপক্ষে চলে যাবে। [সূরা মরিয়াম, ১৯:৮১-৮২]
�� সুতরাং আপনার পালনকর্তার কসম, আমি অবশ্যই তাদেরকে এবং শয়তানদেরকে একত্রে সমবেত করব, অতঃপর অবশ্যই তাদেরকে নতজানু অবস্থায় জাহান্নামের চারপাশে উপস্থিত করব। [সূরা মরিয়াম, ১৯:৬৮]
�� যখন তারা উপস্থিত হয়ে যাবে, তখন আল্লাহ বলবেন, তোমরা কি আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলেছিলে? অথচ এগুলো সম্পর্কে তোমাদের পুর্ণ জ্ঞান ছিল না। না তোমরা অন্য কিছু করছিলে? জুলুমের কারণে তাদের কাছে আযাবের ওয়াদা এসে গেছে। এখন তারা কোন কিছু বলতে পারবে না। [আন নামল, ২৭:৮৪-৮৫]
�� হে ঈমানদার গন! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ কর না। নিশ্চিত রূপে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। [সূরা বাকারা, ২:২০৮]
�� অতঃপর তোমাদের মাঝে পরিস্কার নির্দেশ এসে গেছে বলে জানার পরেও যদি তোমরা পদস্খলিত হও, তাহলে নিশ্চিত জেনে রেখো, আল্লাহ, পরাক্রমশালী, বিজ্ঞ। [সূরা বাকারা, ২:২০৯]
আপনাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। আল্লাহ আমাদের জ্ঞান দান করুন । আমিন ।
"আপাদমস্তক ইসলাম একটি মিথ্যা ও বোগাস ধর্ম হওয়া স্বত্ত্বেও "-ভাই নিজের ধর্মের কথা বলতে অন্য ধর্মের নিন্দা করার কোন প্রয়োজন নেই।
উত্তরমুছুনআমি জানি না লেখক পুরো কুরআন নিরপেক্ষ মন নিয়ে বুঝে পড়েছেন কিনা,নাকি না পড়েই ইসলামকে " মিথ্যা ও বোগাস ধর্ম" বানিয়েছেন।না পড়লে আমি উনাকে কুরআনের একটা অনুবাদ পড়ার অনুরোধ করি।
মহান সৃষ্টিকর্তা লেখকের সহায় হোন।
যে ঈশ্বরকে জানতে বুঝতে কোরান,বাইবেল,বেদসহ আরো তথাকথিত ধর্মগ্রন্থ পড়ে পড়ে জীবন বরবাদ করতে হয় সে ঈশ্বর মানুষের কল্পনা আর কিছুই নয়।
উত্তরমুছুনমানুষ হিসাবে জন্মগ্রহণ করে যারা গরুর মুত খাওয়ার মতো নোংরা কাজ করতে পারে, তাদের দ্বারাই কেবল এরকম নোংরা মন্তব্য করা সম্ভব।
উত্তরমুছুনযিনি ইসলামকে কটাক্ষ করেছে তিনি যে নিজের ধর্মকেও ছোট করেছেন। আমাদের ধর্মের কোথাও নেই যে চাদে থেকে মক্কা মদিনা দেখা যায়,কোথাও নেই যে কোরআন দেখে বিজ্ঞানীরা তাদের আবিষ্কার তৈরি করেন। এটা কেউ কেউ বলে এবং ভূল বলে এতে ইসলাম দায়ী নয়। আর আপনাকে বলছি ইসলাম ধর্মগ্রন্থে কোতাও কোন ভুল নেই এবং ভুল থাকতে পারে না। কারন এটিই একমাত্র ধর্ম এবং মুক্তির পথ। বিভ্রান্তি ছড়াবেন না।
উত্তরমুছুনসনাতন ধর্ম হলো ভূয়া। সনাতন ধর্ম বহুইশ্বরবাদী
উত্তরমুছুনএই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
উত্তরমুছুনসত্য জেনে রাখা ভাল:
উত্তরমুছুন================
** দশ হাত বিশিষ্ট দূর্গা বা কোন দূর্গা পৃথিবীতে কখনও কি আসছিল ?
*** এই প্রসংগে মহাবিশ্ব সাধক-ইমাম মোয়াজ্জেম হোসেন আল-বংগেস্তী বলেন, দশ হাত বিশিষ্ট দূর্গা বা কোন দূর্গা পৃথিবীতে কখনও আসে নাই। দূর্গা হলো কাল্পনিক দর্শণ; যা কাল্পনিকভাবে, কাল্পনিক আকারে তৈরী করা হয়েছে।
** দূর্গা যদি পৃথিবীতে না আসে তাহলে দূর্গা পূজা কেন করা হয় ?
*** এই প্রসংগে মহাবিশ্ব সাধক-ইমাম মোয়াজ্জেম হোসেন আল-বংগেস্তী বলেন, সনাতন ধর্ম অনুসারীদের মাঝে আনন্দ উৎসব উপভোগ করা বা ধর্মীয় আনন্দ দেওয়ার জন্য সনাতন পন্ডিতগণ দশ হাত বিশিষ্ট দূর্গার কাল্পনিক মূর্তি নির্মাণ করেন। সনাতন পন্ডিতগণ মনে করেন, দূর্গা পূজা উৎসব যদি প্রতি বছর করা হয়, একদিকে যেমন সনাতন অনুসারীগণ প্রতি বছর ধর্মীয় উৎসবের আনন্দ উপভোগ করবে, তাদের মনে আনন্দ চাঙ্গা থাকবে এবং সনাতন ধর্মে;র প্রতি আকৃষ্ট থাকবে; অপরদিকে সনাতন ধর্ম টিকে থাকবে। মহাবিশ্ব সাধক বলেন, দূর্গা পূজা করা হয় সনাতন ধর্ম অনুসারীদের মাঝে ধর্মীয় আনন্দ দেওয়া এবং সনাতন ধর্মকে টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে। দূর্গা পূজা হলো সনাতন ধর্মালম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব।
মহাবিশ্ব সাধক-ইমাম মোয়াজ্জেম হোসেন আল-বংগেস্তী বলেন, দূর্গা, কালী, লক্ষ্মি, সরস্বতী, বিদ্যা, কার্তিক, গনেশ, শিব ইত্যাদি কল্পনার বহি:প্রকাশ মাত্র। এরা কখনও বাস্তবে প্রাণ ধারণ করে পৃথিবীতে আবির্ভূত হন নাই এবং তাদের ভিত্তি স্বর্গেও নাই। সনাতন ধর্মের পন্ডিতগণ তাদের কল্পনার মাধ্যমে সৃষ্টি করে গল্প-কাহিনী তৈরী করেন এবং তাদেরকে পূজা করার নিয়ম-পদ্ধতিও সৃষ্টি করেন সনাতন ধর্ম অনুসারীদের মাঝে আনন্দ দেওয়ার জন্য এবং সনাতন ধর্মকে টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে।
জ্ঞানহীন
উত্তরমুছুনবাণী চিরন্তণ:
উত্তরমুছুন=========
** হযরত মুহাম্মদ (স.) ** যিশু খৃষ্ট হযরত ঈশা (আ.) ** হযরত মূসা (আ.) ** হযরত শ্রী কৃষ্ণ (আ.) ** হযরত রাম (আ.) ** হযরত অর্জুন (আ.) ** হযরত গৌতম বুদ্ধ সিদ্ধার্থ (আ.) ** ও সকল সকল নবী-রাসূল, ওলি-আউলিয়া, গাউছ-কুতুব, সুফী সাধক ও দেবতাদের স্বর্গীয় আধ্যাত্মিক পিতা (গুরু) হলেন- মহাবিশ্ব সাধক: ইমাম মোযাজ্জেম হোসেন আল-বংগেস্তী, যাহা আল্লাহর আরশে আজিমে অবিনশ্বর সংবিধানে লিপিবদ্ধ ও সংরক্ষণকৃত। আমিন।
বি: দ্র: মহাবিশ্ব সাধক-ইমাম মোয়াজ্জেম হোসেন আল-বংগেস্তী’র হেকমাহ ও যুক্তির কাছে বিশ্বের সকল সৃষ্টিকর্তা অবিশ্বাসীগণ 100% পরাস্ত হবে (কোন সন্দেহ নাই)।
যে যুগে ইসলাম নিয়ে বেশি সমচলনা হয়ছে সে যুগে মানুষ ইসলামের দিকে বেশি দাবিত হয়েছে, আর লেখক ইসলাম নিয়ে একটু এলাজি আছে তাই ওনি আবল তাবল বলছে, বাস্তবে এই সকল কিছু বিস্বাস করে কেউ ইসলাম গ্রহণ করে না মানুষ ইসলাম গ্রহণ করে কোরআন এবং হাদিসে উপর বিস্বাস করে।
উত্তরমুছুনইসলাম কে নিয়ে আজে বাজে বললে আপনার জিব ছিঁড়ে নিবো ,,, আপনি লেখক নাকি গরু গাধা😡 নোংরা হিন্দু ধর্মের লোক কথা কার,,,না জেনে না বুঝে ধর্ম নিয়ে মাতামাতি করতে এসেছে ,,,100 টা দেবতা নিয়ে পুজো করে কোনো দেবতার ঠিক নেই ,,,দুর্গা , কালি সবাই e মা,দাদুর ও মা ,বাবার ও মা,আবার আপনার ও মা,,,আরে ভাই আপনার বাবার মা হলে বা আপনার মা এর মা হলে আপনার তো দিদা হওয়ার কথা but আপনি ও মা বলেন সত্যি হাস্যকর ব্যাপার😂নিজের ধর্ম যাচাই করবেন তারপর ইসলাম কে নিয়ে মাথা ঘামাবেন,,,,যত সব পাগল এর দল চল ফট🤜
উত্তরমুছুনঅল্প বিদ্যা ভয়ংকর তুমি তার প্রমান, ইসলাম সম্পকে জেনে তারপর কথা বলো।
উত্তরমুছুনহিন্দু ধর্ম নিয়ে লিখতে বসেও ইসলামকে টানতে হচ্ছে, এতেই বোঝা যায় নিজের ধর্ম নিয়ে কতটা হীনমন্যতায় ভোগেন। আমি আজ পর্যন্ত কোনো ইসলামিক আর্টিকেলে 'হিন্দু' শব্দটাও দেখিনি। প্রয়োজন পড়ে না।
উত্তরমুছুনআমি একজন খ্রিস্টিয় বিশ্বাসী। আমি মুসলমানদেরকে জবাব দিতে চায়। দেখো আপনারা বলেন আল্লাহ নিজেও জন্ম নেয়নি আবার কাউকেও জন্ম দেয়নি। কিন্তু আমাদের বাইবেলের প্রভু ঈশ্বর জগতের সর্ব প্রথম মানুষ হিসেবে আদমকে মাটি দিয়ে সৃষ্টি করলেন এবং সঙ্গী হিসেবে হবাকে সৃষ্টি করলেন
উত্তরমুছুন