হিন্দু ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা কে?
সনাতন ধর্মের প্রবর্তক কে?
প্রবর্তক বা প্রতিষ্ঠাতা প্রাকৃতিক ডধর্মের মধ্যে এই সব কিছুই থাকে না; কারণ, প্রকৃতি যখন যা কিছু সৃষ্টি করে বা করেছে তখন তার মধ্যেই তার পরিচালনার বিধি বিধান যুক্ত করে দিয়েই সৃষ্টি করে বা করেছে, এরপর তাতে আর বাড়তি কোনো কিছু যুক্ত করার প্রয়োজন হয় না। আমার এই পোস্টটি পড়তে থাকলে এই সবগুলো বিষয় আস্তে আস্তে বুঝতে পারবেন।
নন্দ গোপাল সরকারের মতোই ক্লাস, সেভেন এইটে পড়ার সময় এক মুসলমানের মুখে এই প্রশ্ন শুনে আমিও নির্বাক হয়ে গিয়েছিলাম। মনে আমারও প্রশ্ন জেগেছিলো সত্যিই তো হিন্দু ধর্মের প্রবর্তক কে ? কারণ, তখন পর্যন্ত সব ধর্ম সম্পর্কে ডিটেইলস না জানলেও এটা জেনেছিলাম যে, ইসলামের প্রবর্তক হযরত মুহম্মদ, খ্রিষ্ট ধর্মের প্রবর্তক যীশু খ্রিষ্ট বা ঈসা নবী, বৌদ্ধধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ, তার আগের ইহুদি ধর্মের প্রবর্তক মুসা, কিন্তু হিন্দু ধর্মের প্রবর্তক কে ? এই প্রশ্নটা একটি ছোট হিন্দু ছেলে মেয়ের কাছে এমন হয়ে দাঁড়ায় যে, সবার বাপ আছে কিন্তু তার বাপ নেই কেনো ? বিষয়টা কিন্তু গভীর চিন্তার এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরও যাদের কাছে এই প্রশ্নের উত্তর থাকে না, তাদের জন্য আরো গভীর হতাশার।
সমাজে মান সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকা বা বাস করার জন্য একটি শিশু বা বালক-বালিকার কাছে তার পিতৃ পরিচয় যেমন গুরুত্বপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে, সবার বাপ আছে- তাই তারও বাপ থাকা চাই, তেমনি সব ধর্মের প্রবর্তক আছে বলে, শিশু বা বালক বালিকার মতো বুদ্ধি যাদের, তাদের কাছে নিজ ধর্মের প্রবর্তক থাকাও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ; একারণেই যেসব ধর্মের প্রবর্তক আছে সেগুলো শিশুসুলভ বা বালখিল্য ধর্ম হিসেবে পরিচিত হওয়ার যোগ্য এবং প্রকৃতপক্ষে সেই ধর্মগুলো তাই।
ধর্ম মানে হচ্ছে গুণ বা বৈশিষ্ট্য, আবার কোনো ব্যক্তি বা বস্তু তার নিজের সত্তায় যা ধারণ করে বা বিশ্বাস করে সেটাও তার ধর্ম। যেমন আগুনের ধর্ম পোড়ানো, জলের ধর্ম ভেজানো; আবার আগুনের ধর্ম উর্ধ্বগামী অর্থাৎ আগুন জ্বললে তার শিখা উপরের দিকে উঠবে এবং জলের ধর্ম নিম্নগামী অর্থাৎ জল সব সময় প্রাকৃতিক নিয়মে নিচের দিকে নামবে। এইভাবে প্রকৃতির সৃষ্ট প্রত্যেকটা বস্তুর নিজস্ব বৈশিষ্ট্য বা ধর্ম আছে, যেটা প্রকৃতি ই তাদের মধ্যে সৃষ্টি করে দিয়েছে, কোনো মানুষের ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় তাদের এই স্বাভাবিক ধর্মের কোনো পরিবর্তন হবে না এবং তাদের কিছু যাবে ও আসবে না।
একই ভাবে প্রকৃতির সৃষ্ট প্রত্যেকটি গাছপালা তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করে থাকে, যেমন- উপযুক্ত পরিবেশে বীজ পড়লে চারা গজায়, অনুকূল পরিবেশে বাড়ে, ফল দেয়, বাতাসে দোলে, দুর্বল গাছ ঝড়ে ভাঙ্গে, বৃষ্টির জলে তরতাজা হয়, প্রখর রোদে শুকিয়ে যায় এবং এইসব ধর্ম পালন করতে করতে নির্দিষ্ট একটা সময় পর মরে শুকিয়ে যায়। কোনো ব্যক্তি বিশেষের কথায় প্রকৃতির এই গাছপালা কি তাদের ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করবে ?
আবারও একই ভাবে, মানুষ ছাড়া প্রকৃতির প্রতিটি প্রাণীও তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করে, গরু-মহিষ বছরে গড়ে একটি করে বাচ্চা ও দুধ দেয় এবং মানুষ তাদেরকে যেভাবে কাজে লাগায় সেভাবে কাজ করে, পাখিরা সন্ধ্যা হলেই বাসায় ফিরে এবং ঘুমিয়ে পড়ে এবং ঠিক ভোরে তারা কিচির মিচির শব্দে জেগে উঠে এবং সূর্যোদয়ের সাথে সাথেই বাসা থেকে বেরিয়ে যায়; কোনো মানুষের কথায় প্রকৃতির এই প্রাণীগুলো কি তাদের ধর্ম বা প্রতিদিনের জীবন যাত্রার পরিবর্তন করে বা করবে ?
হিন্দু শাস্ত্র মতে পৃথিবীতে ৮৪ লক্ষ প্রজাতির প্রাণী আছে এবং বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে যে পৃথিবীতে প্রাপ্ত মৌলিক পদার্থের সংখ্য 94 টি ( উইকিইপিডিয়া মতে), যা পৃথিবী সৃষ্টির সময় তার সাথে সাথে সৃষ্টি হয়েছে, এই প্রত্যেকটা মৌলিক পদার্থের নিজ নিজ ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য আছে; সবগুলোর তো আর উদাহরণ দেওয়া সম্ভব নয়, একটির উদাহরণ দিই- লোহার ধর্ম কাঠিন্যতা বা শক্ত। এখন পৃথিবী উল্টে গেলেও লোহা কি তার এই ধর্ম পরিত্যাগ করবে ? লোহাকে কাজে লাগানোর জন্য আমরা তাপ দিয়ে লোহাকে হয়তো কিছুক্ষণের জন্য নরম করতে পারি বা তার রং পাল্টে কিছুটা লাল করতে পারি, কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থায় ছেড়ে দিলেই লোহা তো আবার তার শক্ত রূপ এবং কালচে রং ই ধারণ করবে। তার মানে হলো প্রকৃতিতে সৃষ্ট প্রতিটা উপাদান বা জীবের নিজ নিজ ধর্ম বৈশিষ্ট্য আছে, যেটা সৃষ্টির সময় প্রকৃতি নিজেই তার মধ্যে ভ’রে দিয়েছে। এই সৃষ্টিজগতের মধ্যে মানুষ কি প্রকৃতির বাইরে ? নিশ্চয় নয়। তাহলে বোধ-বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ সৃষ্টির সময় প্রকৃতি নিজেই তার মধ্যে তার কর্তব্য কর্ম অর্থাৎ বৈশিষ্ট্য বা ধর্ম ভ’রে দেবে না কেনো ?
পৃথিবীতে সৃষ্ট প্রতিটি প্রাণীর মতো মানুষও তার আবির্ভাবের সাথে সাথে কিছু জৈবিক ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য, যেমন-ক্ষুধা পেলে খাওয়া, টিকে থাকা বা বেঁচে থাকার চেষ্টা করা, একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়া, একটা নির্দিষ্ট বয়সে দেহে ও মনে যৌনতার অনুভব করা এবং একটা সময় মরে যাওয়া- এই জৈবিকধর্মগুলো সাথে করে এনেছিলো, যা প্রতিটি প্রাণীর স্বাভাবিক ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য; কিন্তু মানুষের উন্নত মস্তিষ্ক্য সৃষ্টির সাথে সাথে মানুষ যখন ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় বিচার করতে শিখলো, তখন জৈবিক ধর্ম ছাড়াও মানুষের মনে এক নতুন ধর্ম বা বৈশিষ্ট্যের উদ্ভব হলো, যাকে বলা হয় মানবধর্ম। আর এই মানব ধর্মের সৃষ্টি হয়েছিলো, পৃথিবীর প্রথম সভ্যতা, আর্যসভ্যতার শ্রেষ্ঠ সন্তান আমাদের মুনি ঋষিদের দ্বারা; প্রকৃতির নির্যাস থেকে সংগৃহীত মুনি-ঋষিদের উপলব্ধিজাত এই সব বৈশিষ্ট্য বা ধর্মই হলো সনাতন ধর্ম, যার বর্তমান নাম হিন্দু ধর্ম।
অর্থাৎ আধুনিক মানুষ তার বর্তমান দেহের আকৃতি মোটামুটি ২০ লক্ষ বছর আগে লাভ করলেও, বিবর্তনের ধারায় উন্নত মস্তিষ্ক্য সম্পন্ন মানুষের জন্ম হয় মোটামুটি ১০/১২ হাজার বছর আগে এবং এরাই পৃথিবীর নানা প্রান্তে ঘুরতে ঘুরতে এদেরই কোনো একটি দল মোটামুটি ৮/১০ হাজার বছর আগে সিন্ধু নদের তীরে এসে বসবাস করতে থাকে এবং গড়ে তুলে সিন্ধুসভ্যতা বা আর্যসভ্যতা, যে সভ্যতা পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতা এবং যে সভ্যতার লোকজন এখনও টিকে আছে হিন্দু নামসহ, মোটামুটি মান সম্মান নিয়ে এবং মাথা উঁচু করে।
পৃথিবীতে পাখি সৃষ্টি হওয়ার পর যেমন পাখির ধর্ম ও বৈশিষ্ট্য নির্ধারিত হয়েছে, তেমনি এটাও তো স্বাভাবিক যে, মানুষ যখন বুদ্ধিমান হয়ে সভ্যতা নির্মান করেছে, তখনই সেই সভ্যতা অনুযায়ী তাদের ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য নির্ধারিত হয়েছে, এই ভাবেই সনাতন মানব ধর্মের আবির্ভাব বা সৃষ্টি, যে ধর্মের বিধি বিধান রচিত বা সংকলিত হয়েছে ঈশ্বরের আশীর্বাদ পুষ্ট মুনি-ঋষিদের দ্বারা, তাই সনাতন মানব ধর্মের কোনো একক প্রবক্তা নেই; কারণ, এই ধর্ম প্রকৃতি থেকে উদ্ভূত বলে প্রাকৃতিক। আর যা কিছু প্রাকৃতিক তার জন্য কোনো একক মানুষের মত বা বিধান অর্থহীন।
এবার একটা সিম্পল উদাহরণ দিই, মনে করুন আপনি একটা স্কুল তৈরি করলেন, তাহলে স্কুল পরিচালনার বিধি বিধানও আপনি সাথে সাথেই তৈরি করবেন, এটাই স্বাভাবিক। কোনো কারণে কি আপনি স্কুল তৈরি করার ৫/১০ বছর পর সেই বিধি বিধান তৈরি করবেন ? কখনোই নয়, কারণ তাহলে আপনার সৃষ্টি করা স্কুল চলবেই না বা চালু করলেও নিয়ম কানুনের অভাবে তা ভেঙ্গে পড়বে। সেই ভাবে এটা খুব স্বাভাবিক যে, সৃষ্টিকর্তা এই পৃথিবীতে যখন আধুনিক বুদ্ধিমান মানুষের সৃষ্টি করেছে, তখনই বা তার কিছু পরেই তাদের জন্য পালনীয় সব বিধি বিধান সৃষ্টি করেছে; তা না করে সৃষ্টিকর্তা কেনো ৩ হাজার বছর পূর্বে ইহুদি ধর্ম, আড়াই হাজার বছর পূর্বে বৌদ্ধধর্ম, ২ হাজার বছর পূর্বে খ্রিষ্টান ধর্ম এবং দেড় হাজার বছর পূর্বে ইসলাম ধর্মের সৃষ্টি করতে যাবে ?
যদি এই ধর্মগুলো সত্যি হয়, তাহলে তার আগের মানুষগুলো কী অপরাধ করেছে ? এরা তো সবাই বলে যে, তাদের ধর্ম পালন না করলে কেউ মুক্তি বা স্বর্গ পাবে না, তাহলে ৩ হাজার বছর আগে যে মানুষগুলো জন্ম নিয়ে মরে গেছে তাদের কী হবে ? তাদের মুক্তির বা স্বর্গ লাভের উপায় কী ? এদের ধর্মের সৃষ্টিকর্তা ই যদি প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা হয়, তাহলে ৩ হাজার বছর আগের মানুষগুলোর সাথে কি এই সৃষ্টিকর্তা অন্যায় করে নি ? কিন্তু প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা কি মানুষের সাথে অন্যায় করতে পারে ? না, পারে না; এজন্যই হিন্দু ধর্মের ঈশ্বর গীতায় বলেছে,
“কেউ আমার কাছে প্রিয় নয়, কেউ অপ্রিয়ও নয়”
যখন কোনো ব্যক্তি পৃথিবীতে কোন মত, পথ বা ধারণার জন্ম দেয়, তখন তাকে বলে ‘ইজম’ (Ism)। যেমন কার্ল মার্কস এর মতবাদের নাম, মার্কস+ইজম = মার্ক্সিজম, এই সূত্রে যেসব ব্যক্তিমত পৃথিবীতে ধর্ম নাম নিয়ে চলছে, যেমন- ইসলাম, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, ইহুদি বা এরকম প্রায় ৪২০০ টি, তার একটাও রেলিজিয়ন অর্থে ধর্ম নয়, এগুলো ইজম অর্থে এক একটি মতবাদ। কারণ, উপরেই আলোচনা করেছি, প্রকৃতিসৃষ্ট পদার্থ বা প্রাণীর মধ্যে ধর্মের সৃষ্টি করা মানুষের কাজ নয়, ওটা প্রকৃতির কাজ। তাই মানুষ যা সৃষ্টি করে সেটা মত বা পথ এবং প্রকৃতি যা সৃষ্টি করে সেটা ধর্ম। একারণেই হিন্দু ধর্মের কোনো প্রবর্তক নেই, কারণ হিন্দু ধর্ম প্রকৃতির সৃষ্টি মানুষের জন্য প্রকৃতির ধর্ম। এই জ্ঞান বা বোধ অতি উচ্চ মানের ধারণা, সাধারণভাবে শিশু বা বালকদের পক্ষে এই জ্ঞান বা ধারণাকে হৃদয়াঙ্গম করা কঠিন- যদি তারা সঠিক শিক্ষক বা গুরুর হাতে না পড়ে। তাই ব্যক্তিমতের ধর্মের অনুসারীরা তাদের শিশুসুলভ জ্ঞান দিয়ে হিন্দু ছেলে-মেয়েদের এই স্বল্পজ্ঞানের সুযোগ নিয়ে তাদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্য এই প্রশ্ন করে যে হিন্দু ধর্মের প্রবর্তক কে ? কিন্তু প্রবর্তক না থাকার কারণেই যে হিন্দু ধর্ম প্রকৃত ধর্ম এবং প্রবর্তক থাকার কারণেই যে তাদেরগুলো কোনো ধর্ম নয়, শুধুমাত্র ব্যক্তিগত মত বা পথ, সেটা হয়তো তারা নিজেরাই জানে না। হিন্দুধর্ম প্রকৃতির ধর্ম বলেই প্রকৃতির সকল কিছু এই ধর্মের পূজা প্রার্থনার বিষয় এবং একজন হিন্দুকে তার জীবনাচরণের জন্য কোনো কিছু কোনো ব্যক্তিমতের ধর্মের কাছ থেকে ধার করতে হয় না বা হবে না। কিন্তু সকল ব্যক্তিমতের ধর্মকে অনেক কিছু হিন্দু ধর্মের কাছ থেকে ধার করে চলতে হয় বা হবে।
এখানে প্রশ্ন আসতে পারে, হিন্দুধর্মের মুনি-ঋষিরাও এই পৃথিবীর মানুষ আবার ইসলাম-খ্রিষ্টান-বৌদ্ধ-শিখ-জৈন মতবাদের প্রবর্তকরাও এই পৃথিবীর মানুষ। তাহলে মুহম্মদ-যীশু-বুদ্ধ প্রমুখেরা যদি তথাকথিত ঐ সব ধর্মের প্রবর্তক হয়, হিন্দুধর্মের মুনি-ঋষিরা হিন্দুধর্মের প্রবর্তক নয় কেনো ?
এর সহজ উত্তর হচ্ছে, হিন্দুধর্ম ছাড়া ব্যক্তিমতের ধর্মগুলো কোনো একক ব্যক্তির ইচ্ছা অনিচ্ছার ফল, উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, মুহম্মদের কাছে যা কিছু পছন্দের ছিলো তার সব কিছু মুসলমানদের জন্য জায়েজ বা হালাল, আর যা কিছু তার অপছন্দের ছিলো তা মুসলমানদের জন্য হারাম; এই হারাম হালাল নিয়ে কারো কোনো প্রশ্ন করারও অধিকার নেই। এককথায়, ইসলাম- লোভ বা ভয়ের মাধ্যমে পুরোপুরি মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়া একটা বিধান; অন্যান্য ব্যক্তিমতের ধর্মগুলোও এর বাইরে কিছু নয়। কিন্তু হিন্দু ধর্মের কোনো কিছুই মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়া কিছু নয়, এগুলো মানুষের সাধারণ প্রবৃত্তির একটি সংবিধিবদ্ধ রূপ মাত্র, আমাদের মুনি ঋষিরা জাস্ট এই কাজটিই করেছে, তারা নিজেদের থেকে কোনো কিছু মানুষের উপর চাপিয়ে না দিয়ে মানুষ হিসেবে প্রতিটা মানুষের কী কর্তব্য-অকর্তব্য তা লিপিবদ্ধ করেছেন শুধু।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একটা মানব শিশুর জন্মের পর তাকে যদি সাধারণভাবে বেড়ে উঠতে দেওয়া যায়, সে মানবীয় সব গুনাবলি, যেমন- মানুষসহ সকল পশু পাখির প্রতি ভালোবাসা নিয়ে বেড়ে উঠবে, বিনা কারণে তাদেরকে হত্যা করা দূরে থাক, তাদেরকে আঘাত করে আহতও করবে না। একারণেই বাল্যকালে গৌতম বুদ্ধ, তীর বিদ্ধ একটি পাখিকে সুস্থ করে আকাশে উড়িয়ে দিয়েছিলো, আর একারণেই এখনও যেকোনো মুসলিম পরিবারের ছোট ছেলে মেয়েরা কুরবানীর জন্য কিনে আনা গরু ছাগলকে জবাই করতে দিতে চায় না, জবাই না করার জন্য কান্নাকাটি করে, কিন্তু যখন সে একটু বড় হয় এবং তার মাথায় ঢোকানো হয় যে, কুরবানীর নামে গরু ছাগলকে জবাই করা কোরানে আল্লার নির্দেশ, এই নির্দেশ না মানলে তারা আর মুসলমান থাকবে না এবং এর ফলে তারা বেহেশতে না গিয়ে জাহান্নামে যাবে আর সেখানে অনন্তকাল ধরে আগুনে পুড়বে, তারপরই তারা হয়ে উঠে মুসলমান নামের এক একজন জল্লাদ বা ঘাতক এবং তারপর তাদের কাছে গরু-ছাগল জবাই করা তো সামান্য ব্যাপার, জঙ্গী হয়ে মানুষ জবাই করতেও তাদের বুক ও হাত কাঁপে না।
এছাড়াও ব্যক্তিমতের ধর্মগুলো একজন মানুষের চিন্তাভাবনার ফল বা ফসল, তাই এগুলোতে ভুল ত্রুটি থাকা স্বাভাবিক, আছেও তাই। এজন্য কোনো ব্যক্তিমতের ধর্মই প্রশ্নের উর্ধ্বে নয়, এগুলো নিয়ে রয়েছে শত শত প্রশ্ন। কিন্তু প্রকৃত সনাতন মানবধর্ম নিয়ে কারো কোনো প্রশ্ন করার কোনো অপশনই নেই; বর্তমানে হিন্দুধর্ম নিয়ে যেসব প্রশ্ন উঠছে, সেগুলো হলো হিন্দুধর্মকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা হিসেবে হাজার বছর ধরে হিন্দুবিরোধীদের দ্বারা হিন্দুধর্মের বিকৃতির ফল মাত্র।
মানুষ প্রকৃতির সৃষ্টি এবং প্রকৃতির সৃষ্টি বলেই কোনো অঙ্গ কেটে মানুষকে বিকৃতি করা সনাতন মানব ধর্মে নিষেধ। কারণ, ডারউনের বিবর্তনবাদ বলে, যোগ্যতমরাই পৃথিবীতে টিকে আছে এবং টিকে থাকবে। আর প্রকৃতি বর্তমানে যেভাবে যে প্রাণীকে সৃষ্টি করছে সেভাবেই সে সম্পূর্ণ ফিট। নবী ইব্রাহিম প্যাঁচে পড়ে, প্রথমে, বৃদ্ধ বয়সে করিয়েছিলো নিজের খতনা এবং সে তার অনুসারীদের তা করার নির্দেশ দেয় এবং সেখান থেকে মুসলমানরা এই প্রথাকে গ্রহন করেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ইহুদি, খ্রিষ্টান বা ইসলাম যদি প্রকৃত অর্থে সত্য ধর্ম হয়, তাহলে সেই সব ধর্মের বিধানকে মেনে তাদের সৃষ্টিকর্তা- ইহুদি, খ্রিষ্টান বা মুসলমান ঘরের পুরুষ সন্তানদেরকে খতনাসহ জন্ম না দিয়ে হিন্দুরূপে জন্ম দিচ্ছে কেনো ?
আবার ইসলামে দাড়ি রাখার নির্দেশ কিন্তু গোঁফ কেটে ফেলার আদেশ, তাহলে মুসলমানদের গোঁফ জন্মায় কেনো ? কিন্তু হিন্দুদের এ সম্পর্কিত কোনো আদেশ নির্দেশ নেই, এটি প্রকৃতির বিধান যে পুরুষের দেহে টেস্টোস্টেরন হরমোনের প্রভাবে গোঁফ দাড়ির জন্ম হবে, এখন ইচ্ছা হলে তুমি সেটা রেখে দাও বা কেটে ফেলো, সেটা তোমার ব্যাপার। প্রকৃতির এই বিধানের উপর- যে বিধান হাত ঘুরায়, সেটা আবার কেমন ধর্ম ? সৃষ্টিকর্তার উপর মাস্তানি ? বিধান তো দিয়েছিস গোঁফ না রাখার এবং লিঙ্গের চামড়া কেটে ফেলার, তো এই ভাবে একটা মুসলমানের জন্ম দিয়ে দেখা, তাহলে বুঝবো ইসলাম সত্য ধর্ম; ইসলামের আবির্ভাবের তো প্রায় দেড় হাজার বছর হতে চললো, কত দিন আর মুসলমানদের হিন্দু হিসেবে জন্ম হবে ?
আজকের টপিক হচ্ছে, হিন্দু ধর্মের প্রবর্তক কে ? এখন এ ব্যাপারে উপসংহারে আসা যেতে পারে। উপরে আমি বিভিন্ন উদাহরণ দিয়ে যে কথাটি বলার চেষ্টা করেছি, তা হলো প্রকৃতির সৃষ্ট বিভিন্ন পদার্থ ও প্রাণীর নিজ নিজ ধর্ম আছে, যা প্রকৃতিই তাদের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছে; তেমনিভাবে প্রকৃতির সৃষ্ট সনাতন মানবধর্মের বিধি বিধানও প্রকৃতিই নির্ধারিত করে দিয়েছে, একারণেই হিন্দুধর্ম হচ্ছে প্রকৃতি সৃষ্ট মানুষের একমাত্র ধর্ম, আর এই কারণেই যে ধর্মগুলোর পিতৃপরিচয়ের মতো প্রবর্তক আছে, সেগুলো কোনো ধর্ম নয়, সেগুলো একট একটি মত বা পথ, এককথায় ইজম।
এ প্রসঙ্গে আরেকটি উদাহরণ দেওয়া যাক, বাঘ সিংহের জন্য প্রকৃতি সৃষ্ট ধর্ম হচ্ছে তৃণভোজী প্রাণীদেরকে হত্যা করে তাদের মাংস খাওয়া। এতে কিন্তু বাঘ সিংহের জন্য কোনো অন্যায় নেই। কারণ, প্রকৃতি ই তাদের জন্য এই নিয়ম তৈরি করে দিয়েছে। আবার মানুষও প্রয়োজনে তৃণভোজী প্রাণীদেরকে হত্যা করে খেতে পারে, এটাও প্রকৃতির বিধান। এই বিধানের কথা ই বলা আছে বেদ এ
“জীবস্য জীবস্মৃতম”
অর্থাৎ- জীবন ধারণের জন্য এক জীব অন্য জীবকে আহার করবে খাদ্য রূপে ।
কিন্তু মানুষ হিসেবে জন্ম নিয়ে আপনি অন্য মানুষকে বিনা কারণে হত্যা করতে পারেন না বা কোনোভাবে কাউকে কষ্ট দিতে পারেন না, এটাই মানুষের জন্য প্রকৃতির বিধান। প্রকৃতির এই বিধানের কথাও বলা হয়েছে হিন্দু শাস্ত্রে-
“পরোপকারঃ পুন্যায়, পাপায় পরপীড়নম্।”
অর্থ : অন্যের উপকার করা ধর্ম, অন্যের অপকার করা অধর্ম।
এছাড়াও বলা হয়েছে,
“পরদ্রব্যেষু লোষ্ট্রবৎ”
অর্থাৎ- পরের দ্রব্যকে মাটির ঢেলার মতো জানবে। এবং
“মাতৃবৎ পরদারেষু, কন্যাবৎ পরকন্যাষু”
অর্থাৎ- পরের স্ত্রী কন্যাদেরকে মায়ের মতো দেখবে।
এখন একটু ভেবে দেখুন, আপনি যদি অন্যের সম্পদকে মাটির ঢেলা বিবেচনা করে সেগুলোর প্রতি লোভ না দেখান, অন্যের স্ত্রী-কন্যাকে যদি নিজের মায়ের মতো বিবেচনা করে তাদেরকে হরণ ও ভোগের কথা চিন্তা না করেন, তাহলে কিন্তু কাউকে আপনার হত্যা করা কথা চিন্তা করতেই হবে না, এককথায় এই দুটি বিধানকে মেনে চললে কাউকে আপনার পীড়া দিতে হবে না। বর্তমান বিশ্বের তথা আধুনিক সভ্যতার মানবতাবাদ কিন্তু এই তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল, যেগুলোর কথা হিন্দু শাস্ত্রে বলা হয়েছে মানব সভ্যতার শুরুতেই, অর্থাৎ মানুষের কী করণীয় তার মূল কথা বলে দেওয়া হয়েছে মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি হওয়ার সাথে সাথেই, এই বিধানগুলোই প্রকৃতির বিধানএবং এগুলোই মানুষের জন্য প্রকৃতির ধর্ম।
এখন আপনি আর একটু চিন্তা করুন, কোনো ব্যক্তিমতের ধর্ম কি এই মহান বিধানগুলো দিতে পেরেছে- যা সমগ্র পৃথিবীর মানুষের জন্য প্রযোজ্য হতে পারে ? মুসলমানরা তাদের মূল থেকে সরে আসছে না বলে, এখন হয়তো ইসলামের মানবতা বিরোধী- হত্যা, ধর্ষণ, লুন্ঠন, দখলের- বিধানগুলো বেশি আলোচিত হচ্ছে; কিন্তু ইহুদি এবং খ্রিষ্টান মতবাদও এই- হত্যা, লুণ্ঠন ও দখলে কম যায় না। কিন্তু যেহেতু তারা তাদের ধর্মের বিধান ছেড়ে সনাতন মানবতাবাদের কাছে ফিরে আসছে, তাই তাদের বিধানগুলো এখন আর বেশি আলোচিত হচ্ছে না।
উপরে মানবধর্মের যে তিনটি মূল বিধানের কথা বললাম,
“পরোপকারঃ পুন্যায়, পাপায় পরপীড়নম্।”
“পরদ্রব্যেষু লোষ্ট্রবৎ”
“মাতৃবৎ পরদারেষু, কন্যাবৎ পরকন্যাষু”
এগুলো নিয়ে সারা পৃথিবীর কোনো লোকের কি কোনো প্রশ্ন আছে, যে এই বিধানগুলো ঠিক নয় বা এগুলো এই রকম না হয়ে অন্যরকম হতে পারে বা পারতো ?
না, নেই।
কিন্তু ব্যক্তিমতের প্রতিটা মতবাদ, যাকে এখন গায়ের জোরে বলা হচ্ছে ধর্ম, সেগুলো নিয়ে শত শত প্রশ্ন আছে। সেজন্য এখন প্রশ্নই হচ্ছে, ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন থাকবে কেনো ? আপনি কি মানুষ ছাড়া, প্রকৃতি জাত ১০৫ টা মৌলিক পদার্থ এবং অসংখ্য প্রাণী ও উদ্ভিদের ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেন বা প্রশ্ন তোলার ক্ষমতা রাখেন ?
এখানেও উত্তর হচ্ছে, না। তাহলে যে বিধি-বিধানগুলো নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়, সেগুলোকে আপনি ধর্ম বলছেন কেনো বা সেই ব্যক্তিমতগুলোকে ধর্ম বলে আপনার কাছে মনে হচ্ছে কেনো ?
বর্তমানে, এই যে সমগ্র পৃথিবীর সুশিক্ষিত, সুসভ্য মানুষদের মানবতাবাদের দিকে আগমন, এটাই কিন্তু সনাতন মানবধর্ম, যার প্রবক্তা আমাদের মুনি-ঋষিরা। এখন আপনি বলতে পারেন, তাহলে এই সনাতন মানবধর্মের মধ্যে পূজা পার্বন এলো কোথা থেকে ? এগুলো জাস্ট এক একটা উৎসব, আর কিছুই নয়। সাধারণ জীবন যাত্রায় মানুষের একঘেঁয়েমী কাটাতে বিজ্ঞান যেমন মানুষের জীবনে যুক্ত করছে মানুষেরই চাহিদা মতো একের পর এক যন্ত্র- ফ্রিজ, টিভি, এয়ারকন্ডিশন, কম্পিউটার ইত্যাদি, তেমনি যুগের প্রয়োজনে মানুষই তাদের নিজেদের প্রয়োজনে সমাজ জীবনে যুক্ত করেছে একের পর এক অনুষ্ঠান, কিন্তু ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য সেগুলোকে ধর্মের ছাঁছে ফেলে ধর্মীয় রূপ দিয়েছে মাত্র, যাতে মানুষ সেগুলো নিষ্ঠা নিয়ে পালন করে এবং পরম্পরা নষ্ট না হয়। এই যেমন- ভারতবর্ষে গুপ্ত যুগের আগেও মূর্তি পূজার তেমন প্রচলন ছিলো না, আবার এই বাংলায় ৫০০ বছর আগেও দুর্গা পূজা ছিলো না, এখনও বাঙ্গালি হিন্দু ছাড়া এই দুর্গা পূজার উৎসব সারা পৃথিবীতে কেউ পালন করে না; তাতে কারো কি কোনো অসুবিধা হচ্ছে ? সারা পৃথিবীর মানুষ যে যার মতো করে তাদের উৎসব তৈরি করে নিয়েছে; ধর্মের মোড়কে হোক আর সাধারণভাবেই হোক প্রতিটা জাতির প্রতিটি উৎসবের মূল উদ্দেশ্যই হলো মানুষের জীবনে একটি চেঞ্জ আনা, আর কিছুই নয়। আর কোনো উৎসবে, এর চেয়ে বেশি কিছু মানুষের অর্জনও হয় না।
এখন সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে বর্ধিষ্ণু ধর্ম হচ্ছে মানবতাবাদ বা মানবধর্ম, এই মানবধর্ম কিন্তু হিন্দুধর্মের বাইরে কিছু নয়; কারণ, মানবতাবাদের যে দুটি মূল সূত্র- পরের দ্রব্যকে মাটির ঢেলার মতো জানবে আর পরের স্ত্রী কন্যাকে মায়ের মতো দেখবে- তা হিন্দু ধর্মেরই মূল কথা; কারণ, হিন্দুধর্মের অপর নাম হচ্ছে সনাতন মানবধর্ম। এবং যেহেতু মানবতাবাদের এই মূল দুটি কথা ব্যক্তিমতের কোনো ধর্ম প্রবর্তক বলতে পারে নি, তাই সেগুলো কোনো ধর্মই নয়, সেগুলো চিরদিনই ‘ইজম’ আর কোনো একক প্রবর্তক নেই বলেই প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুনি-ঋষিদের চিন্তাভাবনার সার সংক্ষেপ, হিন্দুধর্ম নামের আড়ালে থাকা সনাতন মানবধর্মই পৃথিবীর একমাত্র প্রকৃত ধর্ম; কারণ, এর সৃষ্টিকর্তা প্রকৃতি নামের ঈশ্বর।
হিন্দু ধর্মের প্রবর্তক কে ? এই প্রশ্নের উত্তরে এককথায় বলা যায়, ধর্ম যেহেতু ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তার ব্যাপার, তাই তার কোনো প্রবর্তক থাকতে পারে না বা প্রবর্তক হয় না। আবার এই প্রশ্নের উত্তরে উল্টো এই প্রশ্নও করা যায়, ঈশ্বরের সৃষ্ট ধর্মের জন্য প্রবর্তক হিসেবে কোনো মানুষ থাকবে কেনো বা ধর্মের প্রবর্তক থাকার প্রয়োজন কী ? ধর্মের থাকে সৃষ্টিকর্তা, তাই ধর্মের কোনো একক প্রবর্তক অর্থহীন; একারণেই মানুষ যখন কোনো কিছু প্রবর্তন করে তখন তা আর ধর্ম হয় না, হয় মত বা পথ। আর সৃষ্টিকর্তা হিসেবে ঈশ্বর যখন কোনো পদার্থ বা জীবের জন্য কোনো বিধান তৈরি করে দেয় তখন তা হয় বৈশিষ্ট্য বা ধর্ম, এই সূত্রে প্রকৃতির ধর্ম, সনাতন মানবধর্মের সৃষ্টিকর্তা স্বয়ং ঈশ্বর; তাই হিন্দু ধর্মের কোনো প্রবর্তক নেই, কিন্তু সৃষ্টিকর্তা আছে এবং সেই সৃষ্টিকর্তা অন্যান্য ধর্মের প্রবর্তকেরও সৃষ্টিকর্তা, একারণে ব্যক্তিমতের ধর্মগুলো যদি হয় একে অপরের ভাই, তাহলে হিন্দুধর্ম হলো ঐসব ভাইদের জন্মদাতা অর্থাৎ বাপ।
জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।
সনাতন ধর্মের প্রবর্তক কে?
প্রবর্তক বা প্রতিষ্ঠাতা প্রাকৃতিক ডধর্মের মধ্যে এই সব কিছুই থাকে না; কারণ, প্রকৃতি যখন যা কিছু সৃষ্টি করে বা করেছে তখন তার মধ্যেই তার পরিচালনার বিধি বিধান যুক্ত করে দিয়েই সৃষ্টি করে বা করেছে, এরপর তাতে আর বাড়তি কোনো কিছু যুক্ত করার প্রয়োজন হয় না। আমার এই পোস্টটি পড়তে থাকলে এই সবগুলো বিষয় আস্তে আস্তে বুঝতে পারবেন।
নন্দ গোপাল সরকারের মতোই ক্লাস, সেভেন এইটে পড়ার সময় এক মুসলমানের মুখে এই প্রশ্ন শুনে আমিও নির্বাক হয়ে গিয়েছিলাম। মনে আমারও প্রশ্ন জেগেছিলো সত্যিই তো হিন্দু ধর্মের প্রবর্তক কে ? কারণ, তখন পর্যন্ত সব ধর্ম সম্পর্কে ডিটেইলস না জানলেও এটা জেনেছিলাম যে, ইসলামের প্রবর্তক হযরত মুহম্মদ, খ্রিষ্ট ধর্মের প্রবর্তক যীশু খ্রিষ্ট বা ঈসা নবী, বৌদ্ধধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ, তার আগের ইহুদি ধর্মের প্রবর্তক মুসা, কিন্তু হিন্দু ধর্মের প্রবর্তক কে ? এই প্রশ্নটা একটি ছোট হিন্দু ছেলে মেয়ের কাছে এমন হয়ে দাঁড়ায় যে, সবার বাপ আছে কিন্তু তার বাপ নেই কেনো ? বিষয়টা কিন্তু গভীর চিন্তার এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরও যাদের কাছে এই প্রশ্নের উত্তর থাকে না, তাদের জন্য আরো গভীর হতাশার।
সমাজে মান সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকা বা বাস করার জন্য একটি শিশু বা বালক-বালিকার কাছে তার পিতৃ পরিচয় যেমন গুরুত্বপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে, সবার বাপ আছে- তাই তারও বাপ থাকা চাই, তেমনি সব ধর্মের প্রবর্তক আছে বলে, শিশু বা বালক বালিকার মতো বুদ্ধি যাদের, তাদের কাছে নিজ ধর্মের প্রবর্তক থাকাও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ; একারণেই যেসব ধর্মের প্রবর্তক আছে সেগুলো শিশুসুলভ বা বালখিল্য ধর্ম হিসেবে পরিচিত হওয়ার যোগ্য এবং প্রকৃতপক্ষে সেই ধর্মগুলো তাই।
ধর্ম মানে হচ্ছে গুণ বা বৈশিষ্ট্য, আবার কোনো ব্যক্তি বা বস্তু তার নিজের সত্তায় যা ধারণ করে বা বিশ্বাস করে সেটাও তার ধর্ম। যেমন আগুনের ধর্ম পোড়ানো, জলের ধর্ম ভেজানো; আবার আগুনের ধর্ম উর্ধ্বগামী অর্থাৎ আগুন জ্বললে তার শিখা উপরের দিকে উঠবে এবং জলের ধর্ম নিম্নগামী অর্থাৎ জল সব সময় প্রাকৃতিক নিয়মে নিচের দিকে নামবে। এইভাবে প্রকৃতির সৃষ্ট প্রত্যেকটা বস্তুর নিজস্ব বৈশিষ্ট্য বা ধর্ম আছে, যেটা প্রকৃতি ই তাদের মধ্যে সৃষ্টি করে দিয়েছে, কোনো মানুষের ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় তাদের এই স্বাভাবিক ধর্মের কোনো পরিবর্তন হবে না এবং তাদের কিছু যাবে ও আসবে না।
একই ভাবে প্রকৃতির সৃষ্ট প্রত্যেকটি গাছপালা তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করে থাকে, যেমন- উপযুক্ত পরিবেশে বীজ পড়লে চারা গজায়, অনুকূল পরিবেশে বাড়ে, ফল দেয়, বাতাসে দোলে, দুর্বল গাছ ঝড়ে ভাঙ্গে, বৃষ্টির জলে তরতাজা হয়, প্রখর রোদে শুকিয়ে যায় এবং এইসব ধর্ম পালন করতে করতে নির্দিষ্ট একটা সময় পর মরে শুকিয়ে যায়। কোনো ব্যক্তি বিশেষের কথায় প্রকৃতির এই গাছপালা কি তাদের ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করবে ?
আবারও একই ভাবে, মানুষ ছাড়া প্রকৃতির প্রতিটি প্রাণীও তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করে, গরু-মহিষ বছরে গড়ে একটি করে বাচ্চা ও দুধ দেয় এবং মানুষ তাদেরকে যেভাবে কাজে লাগায় সেভাবে কাজ করে, পাখিরা সন্ধ্যা হলেই বাসায় ফিরে এবং ঘুমিয়ে পড়ে এবং ঠিক ভোরে তারা কিচির মিচির শব্দে জেগে উঠে এবং সূর্যোদয়ের সাথে সাথেই বাসা থেকে বেরিয়ে যায়; কোনো মানুষের কথায় প্রকৃতির এই প্রাণীগুলো কি তাদের ধর্ম বা প্রতিদিনের জীবন যাত্রার পরিবর্তন করে বা করবে ?
হিন্দু শাস্ত্র মতে পৃথিবীতে ৮৪ লক্ষ প্রজাতির প্রাণী আছে এবং বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে যে পৃথিবীতে প্রাপ্ত মৌলিক পদার্থের সংখ্য 94 টি ( উইকিইপিডিয়া মতে), যা পৃথিবী সৃষ্টির সময় তার সাথে সাথে সৃষ্টি হয়েছে, এই প্রত্যেকটা মৌলিক পদার্থের নিজ নিজ ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য আছে; সবগুলোর তো আর উদাহরণ দেওয়া সম্ভব নয়, একটির উদাহরণ দিই- লোহার ধর্ম কাঠিন্যতা বা শক্ত। এখন পৃথিবী উল্টে গেলেও লোহা কি তার এই ধর্ম পরিত্যাগ করবে ? লোহাকে কাজে লাগানোর জন্য আমরা তাপ দিয়ে লোহাকে হয়তো কিছুক্ষণের জন্য নরম করতে পারি বা তার রং পাল্টে কিছুটা লাল করতে পারি, কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থায় ছেড়ে দিলেই লোহা তো আবার তার শক্ত রূপ এবং কালচে রং ই ধারণ করবে। তার মানে হলো প্রকৃতিতে সৃষ্ট প্রতিটা উপাদান বা জীবের নিজ নিজ ধর্ম বৈশিষ্ট্য আছে, যেটা সৃষ্টির সময় প্রকৃতি নিজেই তার মধ্যে ভ’রে দিয়েছে। এই সৃষ্টিজগতের মধ্যে মানুষ কি প্রকৃতির বাইরে ? নিশ্চয় নয়। তাহলে বোধ-বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ সৃষ্টির সময় প্রকৃতি নিজেই তার মধ্যে তার কর্তব্য কর্ম অর্থাৎ বৈশিষ্ট্য বা ধর্ম ভ’রে দেবে না কেনো ?
পৃথিবীতে সৃষ্ট প্রতিটি প্রাণীর মতো মানুষও তার আবির্ভাবের সাথে সাথে কিছু জৈবিক ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য, যেমন-ক্ষুধা পেলে খাওয়া, টিকে থাকা বা বেঁচে থাকার চেষ্টা করা, একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়া, একটা নির্দিষ্ট বয়সে দেহে ও মনে যৌনতার অনুভব করা এবং একটা সময় মরে যাওয়া- এই জৈবিকধর্মগুলো সাথে করে এনেছিলো, যা প্রতিটি প্রাণীর স্বাভাবিক ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য; কিন্তু মানুষের উন্নত মস্তিষ্ক্য সৃষ্টির সাথে সাথে মানুষ যখন ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় বিচার করতে শিখলো, তখন জৈবিক ধর্ম ছাড়াও মানুষের মনে এক নতুন ধর্ম বা বৈশিষ্ট্যের উদ্ভব হলো, যাকে বলা হয় মানবধর্ম। আর এই মানব ধর্মের সৃষ্টি হয়েছিলো, পৃথিবীর প্রথম সভ্যতা, আর্যসভ্যতার শ্রেষ্ঠ সন্তান আমাদের মুনি ঋষিদের দ্বারা; প্রকৃতির নির্যাস থেকে সংগৃহীত মুনি-ঋষিদের উপলব্ধিজাত এই সব বৈশিষ্ট্য বা ধর্মই হলো সনাতন ধর্ম, যার বর্তমান নাম হিন্দু ধর্ম।
অর্থাৎ আধুনিক মানুষ তার বর্তমান দেহের আকৃতি মোটামুটি ২০ লক্ষ বছর আগে লাভ করলেও, বিবর্তনের ধারায় উন্নত মস্তিষ্ক্য সম্পন্ন মানুষের জন্ম হয় মোটামুটি ১০/১২ হাজার বছর আগে এবং এরাই পৃথিবীর নানা প্রান্তে ঘুরতে ঘুরতে এদেরই কোনো একটি দল মোটামুটি ৮/১০ হাজার বছর আগে সিন্ধু নদের তীরে এসে বসবাস করতে থাকে এবং গড়ে তুলে সিন্ধুসভ্যতা বা আর্যসভ্যতা, যে সভ্যতা পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতা এবং যে সভ্যতার লোকজন এখনও টিকে আছে হিন্দু নামসহ, মোটামুটি মান সম্মান নিয়ে এবং মাথা উঁচু করে।
পৃথিবীতে পাখি সৃষ্টি হওয়ার পর যেমন পাখির ধর্ম ও বৈশিষ্ট্য নির্ধারিত হয়েছে, তেমনি এটাও তো স্বাভাবিক যে, মানুষ যখন বুদ্ধিমান হয়ে সভ্যতা নির্মান করেছে, তখনই সেই সভ্যতা অনুযায়ী তাদের ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য নির্ধারিত হয়েছে, এই ভাবেই সনাতন মানব ধর্মের আবির্ভাব বা সৃষ্টি, যে ধর্মের বিধি বিধান রচিত বা সংকলিত হয়েছে ঈশ্বরের আশীর্বাদ পুষ্ট মুনি-ঋষিদের দ্বারা, তাই সনাতন মানব ধর্মের কোনো একক প্রবক্তা নেই; কারণ, এই ধর্ম প্রকৃতি থেকে উদ্ভূত বলে প্রাকৃতিক। আর যা কিছু প্রাকৃতিক তার জন্য কোনো একক মানুষের মত বা বিধান অর্থহীন।
এবার একটা সিম্পল উদাহরণ দিই, মনে করুন আপনি একটা স্কুল তৈরি করলেন, তাহলে স্কুল পরিচালনার বিধি বিধানও আপনি সাথে সাথেই তৈরি করবেন, এটাই স্বাভাবিক। কোনো কারণে কি আপনি স্কুল তৈরি করার ৫/১০ বছর পর সেই বিধি বিধান তৈরি করবেন ? কখনোই নয়, কারণ তাহলে আপনার সৃষ্টি করা স্কুল চলবেই না বা চালু করলেও নিয়ম কানুনের অভাবে তা ভেঙ্গে পড়বে। সেই ভাবে এটা খুব স্বাভাবিক যে, সৃষ্টিকর্তা এই পৃথিবীতে যখন আধুনিক বুদ্ধিমান মানুষের সৃষ্টি করেছে, তখনই বা তার কিছু পরেই তাদের জন্য পালনীয় সব বিধি বিধান সৃষ্টি করেছে; তা না করে সৃষ্টিকর্তা কেনো ৩ হাজার বছর পূর্বে ইহুদি ধর্ম, আড়াই হাজার বছর পূর্বে বৌদ্ধধর্ম, ২ হাজার বছর পূর্বে খ্রিষ্টান ধর্ম এবং দেড় হাজার বছর পূর্বে ইসলাম ধর্মের সৃষ্টি করতে যাবে ?
যদি এই ধর্মগুলো সত্যি হয়, তাহলে তার আগের মানুষগুলো কী অপরাধ করেছে ? এরা তো সবাই বলে যে, তাদের ধর্ম পালন না করলে কেউ মুক্তি বা স্বর্গ পাবে না, তাহলে ৩ হাজার বছর আগে যে মানুষগুলো জন্ম নিয়ে মরে গেছে তাদের কী হবে ? তাদের মুক্তির বা স্বর্গ লাভের উপায় কী ? এদের ধর্মের সৃষ্টিকর্তা ই যদি প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা হয়, তাহলে ৩ হাজার বছর আগের মানুষগুলোর সাথে কি এই সৃষ্টিকর্তা অন্যায় করে নি ? কিন্তু প্রকৃত সৃষ্টিকর্তা কি মানুষের সাথে অন্যায় করতে পারে ? না, পারে না; এজন্যই হিন্দু ধর্মের ঈশ্বর গীতায় বলেছে,
“কেউ আমার কাছে প্রিয় নয়, কেউ অপ্রিয়ও নয়”
যখন কোনো ব্যক্তি পৃথিবীতে কোন মত, পথ বা ধারণার জন্ম দেয়, তখন তাকে বলে ‘ইজম’ (Ism)। যেমন কার্ল মার্কস এর মতবাদের নাম, মার্কস+ইজম = মার্ক্সিজম, এই সূত্রে যেসব ব্যক্তিমত পৃথিবীতে ধর্ম নাম নিয়ে চলছে, যেমন- ইসলাম, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, ইহুদি বা এরকম প্রায় ৪২০০ টি, তার একটাও রেলিজিয়ন অর্থে ধর্ম নয়, এগুলো ইজম অর্থে এক একটি মতবাদ। কারণ, উপরেই আলোচনা করেছি, প্রকৃতিসৃষ্ট পদার্থ বা প্রাণীর মধ্যে ধর্মের সৃষ্টি করা মানুষের কাজ নয়, ওটা প্রকৃতির কাজ। তাই মানুষ যা সৃষ্টি করে সেটা মত বা পথ এবং প্রকৃতি যা সৃষ্টি করে সেটা ধর্ম। একারণেই হিন্দু ধর্মের কোনো প্রবর্তক নেই, কারণ হিন্দু ধর্ম প্রকৃতির সৃষ্টি মানুষের জন্য প্রকৃতির ধর্ম। এই জ্ঞান বা বোধ অতি উচ্চ মানের ধারণা, সাধারণভাবে শিশু বা বালকদের পক্ষে এই জ্ঞান বা ধারণাকে হৃদয়াঙ্গম করা কঠিন- যদি তারা সঠিক শিক্ষক বা গুরুর হাতে না পড়ে। তাই ব্যক্তিমতের ধর্মের অনুসারীরা তাদের শিশুসুলভ জ্ঞান দিয়ে হিন্দু ছেলে-মেয়েদের এই স্বল্পজ্ঞানের সুযোগ নিয়ে তাদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্য এই প্রশ্ন করে যে হিন্দু ধর্মের প্রবর্তক কে ? কিন্তু প্রবর্তক না থাকার কারণেই যে হিন্দু ধর্ম প্রকৃত ধর্ম এবং প্রবর্তক থাকার কারণেই যে তাদেরগুলো কোনো ধর্ম নয়, শুধুমাত্র ব্যক্তিগত মত বা পথ, সেটা হয়তো তারা নিজেরাই জানে না। হিন্দুধর্ম প্রকৃতির ধর্ম বলেই প্রকৃতির সকল কিছু এই ধর্মের পূজা প্রার্থনার বিষয় এবং একজন হিন্দুকে তার জীবনাচরণের জন্য কোনো কিছু কোনো ব্যক্তিমতের ধর্মের কাছ থেকে ধার করতে হয় না বা হবে না। কিন্তু সকল ব্যক্তিমতের ধর্মকে অনেক কিছু হিন্দু ধর্মের কাছ থেকে ধার করে চলতে হয় বা হবে।
এখানে প্রশ্ন আসতে পারে, হিন্দুধর্মের মুনি-ঋষিরাও এই পৃথিবীর মানুষ আবার ইসলাম-খ্রিষ্টান-বৌদ্ধ-শিখ-জৈন মতবাদের প্রবর্তকরাও এই পৃথিবীর মানুষ। তাহলে মুহম্মদ-যীশু-বুদ্ধ প্রমুখেরা যদি তথাকথিত ঐ সব ধর্মের প্রবর্তক হয়, হিন্দুধর্মের মুনি-ঋষিরা হিন্দুধর্মের প্রবর্তক নয় কেনো ?
এর সহজ উত্তর হচ্ছে, হিন্দুধর্ম ছাড়া ব্যক্তিমতের ধর্মগুলো কোনো একক ব্যক্তির ইচ্ছা অনিচ্ছার ফল, উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, মুহম্মদের কাছে যা কিছু পছন্দের ছিলো তার সব কিছু মুসলমানদের জন্য জায়েজ বা হালাল, আর যা কিছু তার অপছন্দের ছিলো তা মুসলমানদের জন্য হারাম; এই হারাম হালাল নিয়ে কারো কোনো প্রশ্ন করারও অধিকার নেই। এককথায়, ইসলাম- লোভ বা ভয়ের মাধ্যমে পুরোপুরি মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়া একটা বিধান; অন্যান্য ব্যক্তিমতের ধর্মগুলোও এর বাইরে কিছু নয়। কিন্তু হিন্দু ধর্মের কোনো কিছুই মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়া কিছু নয়, এগুলো মানুষের সাধারণ প্রবৃত্তির একটি সংবিধিবদ্ধ রূপ মাত্র, আমাদের মুনি ঋষিরা জাস্ট এই কাজটিই করেছে, তারা নিজেদের থেকে কোনো কিছু মানুষের উপর চাপিয়ে না দিয়ে মানুষ হিসেবে প্রতিটা মানুষের কী কর্তব্য-অকর্তব্য তা লিপিবদ্ধ করেছেন শুধু।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একটা মানব শিশুর জন্মের পর তাকে যদি সাধারণভাবে বেড়ে উঠতে দেওয়া যায়, সে মানবীয় সব গুনাবলি, যেমন- মানুষসহ সকল পশু পাখির প্রতি ভালোবাসা নিয়ে বেড়ে উঠবে, বিনা কারণে তাদেরকে হত্যা করা দূরে থাক, তাদেরকে আঘাত করে আহতও করবে না। একারণেই বাল্যকালে গৌতম বুদ্ধ, তীর বিদ্ধ একটি পাখিকে সুস্থ করে আকাশে উড়িয়ে দিয়েছিলো, আর একারণেই এখনও যেকোনো মুসলিম পরিবারের ছোট ছেলে মেয়েরা কুরবানীর জন্য কিনে আনা গরু ছাগলকে জবাই করতে দিতে চায় না, জবাই না করার জন্য কান্নাকাটি করে, কিন্তু যখন সে একটু বড় হয় এবং তার মাথায় ঢোকানো হয় যে, কুরবানীর নামে গরু ছাগলকে জবাই করা কোরানে আল্লার নির্দেশ, এই নির্দেশ না মানলে তারা আর মুসলমান থাকবে না এবং এর ফলে তারা বেহেশতে না গিয়ে জাহান্নামে যাবে আর সেখানে অনন্তকাল ধরে আগুনে পুড়বে, তারপরই তারা হয়ে উঠে মুসলমান নামের এক একজন জল্লাদ বা ঘাতক এবং তারপর তাদের কাছে গরু-ছাগল জবাই করা তো সামান্য ব্যাপার, জঙ্গী হয়ে মানুষ জবাই করতেও তাদের বুক ও হাত কাঁপে না।
এছাড়াও ব্যক্তিমতের ধর্মগুলো একজন মানুষের চিন্তাভাবনার ফল বা ফসল, তাই এগুলোতে ভুল ত্রুটি থাকা স্বাভাবিক, আছেও তাই। এজন্য কোনো ব্যক্তিমতের ধর্মই প্রশ্নের উর্ধ্বে নয়, এগুলো নিয়ে রয়েছে শত শত প্রশ্ন। কিন্তু প্রকৃত সনাতন মানবধর্ম নিয়ে কারো কোনো প্রশ্ন করার কোনো অপশনই নেই; বর্তমানে হিন্দুধর্ম নিয়ে যেসব প্রশ্ন উঠছে, সেগুলো হলো হিন্দুধর্মকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা হিসেবে হাজার বছর ধরে হিন্দুবিরোধীদের দ্বারা হিন্দুধর্মের বিকৃতির ফল মাত্র।
মানুষ প্রকৃতির সৃষ্টি এবং প্রকৃতির সৃষ্টি বলেই কোনো অঙ্গ কেটে মানুষকে বিকৃতি করা সনাতন মানব ধর্মে নিষেধ। কারণ, ডারউনের বিবর্তনবাদ বলে, যোগ্যতমরাই পৃথিবীতে টিকে আছে এবং টিকে থাকবে। আর প্রকৃতি বর্তমানে যেভাবে যে প্রাণীকে সৃষ্টি করছে সেভাবেই সে সম্পূর্ণ ফিট। নবী ইব্রাহিম প্যাঁচে পড়ে, প্রথমে, বৃদ্ধ বয়সে করিয়েছিলো নিজের খতনা এবং সে তার অনুসারীদের তা করার নির্দেশ দেয় এবং সেখান থেকে মুসলমানরা এই প্রথাকে গ্রহন করেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ইহুদি, খ্রিষ্টান বা ইসলাম যদি প্রকৃত অর্থে সত্য ধর্ম হয়, তাহলে সেই সব ধর্মের বিধানকে মেনে তাদের সৃষ্টিকর্তা- ইহুদি, খ্রিষ্টান বা মুসলমান ঘরের পুরুষ সন্তানদেরকে খতনাসহ জন্ম না দিয়ে হিন্দুরূপে জন্ম দিচ্ছে কেনো ?
আবার ইসলামে দাড়ি রাখার নির্দেশ কিন্তু গোঁফ কেটে ফেলার আদেশ, তাহলে মুসলমানদের গোঁফ জন্মায় কেনো ? কিন্তু হিন্দুদের এ সম্পর্কিত কোনো আদেশ নির্দেশ নেই, এটি প্রকৃতির বিধান যে পুরুষের দেহে টেস্টোস্টেরন হরমোনের প্রভাবে গোঁফ দাড়ির জন্ম হবে, এখন ইচ্ছা হলে তুমি সেটা রেখে দাও বা কেটে ফেলো, সেটা তোমার ব্যাপার। প্রকৃতির এই বিধানের উপর- যে বিধান হাত ঘুরায়, সেটা আবার কেমন ধর্ম ? সৃষ্টিকর্তার উপর মাস্তানি ? বিধান তো দিয়েছিস গোঁফ না রাখার এবং লিঙ্গের চামড়া কেটে ফেলার, তো এই ভাবে একটা মুসলমানের জন্ম দিয়ে দেখা, তাহলে বুঝবো ইসলাম সত্য ধর্ম; ইসলামের আবির্ভাবের তো প্রায় দেড় হাজার বছর হতে চললো, কত দিন আর মুসলমানদের হিন্দু হিসেবে জন্ম হবে ?
আজকের টপিক হচ্ছে, হিন্দু ধর্মের প্রবর্তক কে ? এখন এ ব্যাপারে উপসংহারে আসা যেতে পারে। উপরে আমি বিভিন্ন উদাহরণ দিয়ে যে কথাটি বলার চেষ্টা করেছি, তা হলো প্রকৃতির সৃষ্ট বিভিন্ন পদার্থ ও প্রাণীর নিজ নিজ ধর্ম আছে, যা প্রকৃতিই তাদের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছে; তেমনিভাবে প্রকৃতির সৃষ্ট সনাতন মানবধর্মের বিধি বিধানও প্রকৃতিই নির্ধারিত করে দিয়েছে, একারণেই হিন্দুধর্ম হচ্ছে প্রকৃতি সৃষ্ট মানুষের একমাত্র ধর্ম, আর এই কারণেই যে ধর্মগুলোর পিতৃপরিচয়ের মতো প্রবর্তক আছে, সেগুলো কোনো ধর্ম নয়, সেগুলো একট একটি মত বা পথ, এককথায় ইজম।
এ প্রসঙ্গে আরেকটি উদাহরণ দেওয়া যাক, বাঘ সিংহের জন্য প্রকৃতি সৃষ্ট ধর্ম হচ্ছে তৃণভোজী প্রাণীদেরকে হত্যা করে তাদের মাংস খাওয়া। এতে কিন্তু বাঘ সিংহের জন্য কোনো অন্যায় নেই। কারণ, প্রকৃতি ই তাদের জন্য এই নিয়ম তৈরি করে দিয়েছে। আবার মানুষও প্রয়োজনে তৃণভোজী প্রাণীদেরকে হত্যা করে খেতে পারে, এটাও প্রকৃতির বিধান। এই বিধানের কথা ই বলা আছে বেদ এ
“জীবস্য জীবস্মৃতম”
অর্থাৎ- জীবন ধারণের জন্য এক জীব অন্য জীবকে আহার করবে খাদ্য রূপে ।
কিন্তু মানুষ হিসেবে জন্ম নিয়ে আপনি অন্য মানুষকে বিনা কারণে হত্যা করতে পারেন না বা কোনোভাবে কাউকে কষ্ট দিতে পারেন না, এটাই মানুষের জন্য প্রকৃতির বিধান। প্রকৃতির এই বিধানের কথাও বলা হয়েছে হিন্দু শাস্ত্রে-
“পরোপকারঃ পুন্যায়, পাপায় পরপীড়নম্।”
অর্থ : অন্যের উপকার করা ধর্ম, অন্যের অপকার করা অধর্ম।
এছাড়াও বলা হয়েছে,
“পরদ্রব্যেষু লোষ্ট্রবৎ”
অর্থাৎ- পরের দ্রব্যকে মাটির ঢেলার মতো জানবে। এবং
“মাতৃবৎ পরদারেষু, কন্যাবৎ পরকন্যাষু”
অর্থাৎ- পরের স্ত্রী কন্যাদেরকে মায়ের মতো দেখবে।
এখন একটু ভেবে দেখুন, আপনি যদি অন্যের সম্পদকে মাটির ঢেলা বিবেচনা করে সেগুলোর প্রতি লোভ না দেখান, অন্যের স্ত্রী-কন্যাকে যদি নিজের মায়ের মতো বিবেচনা করে তাদেরকে হরণ ও ভোগের কথা চিন্তা না করেন, তাহলে কিন্তু কাউকে আপনার হত্যা করা কথা চিন্তা করতেই হবে না, এককথায় এই দুটি বিধানকে মেনে চললে কাউকে আপনার পীড়া দিতে হবে না। বর্তমান বিশ্বের তথা আধুনিক সভ্যতার মানবতাবাদ কিন্তু এই তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল, যেগুলোর কথা হিন্দু শাস্ত্রে বলা হয়েছে মানব সভ্যতার শুরুতেই, অর্থাৎ মানুষের কী করণীয় তার মূল কথা বলে দেওয়া হয়েছে মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি হওয়ার সাথে সাথেই, এই বিধানগুলোই প্রকৃতির বিধানএবং এগুলোই মানুষের জন্য প্রকৃতির ধর্ম।
এখন আপনি আর একটু চিন্তা করুন, কোনো ব্যক্তিমতের ধর্ম কি এই মহান বিধানগুলো দিতে পেরেছে- যা সমগ্র পৃথিবীর মানুষের জন্য প্রযোজ্য হতে পারে ? মুসলমানরা তাদের মূল থেকে সরে আসছে না বলে, এখন হয়তো ইসলামের মানবতা বিরোধী- হত্যা, ধর্ষণ, লুন্ঠন, দখলের- বিধানগুলো বেশি আলোচিত হচ্ছে; কিন্তু ইহুদি এবং খ্রিষ্টান মতবাদও এই- হত্যা, লুণ্ঠন ও দখলে কম যায় না। কিন্তু যেহেতু তারা তাদের ধর্মের বিধান ছেড়ে সনাতন মানবতাবাদের কাছে ফিরে আসছে, তাই তাদের বিধানগুলো এখন আর বেশি আলোচিত হচ্ছে না।
উপরে মানবধর্মের যে তিনটি মূল বিধানের কথা বললাম,
“পরোপকারঃ পুন্যায়, পাপায় পরপীড়নম্।”
“পরদ্রব্যেষু লোষ্ট্রবৎ”
“মাতৃবৎ পরদারেষু, কন্যাবৎ পরকন্যাষু”
এগুলো নিয়ে সারা পৃথিবীর কোনো লোকের কি কোনো প্রশ্ন আছে, যে এই বিধানগুলো ঠিক নয় বা এগুলো এই রকম না হয়ে অন্যরকম হতে পারে বা পারতো ?
না, নেই।
কিন্তু ব্যক্তিমতের প্রতিটা মতবাদ, যাকে এখন গায়ের জোরে বলা হচ্ছে ধর্ম, সেগুলো নিয়ে শত শত প্রশ্ন আছে। সেজন্য এখন প্রশ্নই হচ্ছে, ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন থাকবে কেনো ? আপনি কি মানুষ ছাড়া, প্রকৃতি জাত ১০৫ টা মৌলিক পদার্থ এবং অসংখ্য প্রাণী ও উদ্ভিদের ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেন বা প্রশ্ন তোলার ক্ষমতা রাখেন ?
এখানেও উত্তর হচ্ছে, না। তাহলে যে বিধি-বিধানগুলো নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়, সেগুলোকে আপনি ধর্ম বলছেন কেনো বা সেই ব্যক্তিমতগুলোকে ধর্ম বলে আপনার কাছে মনে হচ্ছে কেনো ?
বর্তমানে, এই যে সমগ্র পৃথিবীর সুশিক্ষিত, সুসভ্য মানুষদের মানবতাবাদের দিকে আগমন, এটাই কিন্তু সনাতন মানবধর্ম, যার প্রবক্তা আমাদের মুনি-ঋষিরা। এখন আপনি বলতে পারেন, তাহলে এই সনাতন মানবধর্মের মধ্যে পূজা পার্বন এলো কোথা থেকে ? এগুলো জাস্ট এক একটা উৎসব, আর কিছুই নয়। সাধারণ জীবন যাত্রায় মানুষের একঘেঁয়েমী কাটাতে বিজ্ঞান যেমন মানুষের জীবনে যুক্ত করছে মানুষেরই চাহিদা মতো একের পর এক যন্ত্র- ফ্রিজ, টিভি, এয়ারকন্ডিশন, কম্পিউটার ইত্যাদি, তেমনি যুগের প্রয়োজনে মানুষই তাদের নিজেদের প্রয়োজনে সমাজ জীবনে যুক্ত করেছে একের পর এক অনুষ্ঠান, কিন্তু ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য সেগুলোকে ধর্মের ছাঁছে ফেলে ধর্মীয় রূপ দিয়েছে মাত্র, যাতে মানুষ সেগুলো নিষ্ঠা নিয়ে পালন করে এবং পরম্পরা নষ্ট না হয়। এই যেমন- ভারতবর্ষে গুপ্ত যুগের আগেও মূর্তি পূজার তেমন প্রচলন ছিলো না, আবার এই বাংলায় ৫০০ বছর আগেও দুর্গা পূজা ছিলো না, এখনও বাঙ্গালি হিন্দু ছাড়া এই দুর্গা পূজার উৎসব সারা পৃথিবীতে কেউ পালন করে না; তাতে কারো কি কোনো অসুবিধা হচ্ছে ? সারা পৃথিবীর মানুষ যে যার মতো করে তাদের উৎসব তৈরি করে নিয়েছে; ধর্মের মোড়কে হোক আর সাধারণভাবেই হোক প্রতিটা জাতির প্রতিটি উৎসবের মূল উদ্দেশ্যই হলো মানুষের জীবনে একটি চেঞ্জ আনা, আর কিছুই নয়। আর কোনো উৎসবে, এর চেয়ে বেশি কিছু মানুষের অর্জনও হয় না।
এখন সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে বর্ধিষ্ণু ধর্ম হচ্ছে মানবতাবাদ বা মানবধর্ম, এই মানবধর্ম কিন্তু হিন্দুধর্মের বাইরে কিছু নয়; কারণ, মানবতাবাদের যে দুটি মূল সূত্র- পরের দ্রব্যকে মাটির ঢেলার মতো জানবে আর পরের স্ত্রী কন্যাকে মায়ের মতো দেখবে- তা হিন্দু ধর্মেরই মূল কথা; কারণ, হিন্দুধর্মের অপর নাম হচ্ছে সনাতন মানবধর্ম। এবং যেহেতু মানবতাবাদের এই মূল দুটি কথা ব্যক্তিমতের কোনো ধর্ম প্রবর্তক বলতে পারে নি, তাই সেগুলো কোনো ধর্মই নয়, সেগুলো চিরদিনই ‘ইজম’ আর কোনো একক প্রবর্তক নেই বলেই প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুনি-ঋষিদের চিন্তাভাবনার সার সংক্ষেপ, হিন্দুধর্ম নামের আড়ালে থাকা সনাতন মানবধর্মই পৃথিবীর একমাত্র প্রকৃত ধর্ম; কারণ, এর সৃষ্টিকর্তা প্রকৃতি নামের ঈশ্বর।
হিন্দু ধর্মের প্রবর্তক কে ? এই প্রশ্নের উত্তরে এককথায় বলা যায়, ধর্ম যেহেতু ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তার ব্যাপার, তাই তার কোনো প্রবর্তক থাকতে পারে না বা প্রবর্তক হয় না। আবার এই প্রশ্নের উত্তরে উল্টো এই প্রশ্নও করা যায়, ঈশ্বরের সৃষ্ট ধর্মের জন্য প্রবর্তক হিসেবে কোনো মানুষ থাকবে কেনো বা ধর্মের প্রবর্তক থাকার প্রয়োজন কী ? ধর্মের থাকে সৃষ্টিকর্তা, তাই ধর্মের কোনো একক প্রবর্তক অর্থহীন; একারণেই মানুষ যখন কোনো কিছু প্রবর্তন করে তখন তা আর ধর্ম হয় না, হয় মত বা পথ। আর সৃষ্টিকর্তা হিসেবে ঈশ্বর যখন কোনো পদার্থ বা জীবের জন্য কোনো বিধান তৈরি করে দেয় তখন তা হয় বৈশিষ্ট্য বা ধর্ম, এই সূত্রে প্রকৃতির ধর্ম, সনাতন মানবধর্মের সৃষ্টিকর্তা স্বয়ং ঈশ্বর; তাই হিন্দু ধর্মের কোনো প্রবর্তক নেই, কিন্তু সৃষ্টিকর্তা আছে এবং সেই সৃষ্টিকর্তা অন্যান্য ধর্মের প্রবর্তকেরও সৃষ্টিকর্তা, একারণে ব্যক্তিমতের ধর্মগুলো যদি হয় একে অপরের ভাই, তাহলে হিন্দুধর্ম হলো ঐসব ভাইদের জন্মদাতা অর্থাৎ বাপ।
জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।
লিখাটা পড়ছিলাম কিছু জানার জন্য কিন্তু আপনি ইসলাম কে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন অনেক।দুঃখজনক।আপনার ধর্মকে উপরে সঠিক ভাবে উপস্থাপন করুন।তাই বলে অন্য ধর্মে কে এভাবে ছোট করে নয়।আপনার ধর্ম আপনার কাছে অবশ্যই বড়।এবং কিভাবে বড় সে যুক্তি দেখানো উচিত ছিল।
উত্তরমুছুনআমি একমত কি বুঝতে এলাম কি বুঝলাম বোঝার জন্য গ্যান এর দরকার অনেক
মুছুনঈশ্বর কি প্রকৃতি নাকি প্রকৃতির সৃষ্টিকর্তা?
উত্তরমুছুনআপনি কি বেদ বিশ্বাস করেন?
বেদের বাণিগুলো কার?
ঈশ্বরের নাকি মানুষের?
সব রূপকথা ।
মুছুনআপনি অনেক বিবরন দিয়েছেন।।।।।। মোসলমান ধর্ম কে ছোট করার চেস্টাা করেছেন।।।। আপনার কোন যুক্তি সঠিক না।।।।।।।।। যেমন......... খাতনা করা....... খাতনা করা সুন্নত।।।।।। এটা একটা অবসিসটো অংশো কে কেটে থেলা।।। যেনো ময়লা গিয়ে রোগের সিস্টিি না করে।।।।।।।।। ইসলাম মুনুষের জীবন ধারন করার জন্য বা সুস্থ থাকার জন্য নিয়োম দেওয়া হয়ে।।।।।।।।। যেমন....... ইসলাম বসে প্রসাব করতে বলা হয়েছে।।।।।।।।।।। আমি ১০০% গ্যারানটি দেবো যারা দারিয়ে প্রসাপ করবে তাদের মুএ থলিতে পাথর হবেই হবে ।।।।।।।।।।।।।।।।আপনি আরো বলেছে.......... নিজ ধর্মের গুনগান গাইতে গিয়ে নিজেই সিকার করে নিয়েছেন যে হিন্দু ধর্মের প্রবতক নেই।।।।।।।।।।। প্রবতক মানে যদি বাপ বুজানো হয় তাহলে কি দারায় হিন্দু ধর্মের কোন বাপ নেই।।।।।। ।। আর জার বাপ নেই তাকে কি বলে.......... জারজ............ আর পুজা নিয়ে যে সিকার করেছেন তার জন্য ধন্য বাদ.................. বেত বা গিতায় কোথাও লিখা নেই মুর্তি পুজা করো।।।।।।।।।। সামিজী বলে গেছেন....... মুর্তি পুজা না করে কাভাডি খেলতে............ ।।।।।।।। অবশেষে আমি বলতে চাই হিন্দু কোন ধর্ম না।।।।।।।।।।। এটা একটা সাজানো মানুষের তৈরি কাট ছাট করা ধর্ম।।।।।।।।।।।।।। ৩৩ কোটি দেবতা ।।।। মানুষ আর একজন মানুষের দেবতা হয় কি ভাবে।।।।।।।।।।।।।। ........ পৃথিবীতে একমাএ ধর্ম হলো ইসলাম।।।।।।।।।।।। ইসলাম সান্তির ধর্ম।।।।।।।।।।।।।।। আরো অনেক কিছু বলার ছিলো...... জানতে হলে মেসেনজার এ আসুন......
উত্তরমুছুনভালোই বলেনছেন শুনিয়া মুসলিম হিসেবে।মুসলমানের আবার ধর্ম?সকালে ১টা বলবে তো বিকালে আর ১টা। তাদের নাকি ঈদ কবে,নিজেরা বলতে পারে না।চাঁদ দেখে নাকি ঈদ করে,কোন ঈদ টাতে নিজের চোখে চাঁদ দেখে ঈদ করেছেন বলুন তো? সৃষ্টি কর্তার মানুষকে তৈরী করেছে এবং ১জন মানুষের যা থাকা দরকার তিনি দেওয়ার মালিক তিনিই দিয়েছেন আপনি আবার শরীরের অংশ কেটে দেওয়ার কে?ঐটা যদি অবশিষ্ট অংশই হয়,তিনি সম্পর্ন শরীর তৈরী করে দিতে পেরেছেন অবশিষ্ট টুকু কেটে ফেলে দেওয়ার সময় পাননি। আপনাদের বলছে যে নিজেরা এইটুকু ফেলে দিয়েন নাকি?অতএব নিজের ধর্ম নিজের সাধ্য মতো পালন করুন,অন্যের ধর্মকেও শ্রদ্ধা করুন।আর বলুন আমরা সবাই মানব জাতি,সকল ধর্মকে শ্রদ্ধা করি।ধন্যবাদ
মুছুনএই মুসলিম হলো সন্ত্রাস ,খুন ধর্ষণ রাহাজানি র ধর্ম। এটা আমি বলছিনা। বলছে তোমাদের পরিচয় আর দৈনন্দিন ঘটনা। সবের আগে তোমরাই আছো সব নোংরা কাজে। মুসলিমের সংখ্যা বাড়ানো বেশি করে সন্তান তৈরি করা। তোমাদের আসল জিনিসটাই তো বলা হলো না। অনেক বিয়ে আর তালাকের পর তাকে মৌলবী সুদ্ধুকরণ করবে। ওটা কি। সবাই জানে। আর বিয়ে ? নিজের বোন ছাড়া সবাই কে বিয়ে করে। সে মাসি পিসি বোন সব হতে পারে? এটা কি লজ্জা নয়?
মুছুনএকদম সঠিক কথা বলেছেন ভাই। মাশাল্লাহ, বারাকল্লাহ
মুছুনতোদের আল্লাহ কি ঠসা যে কানে শুনতে পায় না মাইক লাগিয়ে না চেচালে সে তো শুনতেই পায় না
মুছুনসব চেয়ে প্রাচীণ ধর্ম ইসলাম। প্রথম মানব হযরত আদম(আ)।কোন বিজ্ঞানি এর ভুল প্রমাণ করতে পারবে না।
উত্তরমুছুন"সব চেয়ে প্রাচীণ ধর্ম ......... বিজ্ঞানি এর ভুল প্রমাণ করতে পারবে না।"
মুছুনহা হা হা। ইতিহাস না জানলে যা হয় আর কি? ইসলাম এসেছে যীশুখ্রীষ্ট জন্মের মাত্র ৫৭০ বছর পূর্বে, যেখানে সনাতন ধর্মের ৩য় যুগ দ্বাপর যুগের শেষে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ হয়েছিলো আজ হতে সাড়ে ৫০০০ (হাজার) বছর পূর্বে !!! (নিচে আরো বিস্তারিত)
প্রথম মানব অবশ্য ই মনু। মনুর সন্তান বলে আমাদের মানব বলা হয়! মনুর থেকে যদি আমাদের নাই শুরু হলো বংশ পরম্পরা , তবে আমাদের মানব/মানুষ কেন বলা হয়?
এর জন্য বিজ্ঞানী হওয়া লাগেনা, গাধার মতন ঘোঁত ঘোঁত না করে আগে ইতিহাস জানুন পরে কথা কইতে আসুন!
হিন্দু ধর্মের চার যুগ -
সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর এবং কলি
এর উৎপত্তি এবং সময়কাল?
সত্য যুগ (দেবনাগরী: सत्य युग) হলো হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, চার যুগের প্রথম যুগ। অন্য যুগ গুলো হলো ত্রেতা যুগ, দ্বাপর যুগ ও কলি যুগ।
বৈশাখ মাসের শুক্ল পক্ষে তৃতীয়া তিথিতে রবিবারে সত্যযুগের উৎপত্তি। এর পরিমাণ ১৭,২৮,০০০ বছর। অবতার সংখ্যা চার। মৎস্য (মাছ), কুর্ম (কুমির), বরাহ (শুকর), নৃসিংহ (মানুষ ও সিংহের সমন্বিত রূপ)। ছয় জন শাসক। বলি, বেণ, মান্ধাতা, পুরোরবা, ধুন্ধুমার, কাত্তাবীর্য্য অর্জুন। শুধু পুণ্য ছিল, পাপ ছিল না। প্রাণ ছিল মজ্জায়। মৃত্যু ছিল ইচ্ছাধীন। সোনার পাত্র ব্যবহার করা হত। বেদ ছিল সামবেদ। তীর্থ ছিল পুষ্কর তীর্থ। তারক ব্রহ্মনাম ছিল- নারায়ণ পরা বেদা, নারায়ণ পরা অক্ষরা, নারায়ণ পরা মুক্তি, নারায়ণ পরা গতি। অর্থাৎ নারায়ণ পরম বেদ, নারায়ণ পরম অক্ষর, নারায়ণ পরম মুক্তি, নারায়ণ পরম গতি।
ত্রেতা যুগ (দেবনাগরী: त्रेता युग): এটি হলো হিন্দুধর্ম অনুযায়ী, চার যুগের দ্বিতীয় যুগ। ত্রেতা মানে সংস্কৃত ভাষায় তৃতীয়। প্রথম যুগ হলো সিদ্ধ নৈতিকতার সত্য যুগ এবং দ্বিতীয়টি দ্বাপর যুগ। কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের নবমী তিথিতে সোমবারে ত্রেতা যুগের উৎপত্তি। এর পরিমাণ ১২,৯৬,০০০ বছর। এই যুগের পালনকর্তা বিষ্ণুর তিন অবতার যথাক্রমে বামন, পরশুরাম এবং রাম। পুণ্য তিন ভাগ, পাপ এক ভাগ। সূর্য বংশের শাসক- ব্রহ্ম, মরীচি, কাশ্যপ, সাবর্ণিক, মনু, ধনু, সুষেণ, হরিদাস, যৌবনাশ্ব, মুচুকুন্দ, শতবাহু, বেন, পৃত্থু, ইক্ষাকু, দ্যোতকর, কৎসর্প, শ্রেষ্ঠধর, ককুৎস্থ, শতঞ্জীব, দণ্ড, হরিষ, বিজয়, হরিশচন্দ্র, রোহিতাশ্ব, মৃত্যুঞ্জয়, মহাপদ্ম, ত্রিশঙ্কু, উচ্চাঙ্গদ, মরুৎ, অনরণ্য, বিকর্ণবাহু, সগর, অংশুমান, অসমঞ্জা, ভগীরথ, অশ্বঞ্জয়, মণি দীলিপ, রঘু, অজ, দশরথ, শ্রীরাম, লব, কুশ। প্রাণ ছিল অস্থিতে। বেদ ছিল ঋগ্বেদ। রূপার পাত্র ব্যবহার করা হত। তীর্থ ছিল নৈমিষ অরণ্য। তারক ব্রহ্মনাম- রাম নারায়ণানন্ত মুকুন্দ মধুসুদন। কৃষ্ণ কেশব কংসারে হরে বৈকুণ্ঠ বামন। অর্থাৎ রাম নারায়ণ অনন্ত মুকুন্দ মধুসুদন কৃষ্ণ কেশব কংস অরি হরি বৈকুণ্ঠ বামন।
দ্বাপর যুগ (দেবনাগরী: द्वापर युग): এটি হলো হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, চার যুগের তৃতীয় যুগ। অন্য যুগ গুলো হলো সত্য যুগ, ত্রেতা যুগ, ও কলি যুগ
ভাদ্র মাসের কৃষ্ণ পক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে বৃহস্পতিবারে দ্বাপর যুগের উৎপত্তি। এর পরিমাণ ৮,৬৪,০০০ বছর। অবতার সংখ্যা দুই। শ্রীকৃষ্ণ, বুদ্ধ। পুণ্য অর্ধেক, পাপ অর্ধেক। শাসক ছিল-শাল্ব, বিরাট, হংসধ্বজ, কুশধ্বজ, ময়ুরধ্বজ, বভ্রুবাহন, রুক্ষাঙ্গদ, দুর্যোধন, যুধিষ্ঠির, পরিক্ষিৎ, জনমেজয়, বিষকসেন, শিশুপাল, জরাসন্ধ, উগ্রসেন, কংস। প্রাণ ছিল রক্তে। বেদ ছিল যজুর্বেদ। তামার পাত্র ব্যবহার করা হত। তীর্থ ছিল কুরুক্ষেত্র। তারক ব্রহ্মনাম- হরে মুরারে মধুকৈটভারে গোপাল গোবিন্দ মুকুন্দ শৌরে যজ্ঞেশ নারায়ণ কৃষ্ণ বিষ্ণো নিরাশ্রয় মাং জগদীশ রক্ষো। অর্থাৎ হরি মুরারী মধু কৈটভ অরি, গোপাল গোবিন্দ মুকুন্দ শৌরি, নারায়ণ কৃষ্ণ বিষ্ণু যজ্ঞেশ, নিরাশ্রয় আমাকে রাখ জগদীশ।
কলি যুগ (দেবনাগরী: कलियुग [kəli juɡə]: আক্ষরিকভাবে "কালীর যুগ", বা "পাপের যুগ") হলো হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, চার যুগের শেষ যুগ। অন্য যুগ গুলো হলো সত্য যুগ, ত্রেতা যুগ, ও দ্বাপর যুগ মাঘ মাসের শুক্ল পক্ষের পুর্ণিমা তিথিতে শুক্রবারে কলিযুগের উৎপত্তি। এর পরিমাণ ৪,৩২,০০০ বছর। পুণ্য এক ভাগ, পাপ তিন ভাগ। অবতার কল্কি। মানুষের আয়ু একশ বিশ বছর প্রায়। নিজের হাতে সাড়ে তিন হাত নিজের শরীরের আয়তন। প্রাণ অন্নে। তীর্থ গঙ্গা। সব পাত্র ব্যবহার করা হয়। ধর্ম সংকোচিত। মানুষ তপস্যাহীন, সত্য থেকে দূরে অবস্থানরত। রাজনীতি কুটিল। শাসক ধনলোভী। ব্রাহ্মণ শাস্ত্রহীন। পুরুষ স্ত্রীর অনুগত। পাপে অনুরক্ত। সৎ মানুষের কষ্ট বৃদ্ধি। দুষ্টের প্রভাব বৃদ্ধি। তারক ব্রহ্মনাম- হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।
সময় পরিমাণসম্পাদনা
বেদব্যাস রচিত বিষ্ণু পুরাণ বলা হয়েছে যে কৃষ্ণের পৃথিবী ত্যাগ করে স্বর্গারোহণের সময় থেকে পৃথিবীতে কলি যুগের সূচনা হয়েছে।
“ যস্মিন্ দিনে হরির্ঘাতে দিবং সন্ত্যজ্য মেদিনীম্।
তস্মিন্নেবাবতীর্ণোহয়ং কালকায়ো বলী কলিঃ।।
মনু সংহিতায় বলা হয়েছে যে মানুষের এক বছরে দেবতাদের এক দিবারাত্র হয়।
মুছুনউত্তরাযণ দেবতাদের দিন এবং দক্ষিণায়ন তাদের রাত।
৪,০০০ (চার সহস্র) দৈবপরিমাণ বছরে সত্য বা কৃত যুগ হয়
এবং ওই যুগের আগে ৪০০(চার শত) বছর সন্ধ্যা ও পরে ৪০০ বছর সন্ধ্যাংশ হয়।
পরবর্তী যুগগুলিতে (ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি) যুগের পরিমাণ ১,০০০(এক হাজার) বছর করে
এবং সন্ধ্যা ও সন্ধ্যাংশ ১০০(এক শত) বছর করে কমে যায়।
এই হিসাবে ১০০০ দৈব বছরে কলিযুগ হয় এবং এর সন্ধ্যা ও সন্ধ্যাংশ ১০০ বছর হয়;
অর্থাৎ ১২০০ দৈব বছরে কলি যুগ সম্পূর্ণ
গাজাখুরি পোস্ট
উত্তরমুছুনআবাল
উত্তরমুছুন১ খতনা করার উপকারিতা বর্তমান মেডিকেল সাইন্স ও স্বীকার করে।
উত্তরমুছুন২ হিন্দুরা যে কালি পূজার জন্য পাঠা বলি দেয় সেটা দোষ না???
৩ এ কেমন ধর্ম যেখানে এমন মুর্তিকে পূজা করা হয় যার নিজেকে রক্ষা করার যোগ্যতা নাই ওন্নের কি
উপকার করবে।
৪ প্রকৃত পক্ষে হিন্ধু ধর্ম মিথ্যা, মন গড়া, অযৌক্তিক কিছু সাধু বেটার চাপা- বাজি ছাড়া আর কিছুই না।
হদিস কথায় জণ্ম হিন্দু তাই নুনুর চামরা কেটে মুসলিম বানানো।
মুছুনজনাব, প্রথমে বলবো যে আপনি এক জন ওসুর!
উত্তরমুছুনদ্বিতীয় হচ্ছে যে ধর্ম কোন মানুসের সম্মান ইজ্জত করতে জানে না তাহা কোন ধর্ম নয়!তৃতীয় হচ্ছে আপনি একজন নাস্তিক!
আপনার যুক্তি প্রমান করে যে প্রকৃতি হচ্ছে আপনাদের ইশ্বর তাই আপনারা প্রকৃতির পুজ করেন।
প্রকৃতি কি করে ইস্বর হয় এটা আমার মাথায় আসে না!
"তোমরা তাদের উপাস্যকে গালি দিও না, তাহলে অজ্ঞতাবশত তারা তোমার আল্লাহ কে গালি দিবে "
----আল-কুরান
কিন্তু আপনি নিজেই মন্দ হিন মন্তব্য করেছেন!
যদি বলেন মানব ধর্ম তাহলে আমি বলবো মিথ্যা কথা কারন আপনার লেখুনিতে মানবতার প্রকাশ হয় না। প্রকাশ হয় অহংকার প্রকাশ হয় একজন স্রেস্ট মহাপুরুষ কে অপমান করার ।
যে ধর্ম অন্য ধর্ম কে সমিহ করতে জানে না তাহা কোন ধর্ম নয়। মিথ্যা মনগরা বানোয়াট ইতিহাস ছাড়া অন্য কিছু নয়! এবং তার প্রমান আপনার যুক্তি এবং লেখনি নিজেদের মনিশিদের বানি হিসেবে উল্লেখ করেছেন!
আপনার যুক্তি প্রমান করে আপনারা মনগরা মানুসের মতামত দিয়ে সনাতন ধর্ম প্রতিসঠা করেছেন।
যার ইস্বর হচ্ছে প্রকৃতি! হাস্যকর বিসয় যাহাকে আপনারা ইস্বর মানেন তার কোন ক্ষমতা নাই নেজেকে রক্ষা করার !
আপনি ডারউনের যুক্তি টেনেছেন যিনি একজন পাক্কা নাস্তিক!
যাই হউক আপনি মুসলিমদের কুরবানি বিসয় কে যঘন্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন ! যাহা ভিন্ন খাতে টেনে নিয়ে অমানবিক বলেছেন!
আপনি জানেন কি হিন্দু ধর্মে সতিদাহ প্রথা ছিল যাহা কোন ধর্মই মানবিক হিসেবে মেনে নিবে না !
যে ধর্ম স্বামি মারা জাবার পরে জিবন্ত আগুনে পুরিয়ে হত্যা করে তাকে আপনি মানবতার ধর্ম বলছেন?
ইসলামে এই বিধান নেই! বরং ইসলাম নারিকে ইজ্জত সম্মান দিয়েছে!
যে সুনবে সেই আপনাকে ময়লা খাওয়া পাগল ছাড়া সুস্থ মানুস বলবে না!!
হিন্দু ধর্মে বলিদান হয় যাহা এই সভ্য জুগেও এখনও ভারতে মন্দিরে দেখা যায়৷
এটাকে আপনি মানব ধর্ম বলছেন ?
ইসলামে এই বিধান নেই !
ইসলামে বিধান হচ্ছে মানব সেবা।
"মানব সেবাই হচ্ছে প্রকৃত দ্বিন "
---হজরত মোহাম্মাদ সাঃ
আপনি খাতনা নিয়ে কটু বাক্য করেছেন যাহা শিশু সুলভ ছাড়া অন্য কিছু নয় হাস্যকর!
" পরিস্কার পরিচ্ছনতা ইমানের অংগ "
---হযরত মোহাম্মদ সাঃ
তাই সোনার আগা থাকলেই যে হিন্দু এই ভাবা হচ্ছে পাগলের প্রলব বাক্য ছাড়া কিছু নয় ।
আরো প্রমান করলেন আপনাদের মানব রচিত ধর্ম হচ্ছে নোংরা৷
সুন্নতে খাতনা করলে রোগ জিবানু হতে মুক্ত থাকে এবং দুর্গগন্ধ থাকে না!! যে জানে যে সোনার আগায় যে ময়লা থাকে তার গন্ধ যে কতটা বাজে সেই জানে! আপনারা নোংরা ও বটে।।
আসুন এবার ইসলাম সব্দের অর্থ এ ইসলাম সব্দের অর্থ হচ্ছে সান্তি,, আর মুসলিম সব্দের অর্থ হচ্ছে আত্বসমরপন কারি।।
অর্থাৎ যে ব্যাক্তি একজন আল্লাহ বা ইস্বর এর নিকট আত্বসমরপন করেছে সেই মুসলিম ।
অতএব আপনারা প্রথমে ইসলামে মুসলিম হিসেবে জন্মগ্রহন করেন পরবরতিতে মনগরা ধর্ম এ চলে যান এবং নাস্তিক হন।।
আপনি ডারউনের যুক্রি টেনেছেন ডারউইন এর মতবাদ হচ্ছে মানুস প্রথমে পশু ছিল পরে বিবর্তন হয়ে বানর, সিপ্পাঞ্জি, হনুমান , হয়ে মানুসে এসেছে এবং আপনাদের বানানো ধর্ম ও এই কথা বিশ্বাস করে।। তাহলে আপনি কি একটা বানর দিয়ে হনুমান দিয়ে মানুস বানিয়ে দেখাতে পারবেন?? যদি পারেন তাহলে বুজবো যে আপনার ধর্ম সঠিক !
তাহা নাহলে বুজবো যে আপনিও গরু ছাগলের মতো মুর্খ !
আপনি নিজেই প্রমান করলেন যে, আপনাদের ধর্ম বানানো ধর্ম৷ ইস্বর কর্তিক প্রেরিত নয়৷
আপনার ধর্মের হিসাবে ...
মুছুনফ্রেরউন কতো ফুট লম্বা ছিলো..... ????
আর এখন কার মানুষ কত ফুট লম্বা হয়......?
মন্তব্য-২
উত্তরমুছুনআপনি প্রমান করতে পারেন নি যে আপনাদের ধর্ম সত্য এবং ইস্বর কর্তিক মনোনিত।।
আপনি হিন্দু ধর্ম কে পুরাতন ধর্ম হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং ১০ হাজার বছর পুর্বের ধর্ম হিসেবে উল্লেখ করেছেন আর ইসলাম ধর্ম কে ১৫০০ শত বছর পুর্বের বলেছেন এবং ছোট করতে চেয়েছেন৷
যাহা আপনার অজ্ঞতার প্রকাশ পায়৷
ইসলাম ধর্মের ধারাবাহিকতা রয়েছে সুচনা হতে সাক্ষা দিচ্ছে আল্লাহর প্রেরিত আল-কুরান শরিফ ।
আল-কুরান শরিফই হচ্ছে অলৌকিক এক আল্লাহর প্রেরিত সত্য ধর্মের প্রমান। যহা সাক্ষা দিচ্ছে ২৫ জন নবি রাসুলের যাহা অন্যকোন কিতাবে বরতমান নেই।
ধরে নেই যে আপনার ধর্মের প্রতিসঠা হয়েছে ১০ হাজার বছর পুর্ববে।। আসুন একটি গানিতিক হিসেব করি । ধরে নেই হযরত মোহাম্মাদ সাঃ এসেছে ১৫ শত বছর পুর্বে এখন পর্যন্ত ।
তাহলে ধরে নেই এক জন মহাপুরুসের ধর্ম প্রচার এভারেজ ১৫ শত করে x ২৫ জন নবি রাসুলের সময় হচ্ছে = ৩৭ হাজার ৫০০ শত বছর পুর্বের ।
যারা প্রত্যকে হজরত মোহাম্মাদ সাঃ এর আগমনের বার্তা দিয়ে গেছেন ।
তাহলে সনাতন ধর্ম কি করে পুরাতন হয় ছাগলের মতো দাবি করা বাদ দেন৷ সত্য ধর্ম ইসলামে আসুন নিজেকে মুক্ত করু।।
প্রমানিত হলো যে সত্য ধর্ম ইসলামই হচ্ছে পুরোন ধর্ম সনাতন হিন্দু ধর্ম নয়৷
এখন আসুনঃঃ
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন ঃঃ
"আমি সত্য দিয়ে মিথ্যার উপর আঘাত হানি অত:পর মিথ্যা হয় চুর্ন বিচুর্ন "
-----আল-কুরান৷
অতএব আবারও প্রমানিত হলো সনাতন ধর্ম আদি ধর্ম নয় ইসলামই হচ্ছে আদি ধর্মের সুত্রপাত এবং আল্লাহর মনোনিত।।
আল্লাহ বলেন ঃঃ
" প্রিথিবিতে আমি মানুসদের বিভিন্ন গোত্রে বিভক্ত করেছি কে ভালো কাজ করে দেখার জন্য "
-----আল-কুরান
আল্লাহ বলেন ঃঃ
"আমি প্রত্যেক ভাসায় রাসুল প্রেরন করেছি যাতে তাদের স্পস্ট বুঝাতে পারে "
-----আল-কুরান৷
আপনাদের ধর্ম যদি সত্য ধর্ম হয় তাহলে খাজা বাবা মঈনুদ্দিন চিসতি কি করে ইসলাম ধর্মের প্রচার করলো! এক বসায় ৯০ লক্ষ মুসলমান বানালো?
কেনো আপনাদের ইস্বর তাদের ক্ষতি করতে পারেনি?
খাজা বাবা মঈনুদ্দিন চিসতি রহঃ আয়না সাগরের পানি আল্লাহর হুকুমে তার ঘটিতে ভরে নিলেন পানির হাহাকার করে কেনো কেরামতি দেখালো? এগুলো আল্লাহর কেরামতি৷
অতএব কলমা শরিফ পরে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করুন মিথ্যা বানোয়াট ধর্ম বাদ দিন।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আপনাকে সত্য বুজার তৌফিক দান করুক। আমিন
what's গোত্রে ....?
মুছুনকারো মতে, হিন্দু ধর্মের ক্রমবিকাশ সূচনা হয় বৈদিক যুগ থেকেই। বেদের যুগ ছিল খৃষ্টপূর্ব ১৫০০ সালে।
উত্তরমুছুনআবার কোন কোন গবেষক মনে করেন খ্রিস্টের জন্মের প্রায় দু’হাজার বছর আগে, মধ্য এশিয়া থেকে আসা আর্য জাতিগোষ্ঠী ভারতবর্ষে এসে যে ধর্মাচারণের সূত্রপাত ঘটিয়েছিল, তারই এক পরিবর্তিত রূপ আজকের হিন্দুধর্ম। খ্রীস্টপূর্ব ৫৫০০-২৬০০ অব্দের দিকে যখন কিনা হাপ্পান যুগ ছিল ঠিক সেই সময়ই এ ধর্মের গোড়ার দিক। অনেকের মতে খ্রীস্টপূর্ব ১৫০০-৫০০ অব্দ। কিন্তুইতিহাস বিশ্লেষকদের মতে আর্য বা Aryan জাতিগোষ্ঠি ইউরোপের মধ্য দিয়ে ইরান হয়ে ভারতে প্রবেশ করে খ্রীস্টপূর্ব ৩০০০-২৫০০ অব্দের মধ্যে, তারাই ভারতে বেদ চর্চা করতে থাকে এবং তারা সমগ্র ভারতে তা ছড়িয়ে দেয়। সেই সূত্রে আর্যদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদ— হিন্দু ধর্মের প্রধান আকর গ্রন্থ হিসাবে বিবেচিত হয়।আর্যগণ প্রথমে উত্তর ভারতে সিন্ধুতে অবস্থান শুরু করে। এরপর তারা উত্তর প্রদেশে বসতি গড়ে তুলে।এখান থেকে উত্তর ভারতে হিন্দু ধর্মের ব্যাপক প্রসার ঘটতে থাকে।এই সময় এই ধর্ম আর্য্যবর্ত নামে পরিচিতি ছিল।কালক্রমে তারা বিন্ধা পর্বত অতিক্রম করে দক্ষিণ ভারতের দিকে আসতে থাকে এবং হিন্দু ধর্মের প্রসার ঘটতে থাকে। আর্য জাতিগোষ্ঠিরা অনেক নিয়ম কানুন মেনে চলত। তারা চারটি সম্প্রদায়ে বিভক্ত ছিল এরা হলঃ ব্রাহ্মন, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শুদ্র। এই সম্প্রদায়গুলো তৈরি করার অন্যতম কারণ হল কাজ ভাগ করে নেওয়া অর্থাৎ এক এক সম্প্রদায় এর লোক এক এক ধরনের কাজ করবে।(copy - paste)
জনসংখ্যার বিচারে হিন্দুধর্ম খ্রিষ্টধর্ম ও ইসলামের পরেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ধর্মমত। এই ধর্মের অনুগামীদের সংখ্যা ১৩৫ কোটি। এদের মধ্যে ১১৫ কোটি হিন্দুমতে বিশ্বাসী মানুষ বাস করেন ভারতীয় প্রজাতন্ত্রে।[২০][২১] এছাড়া নেপাল (৩৩,০০০,০০০), মরিশাস (২৫০,০০০) ও ইন্দোনেশীয় দ্বীপ বালিতে ( ৩০০,০০০) উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় হিন্দুরা বাস করেন।(সুত্র:উইকিপিডিয়া)
উত্তরমুছুনমূল্যায়ন :
উত্তরমুছুন* হিন্দু ধর্ম খ্রিস্টপূর্ব 2000 এ অন্য ধর্ম বা জাতি দ্বারা হয়েছে হয়েছে.
* সনাতন ধর্ম হলে কেন তৃতীয় স্থান?
* ইসলাম ধর্ম শুরু হয়েছে আদম আ (ADAM) থেকে, যা হিন্দু ধর্ম সৃষ্টি হওয়ার লক্ষ বছর পূর্বে বা দুনিয়া যখন সৃষ্টি হয়
কি হাস্যকর মন্তব্য আপনার
মুছুনউপদেশ:
উত্তরমুছুননিজ ধর্ম মন দিয়ে পালন করুন, ধর্মে ভালো কথা লেখা আছে তা পালন করুন, আপনার ধর্ম আপনার আমার ধর্ম আমার.
এই সব লেখা কষ্ট করে না লিখে মানব সেবা করুন যাতে দেশ ও জাতির উপকার হয়.
হিন্দু ধর্ম এবং এই ধর্মের অনুসারীরা ধর্মের বৈশিষ্ট্য অনুসারেই চরম নোংরা, অশ্লীল, লম্পট, ধর্ষনপ্রিয় হয়ে থাকে। দুই উরুর সন্ধিস্থলে এদের সকল আরাধনা বা পুজা নিহিত। হিন্দুদের তথাকথিত দেব দেবীরাই এ অশ্লীলতা বা লম্পট্যের পথ প্রদর্শক।
উত্তরমুছুনমূল আলোচনার শুরুতেই হিন্দুদের দেবতাদের সম্পর্কে একটু ধারনা থাকা দরকার। এবার আসুন
হিন্দুদের প্রধান দেবতা শিব সম্পর্কে কিঞ্চিৎ তথ্য উপস্থাপন করি।
" চিরাচরিত নিয়ম অনুযাই একদিন শিব তার পত্নী পার্বতীর সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হয়। পার্বতী হলো দূর্গার অপর নাম। যখন শিবের প্রমত্ত যৌন উত্তেজনার ফলে পার্বতী মরনাপন্ন হয়ে পড়ে, তখন পার্বতী প্রান রক্ষার জন্য কৃষ্ণের উদ্দেশ্যে প্রার্থণা করতে থাকে। এ অবস্থায় কৃষ্ণ তার সুদর্শন চক্রের দ্বারা উভয় লিঙ্গ কেটে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে পার্বতীর প্রান রক্ষা করে। আর এই স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য প্রবর্তন হয় এই যুক্তলিঙ্গ পূজা । (ভগবত, নবম স্কন্ধঃ৫৯৮)
এর পর পার্বতী নিজ যৌন চাহিদা মিটাতো তার পেছনের রাস্তা অর্থাত্ …. দিয়ে। আর মহাদেব যেহেতু লিঙ্গ কাটার পর পার্বতীর যৌন চাহিদা পুরা করতে পারত না। তাই পার্বতী অন্যান্য ভগবানদের সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হত। একদিনের ঘটনা। পার্বতী ভগবান বিষ্ণুর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছে। ঠিক এমন সময় সেখানে গনেশ এসে হাজির। গনেশ ছিল পার্বতীর আপন ছেলে। তখন পার্বতী গনেশের থেকে নিজেকে লুকানোর জন্য নিজ চেহারা তুলশীর চেহারায় পরিবর্তন করে ফেলে। তুলশীর সাথে গনেশের পূর্ব থেকে যৌন সম্পর্ক ছিল। তখন গনেশ নিজ মা পার্বতীকে তুলশী ভেবে তার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়।
পরবর্তীতে এই ঘটনা শিব জানতে পেরে অভিশাপ দিয়ে নিজ ছেলে গনেশের মাথা হাতির মাথায় পরিবর্তন করে দেয় ।
(স্কন্ধ পুরাণ, নাগর খন্ডম ৪৪৪১, পৃঃ১-১৬) এই হলো শিব এবং শিবলিঙ্গের ইতিহাস।
আর রামের কৃষ্ণের কথা সবাই কমবেশি জানে। কৃষ্ণ তার আপন মামী রাধাকে গভীর রাতে একা পেয়ে ধর্ষন করে, অতপর রাধাও ধর্ষন উপভোগ করে।
পরিশেষে উভয়ে বিয়ে করে। উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী কৃষ্ণ ১৬১০০ গোপীনি বা রক্ষীতা পালন করতো। অর্থাৎ সারাটি জীবন হিন্দুদের এই প্রিয় দেবতা যৌনলীলা বা কৃষ্ণলীলা করে কাটিয়ে দিয়েছে। এরকম প্রায় প্রতিটি তথাকথিত দেব দেবীর
জীবনে রয়েছে অজস্র লাম্পট্য এবং অশ্লীলতায় পরিপূর্ণ। যেই লাম্পট্যের ছাপ তাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মন্দির গুলোতেও আজও বিদ্যমান। (কপি-পেস্ট)
তোরা তো মুসলমান .....না কি ..?
মুছুনতোদের তো বাপ্পের ঠিক নাই ...
কথাটা একটু চিন্তা করে দেখিস.... !
কি আর বলবো, আপনি ধর্ম সম্পর্কে আমার চ্যাটের বাল জানেন। আপনার মতো মূর্খ কিভাবে ধর্ম নিয়ে গবেষণা করে আমি ভেবে পাই না। এতো উদাহরণ দেওয়ার কি দরকার! অল্প কথায় কাজ হলে বেশি কথার প্রয়োজন কি?
উত্তরমুছুনসালা শুয়োরের বাচ্চা, তুর মায়েরে তুই চুদ। তুই নিজের ধর্ম সম্পর্কে খুব কাঁচা।
আপনার সাথে আমি এক মত....!!ভাল লাগছে আপনার লেখাটা 😍😍
উত্তরমুছুনলেখকের ঞ্জানের পরিধি কম। একটা উদাহরণ হিসাবে ইসলামের শেষ নবী মুহাম্মদ সঃ এবং প্রথম নবী বা মানুষ আদম আঃ! বাইবেলে জিষু প্রথম মানব নয়!
উত্তরমুছুনএবার আশি হিন্দু ধর্ম বিষয়ে- সিন্ধু নদের অববাহিকায় যে জাতিগোষ্ঠী বসবাস করতো পশ্চিমারা তাদের কে হিন্দু জাতী বলতো! এই অববাহিকায় তাদের আগমন পারস্য হতে খাইবার গিরিখাত পারি দিয়ে তিব্বতের মধ্য দিয়ে এই ভূখণ্ডে তাদের প্রথম আবাস স্থল মূলত নেপালে! মূলত হিন্দু ধর্ম হলো ভারত বর্ষের জাতীর লোকগ!যা পৃথিবীর জাতীর ক্ষেত্রেই আলাদা আলাদা ভাবে রয়েছে! বাট হিন্দু ধর্মের মানুষের সাথে এসব বিষয় আলোচনা না করায় ভালো কারণ তারা নিজের প্রয়োজনের বাইরে গিয়ে কোন ঙ্গান আহরণ করে না! তারা ইতিহাস শেখে বাজিরাও মাস্তানি মুভি থেকে বাট মজার যেখানে শিবাজি থেকে বৃহৎ চরিত্র ক্যারি করে বাজিরাও!
এখনে আপনার মুসলিম ধর্মের প্রতি এমন কু কথা আপনাকে আপনার ধর্ম থেকে বার করে দেয়। আচ্ছা তাহলে বলুন প্রতি যুগে একজন করে সত্য বান লোক আসেছে কিন্তু কল্কি অবতার টা কে। 🙄🙄 কে এই মানুষ সেটা জানার চেষ্টা করেছেন ওইটা জানতে পারলে মুসলিমদের নবীর সঙ্গে তার মিল দেখুন। পেয়ে যাবেন বর্তমান যুগের মুনি কে ।
উত্তরমুছুননিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর সামনে আত্মসমর্থন করে তাকে মুসলিম বলা হয় পৃথিবীর প্রথম মানব আদম (আঃ)আল্লাহর কাছে নিজেকে
উত্তরমুছুনআত্মসমর্থন করেছিলো তায় তিনি একজন মুসলিম প্রথম মানব যদি মুসলিম হয় তা হলে ইসলাম কি নতুন ধর্ম?? না না না ইসলাম হল আদি ধর্ম আপনারা কি মনে করেন যে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক? না না ভুল বুঝছেন কেবল তা প্রচার করেছেন আর নিয়ম কানুন বলেছেন
ইসলাম ধর্ম সেকেলে নয়
নবীর হাতে 610 ক্ষ্রী.প্রথম মুসলিম ধর্ম গ্রহন করে। এটা কোরআন এর কথা। 570 এ নবীর জণ্ম নবীর জণ্ম অন্য গোএ কুরেশি। 610 প্রথম এক জন মুসলিম হয়। একদম নতুন ধর্ম
মুছুনমাননীয়,
উত্তরমুছুনআপনার লেখা পড়লাম খুব ভাল লাগল । আমার কিছু জানার আছে আপনার নিকট ।
1:আপনাদের সনাতন ধমে'কি বলা আছে অন্য জাতির বা অন্য ধমে'র অবমাননা করবে,সম্মান করবেনা, ঘৃণা করবে?
2: আচ্ছা আপনাদের সনাতন ধর্ম অনুযায়ী তখন সতীদাহ প্রথা হত । এখন আর হয়না বিদ্যাসাগর মহাশয়ের আমল থেকে বন্ধ হয়ে গেল কেন? তাহলে কি সনাতন ধম' ভুল ছিল ?
3:সনাতন ধম'রীতি অনুযায়ী তখন মানুষ খাবারের সময় ডান হাতে glass ধরতো এখন বাম হাতে ধরে তাহলে কি আগে সনাতন ধর্ম ভুল ছিল নাকি এখন ভুল করছে যদি এখন ভুল করে তাহলে কেন করছে ।?
4:আচ্ছা আপনাদের সনাতন ধমে'র দেবতারা ,বোমভা নিজের মেয়ের সাথে ,যম তার ভগিনী যমির সাথে সহবাস কেন করেছিল? তাহলে কি আপনাদের দেবতরা চরিত্রহীন ছিল নাকি সনাতন ধর্মের এটাই রীতি, আরও অনেক দেবতা আছে, সময়ের জন্য দুজনের নাম বললাম,।
5:আপনাদের সনাতন ধর্মে একজন অসুরকে মারতে নারী শক্তির পয়োজন হল কেন ?তাহলে পুরুষ দেবতারা কাপুরুষ ছিল?
6:: আচ্ছা আপনাদের সনাতন ধর্মে কি এটা শিক্ষা দেওয়া হয় যে অন্য ধমে'র মানুষ কে জোর করে জয়।শীরাম বলাতে হবে না হলে রাম মহাশয় রাগ করবেন ,সন্তুষ্ট হবেনা । ?
7:সব ধমে'র তো একটা guideline আছে, আপনাদের সনাতন ধর্মের guideline টা কি?
মসজিদ ভেঙে মন্দির করতে হবে? না কি মুসলমানদের কে দিয়ে জয়শ্রীরাম বলাতে হবে?
উওর গুলো দেবেন দাদা, ভাল থাকবেন ,বাড়ীর সবাই যেন ভাল থাকুক এই কামনাই করি
বিধান তো দিয়েছিস গোঁফ না রাখার এবং লিঙ্গের চামড়া কেটে ফেলার, তো এই ভাবে একটা মুসলমানের জন্ম দিয়ে দেখা, তাহলে বুঝবো ইসলাম সত্য ধর্ম;
উত্তরমুছুনei kotha gular fol mrittur por bujhben...kake tui kore sombodhon krlen nijew bujhen nai!
Murti puja, Gurur paye pray shuye porei nomoskar egulo kon sristikorta cheyeche???
Atto j boyan likhlen...ta apnr vogoban er jnno special ki rekhechen?
Meyera rup dekhay beray..kno restriction nai.. R eta apnr dhormo?amn dhormo exist kore??���� kkhno na ddhormo ektai..r setai Islaam dhormo!
Apnr mto mental ra egula bujhbe na..egular ektu ans diyen parle jottosob��
ঠিক বলেছেন
মুছুনহিন্দুধর্মের প্রবর্তক মনসা মুসা
উত্তরমুছুনআমার মনে আছে আমি ক্লাস 4 এ পড়া কালীন বার্ষিক পরীক্ষায় ধর্ম পরীক্ষায় আমার এক হিন্দু বন্ধু কে প্রশ্নের উত্তর লিখতে সাহায্য করেছিলাম।কারন পুরাটাই আমার জানা ছিল।কসম করে বলছি আজ পর্যন্ত কোন পাঠ্যপুস্তকে এ বাংলাদেশে অন্য ধর্মের অবমাননার বক্তব্য ছাপা হয়নি। মানুষ যা যা করতে ইচ্ছা করে সৃষ্টিকর্তা তাকে দিয়ে তা করান।
উত্তরমুছুনআপনার এই সব মন্তব্য আমি পড়তে চাই আমার ভালো লাগে ....
উত্তরমুছুনওগো হিন্দ! তোমার ধর্মের বইতে লেখা আছে মুহাম্মাদ (স.)এর কথা। সেখানেব৷ বলা হয়েছিলো যে তোমরা তাকে মেনে চলবে!!!
উত্তরমুছুনসনাতন ধর্ম এর অর্থ "প্রকৃতিক"অসীম অনন্ত সাকার নিরাকার সর্বগুন- সূর্যের সৃষ্টি,সৌর সর্বগুন,সৌর আকার,সৌরকাল আমরা খুবই কম আন্দাজ করতে পারিমাত্র-আর তেমন মহাবিশ্বের মহাজ্ঞান নিয়ে লড়াই করে বিশেষ ভলোক কিছু দেখিনা, তবে আমরা যারা হিন্দু ব্রান্ডের মানুষ আমাদের ভারতবর্ষ ইতিহাস তাই বলে, সেক্যুলার ভারতবর্ষকে ভাগাভাগি করে হিন্দু এবং মুসলিম ধর্মের জমি একবার বিভাজন হয়েছে-ভারত এবং পাকিস্তান, এরপরও যদি ধর্ম নিয়ে কচকচানির করতে হয় তাহলে আমার পরামর্শ মুসলিম ভাই দের উদ্দেশ্যে বলছি পাকিস্তানে তাও সেইখানে গিয়ে গলা ছেড়ে চিৎকার কর,ভারতে বসে নয়, সাবধান : সতর্কীকরণ টা মনে রাখা জরুরী ;
উত্তরমুছুনঅন্য ধর্মের বিরুদ্ধে বলে নিজ ধর্মকে বড় করার চেষ্টা হয়েছে।
উত্তরমুছুনপ্রাকৃতিক ধর্ম থেকে যেহেতু মানব ধর্মে আসতে হয়েছে তাই বলা বাহুল্য যে প্রাকৃতিক ধর্ম ও মানব ধর্ম এক নয়। অতিরিক্ত বহু গুণের সমন্বয়ে যে মানব ধর্ম তা কৃষ্ণ রামকৃষ্ণ প্রমুখের বাণী যোগ করতে হয়েছে।
2.বিদ্বেষপূর্ণ মন নিয়ে বলা যায়,মানবধর্ম বর্জিত প্রাকৃতিক বাকি ধর্মগুলো পিতার নির্দেশে উচ্চে উন্নীত হয়েছে আর বর্বর হিসাবে যা পড়ে আছে তা-ই সিন্ধু ধর্ম।
শালার মূর্তি পূজারী মালাউনের মায়রে চুদি
উত্তরমুছুন১৫০০ বছর আগে তো এই কথাটাই ওই মুহাম্মদ বলে গেছে। খালি চোদাচুদি আর খুনাখুনি। এর নাম চুদিছিলাম ধম্মো।
মুছুন৩০০০ হাজার বছর আগে নুহ থেকে ইব্রাহিম এর মাঝে তোদের মালাউনের ধর্মের জন্ম। নূহ এর ধর্ম আর ইব্রাহিমের ধর্ম ছিল এক আল্লাহ তে বিশ্বাস। সেখানে থেকে জ্ঞান নিয়ে তোদের সাধুরা হিন্দু ধর্ম আবিষ্কার করলেও পরে সেটাকে শয়তানের ধর্ম মূর্তি পূজা ধর্ম এ রূপান্তর করছস। তোদের ধর্মের মধ্যে ও আছে দেবতার তুষ্টি অর্জনের জন্যে বলিদান। তোরা তো আস্ত মাইয়া দিয়া দেস। আগে তো বিধবা সহ পুড়িয়ে দিতি। এখন তো মুসলিম দের সাথে মিলে এসব কুসংস্কার থেকে বের হইসস। তোদের ধর্মে দাঙ্গা হাঙ্গামার কথা লেখা আছে। ধর্ম টাই যেনো একটা যুদ্ধের কাহিনী আর অশ্লীলতায় ভরা। পতিতার জন্ম , আর মদখরদের জন্ম এই হিন্দু ধর্মের মাধ্যমে। তোদের ধর্মের কারণে তোরা একদিন হায় রাম বাদ দিয়ে হায় আল্লাহ বলবি
উত্তরমুছুনএখানে কতো নেড়ে কোরান বিজ্ঞানীর কথা শুললাম।বোকাচোদা মোল্লারা এতো মুর্খ আগে জানতাম না।বোকাচোদা গুলোর উঁচু নিচু জ্ঞান নেই।
উত্তরমুছুন🤣🤣🤣🤣🤣
উত্তরমুছুনতোমাদের ধর্মগ্রন্থ পড়ে দেখো,,সেখানে লেখা আছে মুহাম্মদ(সা) এর আগমনের কথা।তাকে মানতে বলেছিলেন তোমাদের ধর্মীয় শিক্ষা। তোমাদের ধর্মগ্রন্থের মধ্যে লেখা আছে প্রতিমা পূজা করো না,,,,,,কিন্তু তোমরা নিজেরা প্রতিমা পূজা করো।
উত্তরমুছুনআগে নিজ ধর্ম নিয়ে জেনে নাও।ফালতু লোক।
বোকাচদা কয় কি মালুর বাচ্চা তোদের গিতাতে বলেছে
উত্তরমুছুনমদো ধরিতা নমনম গূস্ম মক্কাতোন হির্রাতোন গুহাতোন কিররোন
যার নামের পথমে ম আর শেষে দ আর সে মোক্কায় হেরা গুহায় ধেন মগ্ন থাকবে তাকে অনুসরণ করো মরনের পরে নাজাত পাবে আর মালু কয়কি
♦️ পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে সর্বমোট আসমানী কিতাব পাঠানো হয়েছে ১০৪টি। তার মধ্যে ৪টি হলো প্রধান আসমানী কিতাব ও বাকি ১০০টি সহীফা। তবে কুরআন ও প্রধান হাদীসগ্রন্থ গুলোতে সব আসমানী কিতাবের সংখ্যা উল্লেখ নেই।
উত্তরমুছুন📖 প্রধান কিতাবসমূহ
১. তাওরাত
তাওরাত হচ্ছে সর্বপ্রথম প্রধান আসমানী কিতাব যা নবী হযরত মূসা (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি অবতীর্ণ তবে মুসলিমরা আরো ধারণা করে যে বর্তমানে উপলব্ধ তাওরাত বহু বছর ধরে দুর্নীতি এবং বিকৃতির শিকার হয়েছে তাই এটি আর এখন নির্ভরযোগ্য নয়।
২. যাবুর
যাবুর হচ্ছে দ্বিতীয় আসমানী কিতাব যা হযরত দাউদ (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি অবতীর্ন হয়। তবে প্রায়শই একে গীতসংহিতা হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়, যা রাজা দায়ূদ (দাউদ) -এর নিকট প্রকাশিত পবিত্র ধর্মগ্রন্থ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল। পণ্ডিতরা প্রায়শই গীতসংহিতা বইটিকে কোনও আইন পরিচালনার বই নয় বরং প্রার্থনার পবিত্র গানের বই হিসেবে বুঝিয়েছিলেন, যেগুলোকে সামসঙ্গীত বলে ডাকা হয়।
৩. ইনযিল
ইনযিল হচ্ছে তৃতীয় আসমানী কিতাব যা হযরত ঈসা (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি অবতীর্ণ হয়েছিল।
৪. আল কুরআন
কুরআন হচ্ছে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব যা সর্বশেষ সর্বশ্রেষ্ঠ
নবী হযরত মুহাম্মদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি অবতীর্ণ হয় সমস্ত মানবজাতির জন্য।
কিতাব বিকৃত হওয়ার প্রসঙ্গে
আল্লাহ তায়ালা সর্বশেষ আসমানী কিতাব আল কুরআনের ২নং সূরা আল বাকারার ৭৮,৭৯ আয়াতে বলেন-
সুরা বাকারা
সুরাঃ ০২ আয়াতঃ ৭৮
তোমাদের কিছু লোক নিরক্ষর। তারা মিথ্যা আকাঙ্খা ছাড়া আল্লাহর গ্রন্থের কিছুই জানে না। তাদের কাছে কল্পনা ছাড়া কিছুই নেই।
সুরা বাকারা
সুরাঃ ০২ আয়াতঃ ৭৯
অতএব তাদের জন্যে আফসোস! যারা নিজ হাতে গ্রন্থ লেখে এবং বলে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ-যাতে এর বিনিময়ে সামান্য অর্থ গ্রহণ করতে পারে। অতএব তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের হাতের লেখার জন্য এবং তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের উপার্জনের জন্যে।
পৃথিবী সৃষ্টির পর "হযরত আদম আলাইহি ওয়াসাল্লাম" থেকে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত
লক্ষাধিক নবী রাসুল প্রেরণের করেন
তবে কুরআনে কারিমে মাত্র ২৫ জন নবীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
কুরআনে ২৫ জন নবীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে:
আদম[1], ইদরীস[2], নূহ[3], হুদ[4], সালিহ[5], ইবরাহীম[6], লূত[7], ইসমাঈল[8], ইসহাক[9], ইয়াকূব[10], ইউসূফ[11], আইয়ূব[12], শুয়াইব[13], মূসা[14], হারূন[15], ইউনূস[16], দাউদ[17], সুলাইমান[18], ইল্ইয়াস[19], ইল্ইয়াসা’[20], যুলকিফল[21], যাকারিয়া[22], ইয়াহইয়া[23], ঈসা[24], মুহাম্মাদ[25]
তাদের কারও কারও আলোচনা বিভিন্ন সূরায় একাধিক জায়গায় স্থান পেয়েছে। আবার কারও কারও নামে সূরার নামকরণ করা হয়েছে ৬টি সূরা (ইউনুস, হুদ, ইফসুফ, ইবরাহীম, নূহ, মুহাম্মাদ)।
কুরআনে কারিম যেহেতু হেদায়েতের বাণী ও উপদেশগ্রন্থ, তাই অতীতকালের জাতি ও সম্প্রদায়ের ঘটনাবলি, তাদের ভালো-মন্দ আমল ও তার পরিণতি বর্ণনার ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক ধারা বর্ণনাপদ্ধতি অবলম্বন করা হয়নি। বরং সত্য প্রচারের লক্ষ্যে দাওয়াত প্রদানের মুখ্যতম পন্থাই গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে প্রাচীনকালের সম্প্রদায় ও তাদের প্রতি প্রেরিত পয়গম্বরদের আলোচনা বারবার শ্রবণ করার ফলে শ্রোতাদের অন্তরে দৃঢ়ভাবে গেঁথে যেতে পারে এবং তা শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে বেশ উপযোগীও বটে।♦️
♦️উত্তর : মুসলিম জাতির সৃষ্টি সবার আগে হয়েছে। মানব জাতির প্রথম পুরুষ এবং আদি পিতা ছিলেন মুসলিম।
উত্তরমুছুনপৃথিবীর প্রথম মানুষ "হজরত আদম আলাইহিস সালাম" তিনি আল্লাহর নবীও ছিলেন। পৃথিবীর সর্বপ্রাচীন ধর্ম হলো ইসলাম। এরপর বিভিন্ন সময়ে ইহুদি, খ্রিষ্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন ইত্যাদি ধর্মমতের সৃষ্টি হয়েছে। মানবজাতির প্রথম ও প্রকৃতিগত ধর্ম ইসলামেরই পূর্ণাঙ্গ ও সর্বশেষ স্থায়ী রূপ "হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম"-এর আনীত ইসলাম।♦️
♦️সনাতন (বেদ) 4,000 বছর আগে এসেছে তখনকার মানুষদের জন্য কিতাবের বিকৃতি হওয়ার কারণে আল্লাহ তায়ালা নতুন কিতাব নাযিল করেছেন।
পৃথিবীর সৃষ্টির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১০৪ টি আসমানি কিতাব নাযিল করেছেন এর মধ্যে চারটি বড় কিতাব আর একশোটি ছোট কিতাব। আল-কোরআন হলো সর্বশেষ আসমানী কিতাব যা সমস্ত মানবজাতির জন্য আল্লাহ তাআলা নাযিল করেছেন। যেমন আগে আপনি বাটন ফোন চালাতেন এখন এন্ড্রয়েড ফোন চালানো কারণ এটা আধুনিক তাই কোরআন আধুনিক শেষ আসমানী কিতাব।♦️
♦️বিষ্ণুর সঙ্গী লক্ষ্মী ভগবানের কি সঙ্গী থাকে, শ্রী কৃষ্ণ ১৬,১০৮ টি বিয়ে করেছিলেন, ভগবান এর আবার জন্ম মৃত্যু, বউ সন্তান থাকে নাকি।আগে নিজের ধর্ম ভালো করে জানা দরকার♦️
উত্তরমুছুন