প্রচলিত মতে, আমরা প্রায় সবাই জানি যে, প্রত্যেক দেব-দেবীর একটি করে বাহন আছে এবং আমরা মনে করি যে, সেই সব বাহন ঐ সব দেব-দেবীকে বহন করে এখানে সেখানে নিয়ে যায়। এই থিয়োরিকে বিশ্বাস করে আমরা যে দেব-দেবীকে ছোট করছি, সেটা বোধ হয় আমরা কখনও ভেবেও দেখিনি।
দেব-দেবীদের এই বাহনের ধারণাটাই একটা মিথ্যা বা ভুল ধারণা। কারণ, প্রত্যেক দেব-দেবী এমনিতেই অসম শক্তির অধিকারী, তাদের যাতয়াতের জন্য আবার বাহনের প্রয়োজন কী ? দেব-দেবীরা তাদের নিজেদের ইচ্ছামতো সূক্ষ্ম শরীরে যেখানে সেখানে এমনিতেই যাওয়া আসা করতে পারে; এরপরও তাদের চলাচলের জন্য কোনো বাহনের প্রয়োজন আছে কী ?
বাস্তবতা বিবেচনা করলে সিংহ না হয় অনেক বড় ও শক্তিশালী, তাই সিংহের হয়তো দুর্গাকে বহন করার ক্ষমতা আছে, কিন্তু ময়ূরের কি কার্তিককে বহন করার ক্ষমতা আছে, না ইঁদুরের পক্ষে গনেশকে ? তাহলে ময়ূর ও ইঁদুরকে, কার্তিক ও গণেশের বাহন বলছি কেনো ? প্রকৃতপক্ষে এই সব জীবজন্তু ঐসব দেব-দেবীর বাহন নয়, তারা দেব-দেবীকে বহন করে না, তারা বহন বা প্রকাশ করে অন্য কিছু। এই লেখাটা পড়তে থাকুন, আস্তে আস্তে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে আপনার কাছে; কারণ, এই পোস্টের বিষয়বস্তুই হলো দেব-দেবীদের বাহন তত্ত্বের সত্য উন্মোচন।
প্রথমে বড় থেকেই শুরু করি। প্রচলিত মতে সিংহ হলো দুর্গার বাহন, এজন্য যারা দুর্গার মূর্তি বানায়, তারা সিংহের পিঠের উপরই দুর্গাকে স্থাপন করে দেয়, এতে খুব সহজেই বোঝা যায় বা মনে হয় যে, সিংহই দুর্গাকে বহন করে নিয়ে এসেছে; কিন্তু বাস্তব ব্যাপার তা নয়; বাস্তব ব্যাপার এটা হলে যে বলা হয়- দুর্গা এবার গজে বা নৌকায় বা দোলায় বা ঘোটকে চড়ে আসবে- এমন বলা হতো না; সিংহই যদি দুর্গার প্রকৃত বাহন হতো, তাহলে দুর্গা- হাতি, নৌকা বা পালকি বা ঘোড়ায় চড়ে না এসে সিংহের পিঠে চড়েই আসতো।
তাহলে এখানে প্রশ্ন হচ্ছে, সিংহ যদি প্রকৃতই দুর্গার বাহন না হয়, তাহলে সিংহ দুর্গার সাথে থাকে কেনো বা সিংহ আসলে কী প্রকাশ করে ?
সিংহ হলো দুর্গার তেজ, ক্রোধ ও হিংস্রতার প্রতীক। হ্যাঁ, একথা ই বলা আছে পদ্মপুরানে। যদিও পদ্মপুরানে আরও বলা আছে যে, দুর্গার ক্রোধ থেকে সিংহের জন্ম হয়; কিন্তু আমি আসলে দেব-দেবী ও তাদের বাহনদের জন্ম থিয়োরিতে বিশ্বাস করি না; কারণ, তাতে অনেক প্রশ্নের জন্ম হয় যেগুলোর উত্তর দেওয়া যুক্তিবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে সম্ভব হয় না। প্রকৃতি ও সমাজের শক্তিরূপ সকল দেব-দেবী, বিশ্বসৃষ্টি ব্যাখ্যার জন্য আমাদের মুনি-ঋষিদের কল্পনা; তাই তাদের আবির্ভাবের ঘটনাকে জন্ম না বলে উৎপত্তি হিসেবে বর্ণনাই সঙ্গত; কারণ, জন্ম মানেই বায়োলজিক্যাল ব্যাপার, যেখানে প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী নারী পুরুষের যৌনতা মাস্ট। কিন্তু পুরাণ কাহিনী মতে, কোনো দেব-দেবীর জন্মই বায়োলজিক্যাল নিয়মে হয়নি। আর দেব-দেবীদের বাহন হিসেবে যাদের বলা হয়, তারা, বিজ্ঞানের বিবর্তন তত্ত্ব অনুযায়ী পৃথিবীতে সভ্য মানুষ সৃষ্টির অনেক আগে থেকেই আছে, তাই দেব-দেবীদের সাথের এক একটি প্রাণী, এক একটি প্রতীক মাত্র, যা মানুষকে শিক্ষা দেয় অনেক কিছু, যেগুলোর বর্ণনা করাই আমার এই প্রবন্ধের উদ্দেশ্য।
একটু আগেই বলেছি দেব-দেবীদের বাহনের কোনো প্রয়োজন নেই, দেব-দেবীদের সাথে ঐ সব পশু-পাখিদের রাখার কারণ হচ্ছে, তারা প্রকাশ করে ঐ দেব-দেবী বা তাদের পূজা সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য, যা জানলে মানুষের অনেক উপকার নিশ্চিত।
উপরেই উল্লেখ করেছি সিংহ হলো দুর্গার ক্রোধ ও ক্ষিপ্রতার প্রতীক, দুর্গার সাথে থাকা সিংহ এই তথ্য দেয় যে- দুর্গা, অসুরদের সাথে তার তেজ ও ক্ষিপ্রতা দিয়ে কী ভয়ংকর ধরণের যুদ্ধ করেছে ? তাছাড়াও যেকোনো যুদ্ধে জয়ী হতে গেলে যে সিংহের মতো শক্তি, রাগ, ক্ষিপ্রতা ও হিংস্রতার দরকার, সিংহকে সাথে রেখে দুর্গা সেই তথ্যটিও তার ভক্ত বা পূজারীকে দেয়।
দুর্গার সাথের সিংহ সম্পর্কে আরেকটি প্রচলিত তথ্য হলো, সাধারণভাবে বলা হয়, হিমালয় পর্বত, দুর্গাকে দিয়েছিলো সিংহ; এসব ছেলে ভুলানো গল্প। আর এসব ছেলে ভুলানো পৌরাণিক গল্পগুলো সম্পর্কে এখানে একটা কথা মনে রাখা খুবই জরুরী যে, পুরাণের গল্পগুলি শুধুই গল্প; কারণ, বাস্তবতার সাথে এগুলোর কোনো সম্পর্ক নেই; কিন্তু প্রতিটা গল্পের মধ্যেই রয়েছে বিশেষ কিছু শিক্ষা, যে শিক্ষা মানুষকে দেওয়া ই পুরানের গল্পগুলোর উদ্দেশ্য। তাই পুরাণের গল্পগুলোকে যুক্তি ও বিজ্ঞান দিয়ে বিচার না করে কেউ যদি জাস্ট লোকশিক্ষার উদ্দেশ্যে গ্রহন করে, তাহলে এগুলোর কিছু উপযোগিতা রয়েছে। অন্যথায় এগুলোর কোনো মূল্য নেই; যেমন- সিংহ, দুর্গা ও হিমলায়ের ব্যাপারে কেউ যদি বাস্তবতার নিরীখে একটু যুক্তি দিয়ে বিচার করে তাহলেই তার মনে এই প্রশ্ন জাগবে যে, হিমালয় তো শুধু একটা পর্বত, এটা কাউকে কি কিছু দান করতে পারে, না তার কিছু কাউকে দান করার ক্ষমতা আছে ?
গনেশকে বিশ্বাস করা হয় সিদ্ধিদাতা হিসেবে এবং গনেশের সাথে থাকে ইঁদুর। সিদ্ধি মানে সাকসেস বা সফলতা। তো পৃথিবীর এমন কোনো সফল ব্যক্তি নেই, যাকে নানা রকম বাধা-বিপত্তি ও ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে এগিয়ে যেতে হয় নি। সাফল্যের পথে নানারকম বাধা বিপত্তি একটা সাধারণ ব্যাপার, সেটা মানুষ ধৈর্য ও মনের জোরে দূর করতে পারে; কিন্তু কারো সাফল্যের পথে যদি ষড়যন্ত্রের জাল বিছানো থাকে, তাহলে তার পক্ষে সাফল্য লাভ করা অনেক ক্ষেত্রে শুধু অসম্ভবই নয়, এই ষড়যন্ত্রের জাল তাকে ধ্বংসও করে ফেলে পারে। তাই গনেশের সাথের ইঁদুর, মানুষকে এই বার্তা দেয় যে, সাফল্যের পথের এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে এবং যত ষড়যন্ত্রই হোক, সাফল্য পেতে চাইলে সেই ষড়যন্ত্রের জালকে ছিন্ন করে তা থেকে বের হয়ে আসতে হবে, ঠিক ইঁদুরের মতো; কারণ, জাল দিয়ে পৃথিবীর প্রায় সব প্রাণীকে আটকানো গেলেও ইঁদুরকে কেউ আটকাতে পারে না, ইঁদুর জালকে কেটে বের হয়ে আসতে পারেই, এজন্যই গণেশের সাথে থাকে ইঁদুর এবং ইঁদুর মানুষকে উপরের এই তথ্যগুলোই শিক্ষা দেয়।
কার্তিকের সাথে থাকে একটি ময়ূর এবং ময়ূরের পায়ের তলে থাকে একটি সাপ। কার্তিক হলো যুবক, যোদ্ধা ও সৌন্দর্যের প্রতীক; ময়ূর, কার্তিকের এই তিনটি গুণেরই প্রতিনিধিত্ব করে। কেননা, কার্তিক যেমন চিরযুবা, তেমনি মৃত্যু পর্যন্ত ময়ূরের সৌন্দর্য ও তারুণ্যও কখনো নষ্ট হয় না। এছাড়াও ময়ূর সকল পাখির মধ্যে ভয়ংকর যোদ্ধা, যেমন ভয়ংকর যোদ্ধা হলো কার্তিক, এজন্যই কার্তিককে দেওয়া হয়েছে দেবতাদের সেনাপতির সম্মান।
সাপ হলো গোপন ষড়যন্ত্রের প্রতীক এবং যে কোনো যুদ্ধে গোপন ষড়যন্ত্র থাকবেই। ময়ূরের পায়ের নিচে সাপের অর্থ হলো, শুধু যুদ্ধ করলেই হবে না, যুদ্ধের এই গোপন ষড়যন্ত্রকেও দমন করতে হবে, যেমন ময়ূর নিমিষের মধ্যে একটি সাপের দেহকে ছিন্ন ভিন্ন করে ফেলতে পারে।
সরস্বতীর সাথে থাকা রাজহাঁসের এই ক্ষমতা আছে যে, দুধ ও জল মিশিয়ে দিলেও সে শুধু দুধকেই পান করতে পারে বা গ্রহন করতে পারে। বিদ্যার দেবী সরস্বতীর সাথে থাকা রাজহাঁস- সমাজে, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের মাঝে এই বার্তা দেয় যে, সমাজে ভালো মন্দ সব ধরণের জ্ঞানই আছে, তার মধ্য থেকে শুধু ভালোটাকেই গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও সরস্বতীর হাতের পুস্তক যে পড়াশোনার মাধ্যমে জ্ঞানার্জনের কথা বলে সেটা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না; তারপর সরস্বতীর হাতের বীণা বলে শিল্প-সংস্কৃতি চর্চার কথা, যে শিল্প সাধনা মানুষকে সাধারণ থেকে অসাধারণ এবং মানুষের মানবতার মাপকাঠিকে এক উচ্চ মাত্রায় নিয়ে গিয়ে মানুষকে মহান করে তুলে।
লক্ষ্মীর সাথে থাকা পেঁচা, রাতের কঠিন অন্ধকারেও দেখতে পায়। অন্ধকার হলো বিপদ আপদের প্রতীক। ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মীর সাথে থাকা পেঁচা আমাদেরকে শিক্ষা দেয় যে, যদি ধন-সম্পদ বা টাকা-পয়সা থাকে তাহলে বিপদ আপদ যত বড় আর কঠিনই হোক না কেনো, রাতের আঁধার ভেদ করে পেঁচা যেমন তার পথ দেখতে পায়, তেমনি ধন-সম্পদের জোরে বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিও ঠিক পথ খুঁজে পাবে এবং তা থেকে উদ্ধার পাবেই।
হিন্দুদের একটি দেবী হচ্ছে ধন সম্পদের দেবী, এর মানে হলো কোনো হিন্দু গরীব বা ভিখারী থাকবে না বা থাকতে পারবে না, আর এজন্যই হিন্দু শাস্ত্রে দারিদ্রতাকে মহাপাপ বলা হয়েছে, যাতে সবাই চেষ্টা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেদের দারিদ্রতাকে দূর করে; কারণ, যে ব্যক্তি দরিদ্র অর্থাৎ অর্থ ও বিত্তহীন, তার সামনে সবই অন্ধকার এবং তার জীবনে কোনো সুখ নেই। কোনো হিন্দু অর্থ-বিত্তহীন হয়ে সাংসারিক জীবনে অসুখী থাকবে, এটা সনাতন ধর্মের বৈশিষ্ট্য নয়; এজন্যই সনাতন ধর্মে দারিদ্রতাকে দূর করতে এত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
পেঁচার আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো গোপনীয়তা; কেননা, সে গোপন থাকার কারণেই দিনের বেলা বের হয় না, লক্ষ্মীর সাথে থাকা পেঁচা মানুষকে এই শিক্ষা দেয় যে, অর্জিত ধন-সম্পদকে রাখতে হবে গোপনে; না হলে সেই ধন-সম্পদ বা অর্থকড়ি নানারকম সমস্যা বা বিপত্তির সৃষ্টি করবে, তখন অর্থ হয়ে যাবে অনর্থ। এজন্যই প্রবাদ সৃষ্টি হয়েছে অর্থই অনর্থের মূল।
প্রচলিত মতে, শিবের বাহন হলো নান্দী নামের একটি ষাঁড়; এর কারণ কী বা শিবের সাথে থাকা একটি ষাঁড় আসলে আমাদেরকে কী শিক্ষা দেয় ?
সনাতন ধর্মশাস্ত্র মতে, সধারণভাবে শিব হলো ধ্বংসের দেবতা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে পরমব্রহ্ম বা ঈশ্বরের ধ্বংস কারী রূপের নাম হলো শিব। কারণ, শিব আলাদা কোনো সত্ত্বা নয়, এজন্যই গীতার ১০/২৩ নং শ্লোকে বলা হয়েছে,
“রুদ্রানাং শঙ্করশ্চাস্মি”
এর অর্থ হলো- রুদ্রদের মধ্যে আমিই শিব।
অর্থাৎ, শ্রীকৃষ্ণ এখানে বলছেন, তিনিই শিব। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণই যে পরমব্রহ্ম বা ব্রহ্ম বা ঈশ্বর তার প্রমাণ কী ?
গীতার ১৪/২৭ নং শ্লোকে বলা হয়েছে,
“ব্রহ্মণো হি প্রতিষ্ঠাহমমৃতস্যাব্যয়স্য চ।”
এর অর্থ: আমিই নির্বিশেষ ব্রহ্মের প্রতিষ্ঠা বা আশ্রয়।
অর্থাৎ, শ্রীকৃষ্ণই যে ঈশ্বর বা ব্রহ্ম, তা গীতার এই বাণী থেকে প্রমাণিত।
উপরের এই আলোচনা থেকে এটা প্রমাণিত যে, শিব আলাদা কেউ নয়; শিব, ঈশ্বরেরই ধ্বংসকারী একটি রূপের নাম, কিন্তু শিবের সাথে ষাঁড় থাকার রহস্যটা কী ?
যে ধ্বংস করবে, তাকে হতে হয়- একগুঁয়ে, জেদি এবং বিশেষ শক্তিসম্পন্ন। একটা প্রাপ্ত বয়স্ক ষাঁড় গরুর দেহে যে পরিমান শক্তি থাকে, তাতে সে একটি পাড়া বা ছোটখাটো গ্রামকে কয়েক মিনিটের মধ্যে লণ্ডভণ্ড করে দিতে পারে; শুধু একজন বা কয়েকজন কেনো, একদল মানুষের পক্ষেও সম্ভব নয় সেই উন্মত্ত ষাঁড়কে রোধ করা; টিভি বা ইউটিউবে স্পেনের সেই বিখ্যাত ষাঁড়ের খেলা যারা দেখেছেন, তারা বুঝতে পারবেন আমি ষাঁড়ের কোন শক্তির কথা বলছি বা একটি ষাঁড় কী ধরণের তাণ্ডব ঘটাতে পারে। শিবের সাথে থাকা ষাঁড় আসলে শিবের সেই ধ্বংস বা তাণ্ডব রূপেরই বহিঃপ্রকাশ।
বহুল পরিচিত কয়েকজন দেব-দেবীর কথিত বাহন সম্পর্কে এখানে আলোচনা করলাম, এর বাইরেও যদি কারো কিছু জানার থাকে, সেই দেব-দেবী এবং তাদের কথিত বাহনের নাম জানিয়ে আমাকে প্রশ্ন করবেন, আমি চেষ্টা করবো তার উত্তর দিতে।
জয় হিন্দ।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।
----------কৃষ্ণ দাসএর পোস্ট থেকে কপি করা----------
শিবের গলায় সাপের সম্বন্ধ টা কি যদি একটু বলেন?
উত্তরমুছুনকৃষ্ণের বাহনের নাম ❓
উত্তরমুছুনপ্রেম
মুছুনকেন বাহনের কি শক্তি নেই আপনি এ জর জগতের প্রাণীদের মতো ভাবেন নাকি। তাদের বাহনরা ও তো অসিম শক্তির অধিকারী
উত্তরমুছুনবাহন এর অর্থ দিব্য বুদ্ধি।দেবী বলা হচ্ছে তার সাথে কি হিংসা ক্রোধের সম্পর্ক থাকে।প্রতীক বা সিম্বল কোনো অর্থ বোঝায় ।লেখাটা জগা খিচুড়ি ।
উত্তরমুছুনমানুষ অর্থাৎ হুশ হীন অর্থাৎ দেহ ভাব ।দেহের অনুভূতি গুলোই ফিল করতে করতে আর আত্মিক বিষয় গুলো যথার্থ ভাব নেই। মানুষ আত্মা ও দেহ এই দুই বিষয়ের সমষ্টি ।সময় চক্রে আজ আত্মিক ভাব নেই অর্থাৎ দিব্য বুদ্ধি নেই ,যেদিন এই দিব্য বুদ্ধি কি জানবে তখনই বাহন কেন, তা কিসের প্রতীক স্পষ্ট রূপে জানা সাথে বোঝা সম্ভব।