Ads

সনাতন হিন্দু ধর্মকে জানুন কীতাব পড়ুন শিখুন এবং প্রশ্ন করুন. বিনামূল্যে সকল বইগুলো অনলিনেই সরাসরি পড়তে পারবেন অন্যদের পড়ার জন্য শেয়ার করবেন, নতুন পোস্ট পেতে ফাসেবুকে লাইক দিয়ে রাখুন |

সনাতন নিউজ



@@@দৈনিক তাজা খবর গুলো পড়ুন@@@

@@@বৈদেশিক খবর গুলো পড়ুন@@@

@@@নিজ এলাকার খবর গুলো পোস্ট করুন@@@
1 টি মন্তব্য on "সনাতন নিউজ"
  1. যজুর্বেদের ৩২ নং অধ্যায়ের ২ নং শ্লোকে আছে – ‘ন তস্য প্রতিমা অস্তি।’ অর্থাৎ… ‘স পরমেশ্বর অখণ্ড ও অদ্বিতীয়, এজন্য তাঁর প্রতিমা বা প্রতিকৃতি নেই।’
    যজুর্বেদের ৪০ নং অধ্যায়ের ৭ নং শ্লোকে আছে – ‘স পরযগাছ ক্রমকায়মব্রণ মস্রাবিরং ‘অর্থাৎ… ‘তিনি প্রাকৃত শরীররহিত, অক্ষত, স্নায়ুরহিত’
    যজুর্বেদের ৪০ নং অধ্যায়ের ৮ নং শ্লোকে আছে – ‘অন্ধং তমঃ প্রবিণন্তি যে হ সংভূতিমপাসতে।’ অর্থাৎ… ‘যারা অবিদ্যা কাম্য কর্মের বীজস্বরূপ প্রকৃতির উপাসনা করে,তারা অন্ধকার সংসারে প্রবেশ করে।’ এর অর্থ— যারা জল, বায়ু, অগ্নি, চন্দ্র, সূর্য ইত্যাদি প্রাকৃতিক জিনিসের উপাসনা করে তারা অন্ধকারে পতিত হয়।
    ঋগ্বেদের প্রথম মণ্ডল, ১৬৪ সূক্ত, ৪৬ নং শ্লোকে আছে– ‘একং সদ্ধিপ্রা বহুধা বদন্ত্যগ্নিং…’। সরলার্থ— ঋষিরা এক ঈশ্বরকে বহু নামে ডাকেন। সত্য হল এক। এক ঈশ্বর। ঋষিরা একে বহু নামে ডাকেন। ঋগ্বেদে সর্বশক্তিমান স্রষ্টার প্রায় তেত্রিশটি ভিন্ন ভিন্ন গুনের কথা প্রকাশিত হয়েছে।
    ব্রহ্মা = স্রষ্টা : ঋগ্বেদ, দ্বিতীয় মণ্ডল, সূক্ত ১, শ্লোক ২— সর্বশক্তিমান স্রষ্টাকে ঋগ্বেদে কখনও কখনও ব্রহ্মা বলা হয়েছে। ব্রহ্মা’ শব্দটির অর্থ ‘স্রষ্টা। এর আরবি প্রতিশব্দ হল ‘খালিক’। ইসলামে সর্বশক্তিমান আল্লাহকে খালিক বলা হয়। বেদে বলা হয় ব্রহ্মা। কিন্তু প্রশ্ন হল, ব্রহ্মার চারটি মাথার কল্পনা কোথা থেকে এল?
    যজুর্বেদের ৩২নং অধ্যায়ের ২নং শ্লোকে আছে– ‘ন তস্য প্রতিমা অস্তি।’ সরলার্থ—“অদ্বিতীয় পরমেশ্বরের কোনও প্রতিমা বা প্রতিকৃতি নেই।’ অর্থাৎ, পরমেশ্বরের চারটি মাথার কল্পনা এই শ্লোকের পরিপন্থী।
    শ্বেতাশ্বতর উপনিষদের তৃতীয় অধ্যায়ের ১০নং শ্লোকে আছে— ‘তদরূপমনাময়’। সরলার্থ—“তিনি অরূপ (নিরাকার) ও অনাময় (নীরোগ)।’ ধর্মগ্রন্থে যাঁকে অরূপ বা নিরাকার বলা হল, পরবর্তীকালে তাকে চারটি মাথাযুক্ত শরীরী অবয়ব দান করা হল কোন উদ্দেশ্যে?
    বিষ্ণু = রক্ষাকারী বা পালনকর্তা : ঋগ্বেদ, দ্বিতীয় মণ্ডল, সূক্ত ১, শ্লোক ৩… সর্বশক্তিমান স্রষ্টাকে ঋগ্বেদে কখনও কখনও বিষ্ণু বলা হয়েছে। ‘বিষ্ণু’ শব্দের অর্থ রক্ষাকারী বা পালনকর্তা। এর আরবি প্রতিশব্দ হল ‘রব’। বিষ্ণুকে যদি স্রষ্টা ভাবা হয় তাহলে তার চারটি বাহুর কল্পনা করা হল কেন? তার কোনও বাহুতে ‘চক্র’, আবার কোনও বাহুতে ‘শঙ্খ’ এল কোথা থেকে? যাঁর কোনও রূপ নেই, সেই সর্বশক্তিমান স্রষ্টাকে রূপের বাঁধনে বাঁধা, ইসলামে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। শুধু ইসলামে সেটা নিষিদ্ধ নয়, উপনিষদে সেটা নিষিদ্ধ, শ্রীমদ্ভাগবতেও সেটা নিষিদ্ধ।

    উত্তরমুছুন